|
|
|
|
রাজ্যের দ্বিতীয় মহিলা থানা পেল চুঁচুড়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
আসানসোলের পরে রাজ্যের দ্বিতীয় ‘মহিলা থানা’ চালু হল চুঁচুড়ায়। শুক্রবার থানার উদ্বোধন করে আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ বলেন, “নারী নির্যাতনের সংখ্যায় এই রাজ্যের স্থান দ্বিতীয়। অনেক সময় মহিলারা পুরুষ অফিসারদের কাছে নিজেদের কথা বলতে দ্বিধা বোধ করেন। মহিলা অফিসারদের কাছে তাঁরা স্বচ্ছন্দে কথা বলতে পারবেন।” চুঁচুড়ার এই নতুন থানায় এক জন এসআই, ৪ জন এএসআই এবং ১০ কন্সটেবল থাকবেন। আপাতত রাজ্যের ১০টি মহকুমায় মহিলা থানা গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার থানার উদ্বোধনে হাজির ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী, জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজন ছাড়াও প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। |
|
নিজস্ব চিত্র। |
প্রশাসন সূত্রের খবর, এত দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের বিষয়টি দেখত মহিলা সেল। তবে ওই সব সেলের মামলা করার অধিকার ছিল না। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে মহিলা সেলগুলি শুধুমাত্র নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি দেখার ‘সুপারিশ’ করতেন। কিন্তু এখন থেকে মহিলা থানা অন্য থানাগুলির মতোই সমান্তলরাল ভাবে কাজ করবে। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ এই থানায় দায়ের করা হলে তারা প্রয়োজনীয় তদন্ত চালাবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতেও পাঠাতে পারবে। তালিমনাড়ুতে অবশ্য দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে মহিলাদের নির্দিষ্ট থানা আছে। তবে মহিলা থানা শুধুমাত্র মহিলা-সংক্রান্ত নানা বিষয়ের উপরেই তদন্ত করতে পারবে। এলাকায় অন্য কোনও ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানাই দেখবে। তবে থানার মত নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ নেই মহিলা থানার। যে মহকুমায় মহিলা থানা থাকবে, সেই মহকুমার প্রতিটি থানা এলাকারই মহিলা-সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো যেতে পারে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “অনেক সময়ে মহিলাদের উপরে নানা নির্যাতনের ঘটনায় থানার বিরুদ্ধে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত না করার অভিযোগ ওঠে। সে সব ক্ষেত্রে কেউ বিষয়টি জানিয়ে মহিলা থানায় আবেদন করতে পারেন। তখন উচ্চপদস্থ অফিসারদের অনুমতিক্রমে মহিলা থানা ওই ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু করতে পারেন।” |
|
|
|
|
|