গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল আগেই। এ বার ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে ওই প্রতিষ্ঠানের ফেরার তিন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারির নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তিন অভিযুক্ত হলেন রাহুল তোদি, প্রীতি সুরেখা ও আদিত্যবর্ধন অগ্রবাল। ওই ঘটনার পরে আমরির ছ’জন ডিরেক্টর আত্মসমর্পণ করেন। অন্য এক ডিরেক্টর জেল বিভাগের তত্ত্বাবধানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি।
আমরির তিন ফেরার ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়। দেখতে পেলেই গ্রেফতারের নোটিসও জারি হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। এক মাসেও তাঁদের গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার হুলিয়া জারির নির্দেশ দেন বিচারক চৌধুরী হেফাজত করিম। সংবাদপত্রে এই নির্দেশ প্রকাশ করতে বলা হয়। হুলিয়া জারির পরেও ফল না-হলে ওই ফেরার ডিরেক্টরদের সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য পুলিশের তরফে আদালতে আর্জি জানানো হবে, জানান সরকারি আইনজীবী বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। জেল-হাজতে থাকা আমরির ছয় ডিরেক্টরের খাওয়াদাওয়া নিয়ে তাঁদের আইনজীবী সেলিম রহমান এ দিন আদালতে একটি আবেদন পেশ করেন। ওই আইনজীবীর বক্তব্য, তাঁর মক্কেলরা জৈন ধর্মাবলম্বী। জেল-হাজতে তাঁদের যে-নিরামিষ খাবার দেওয়া হয়, তা তেমন পুষ্টিকর নয়। তিনি তাঁদের খাবারে পনির, দুধ, রাজমা ইত্যাদি রাখার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান। জেলে খাবারের ব্যাপারে যে-নিয়মবিধি আছে, সেই অনুসারে তাঁদের খাবার সরবরাহ করতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেয় আদালত। |