যদি জয়পুর পারে, কলকাতাই বা পিছিয়ে থাকে কেন?
জয়পুরের সাহিত্য উৎসবের ধাঁচে কলকাতা বইমেলাতেও এ বার শুরু হতে যাচ্ছে সাহিত্য উৎসব। আগামী ২৪ জানুয়ারি বিকেলে বইমেলার উদ্বোধনের পরে সাহিত্য উৎসবেরও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তৃতাও দেবেন তিনি।
জয়পুরের কথা এ দিন বারংবার ফিরে আসছিল উদ্যোক্তাদের মুখে। জয়পুরের সাহিত্য উৎসবে অবশ্য পয়সা দিয়ে টিকিট কিনতে হয়। এখানে বইমেলা থেকে সাহিত্য উৎসব সবই ‘ফ্রি’। www.kolkatalitmeet.in সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই বিনামূল্যে পাস। উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, মিলন মেলার প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকলে ডান দিকেই সাহিত্য উৎসবের প্যাভিলিয়ন। প্রায় ৬০০ জন দর্শক বসতে পারবেন সেখানে। কিন্তু পাস না-থাকলে ঢোকা যাবে না।
ছ’দিনের এই উৎসবে থাকছেন ‘স্যুটেবল বয়’-এর লেখক বিক্রম শেঠ। পাকিস্তান থেকে আসছেন ইমরান খান। আসছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ২৪ জানুয়ারি জয়পুরের সাহিত্য উৎসবের শেষে শহরে চলে আসবেন চেতন ভগত, শশী তারুর, তহমিনা আনম। “ফ্রাঙ্কফুর্ট বা লন্ডন বইমেলায় শুধু স্যুট-টাইয়ের ভিড়। কলকাতার মতো প্রাণের স্পর্শ নেই,” বলছিলেন ‘জাপানিজ ওয়াইফ’-এর লেখক কুণাল বসু। তাঁর বাবা কলেজ স্ট্রিট পাড়ার নামী প্রকাশক ছিলেন। শহরের প্রথম সাহিত্য উৎসব নিয়ে তাই লেখক বেশ নস্ট্যালজিক, “কফি হাউসে বুক রিডিং
সেশন করলে হয় না?” শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সারসত্য ছুঁয়ে গেলেন, “লেখকের জগৎ নিঃসঙ্গতার। আমার তো অন্য লেখকদের সঙ্গে আলাপ করতে ভয় লাগে।” দিল্লি থেকে ফোনে উইলিয়াম ডালরিম্পল বললেন, “খুব ভাল খবর। এই উৎসবের জন্য তো কলকাতাই স্বাভাবিক পছন্দের জায়গা।” উল্লেখ্য, জয়পুরের সাহিত্য উৎসব তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
উৎসবে থাকছে শান্তনু মৈত্রের আবহ, চন্দ্রবিন্দুর গান। এবং বইমেলা প্রাঙ্গণের বাঙালি উদ্দীপনা। প্রথম সাহিত্য উৎসবে এখানেই জিতে যাচ্ছে কলকাতা। ৬০০ দর্শকের প্যাভিলিয়ন! |