টুকরো খবর
বন্দরে পুড়ল ক্রেন, ফ্ল্যাটেও লাগল আগুন
কলকাতা বন্দরে আগুন নেভানোয় ব্যস্ত দমকল। নিজস্ব চিত্র
কলকাতার দুই প্রান্তে শুক্রবারেও আগুন লাগার দু’টি ঘটনা ঘটে। খিদিরপুর ডকে অগ্নিকাণ্ডে একটি ক্রেন সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সুইস পার্কের একটি ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। তবে কোথাও কেউ হতাহত হননি। দু’টি ক্ষেত্রেই শর্ট শার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে দমকলের অনুমান। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ৫ নম্বর ডকের ৮ নম্বর গেটে একটি ক্রেনে আগুন লাগে। ওই ক্রেন দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আসা একটি জাহাজের মালপত্র নামানো হচ্ছিল। তখনই ক্রেনে আগুন ধরে যায়। ক্রেনের চালক ভিতরেই ছিলেন। তাঁকে তাড়াতাড়ি নামিয়ে আনা হয়। দমকল সূত্রের খবর, প্রথমে বন্দরের নিজস্ব দু’টি ইঞ্জিনকে আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়। পরে দমকলের আরও ছ’টি ইঞ্জিন যায়। প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঠিক সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না-পারলে বড় ধরনের অঘটন ঘটত বলে জানান দমকলকর্মীরা। বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার সুইস পার্কে একটি বহুতলের দোতলার ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। বাড়ির মালিকের নাম প্রণব ভট্টাচার্য। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন যায়। দমকল সূত্রের খবর, প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই বাড়ির লোকেদের বার করে আনা হয়। আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে।

নেশায় নাক ভেঙে রক্ত, ঠাঁই হল না বিমানেও
পান করেছিলেন সম্ভবত একটু বেশি মাত্রাতেই। এতটাই যে, টলতে টলতে পড়ে গিয়ে নাক ভেঙে ফেলেন! নাকে ব্যান্ডেজ বেঁধে তাঁকে বসিয়ে রাখা হয় হুইলচেয়ারে। মদ্যপ অবস্থায় সেই যাত্রীকে উড়ানে তুলতে অস্বীকার করে বিমান সংস্থা। তাঁর এমনই অবস্থা যে, হেঁটে বিমানে উঠতেও পারতেন না। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে কলকাতা বিমানবন্দরে। পরে ওই যাত্রীর এক বন্ধু এসে তাঁকে শহরে নিয়ে যান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ওই যাত্রীর নাম সতীশ লাডঢা। তাঁর বাড়ি নাগপুরে। এ দিন ইনডিগোর সন্ধ্যার উড়ানে তাঁর নাগপুর যাওয়ার কথা ছিল। বিমান ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল ৬টা ২০ মিনিট। লাডঢা তার অনেক আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। বিমান ছাড়তে দেরি দেখে দোতলায় রেস্তোরাঁয় বসে তিনি মদ্যপান শুরু করেন। বিমান ছাড়ার আগে তিনি রেস্তোরাঁ থেকে বেরোতে গিয়ে পড়ে যান। তখনই তাঁর নাক ফেটে যায়। বিমানবন্দরেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তবে দীর্ঘ ক্ষণ তাঁর রক্ত বন্ধ হয়নি। ওই টালমাটাল অবস্থাতেই বিমানে উঠবেন বলে জিদ ধরেন লাডঢা। কিন্তু তিনি হাঁটার মতো অবস্থায় ছিলেন না। তাঁকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে চেক-ইন এলাকায় নিয়ে যাওয়ার হয়। ওই অবস্থায় তাঁকে বিমানে তুলতে অস্বীকার করে বিমান সংস্থা। এই টানাপোড়েনের সময়ে বেশ কিছু ক্ষণ তাঁকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে রাখা হয়। বিমানবন্দরের অফিসারেরা জানান, যত বার তিনি সেই চেয়ার থেকে ওঠার চেষ্টা করেন, তত বারই পড়ে যান। বিমান সংস্থার অফিসারেরা তাঁর এক বন্ধুর হদিস পান। সেই বন্ধু কলকাতার বাসিন্দা। পরে পরে তিনিই বিমানবন্দরে এসে লাডঢাকে শহরে নিয়ে যান।

সাধু ডেরা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাবুঘাট সংলগ্ন ময়দানে গঙ্গাসাগরগামী সাধুদের অস্থায়ী শিবির পরিদর্শন করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মতো এ বারও তীর্থযাত্রী সাধুরা ময়দানের অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সাধুদের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুযোগ করেন, আগুন জ্বালাতে না দেওয়ায় তাঁরা রান্না করতে পারছেন না। তাঁদের খাওয়াদাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বুঝিয়ে বলেন, অগ্নিকান্ডের আশঙ্কায় শিখা সমন্বিত ‘চুলা’ জ্বালানো নিষিদ্ধ। সাধুরা ধুনি জ্বালাতে পারবেন। কিন্তু চুলা জ্বালাতে পারবেন না বলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানান। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের জন্য অস্থায়ী রান্নাঘর তৈরি করে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী সাধুদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “অস্থায়ী রান্নাঘর হলে আপনাদের রান্নাবান্না করার অসুবিধা হবে না।”শিবির পরিদর্শনের সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিম। শিবির থাকাকালীন প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে শিবির পরিদর্শন করে যাওয়ার জন্য পুরমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই শিবির সংলগ্ন রাস্তায় আলো কিছুটা কম। ফলে রাতে সাধুদের রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে নিরপত্তার ব্যবস্থা করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই রাস্তায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গার্ড রেল বসানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

সার্জেন্টদের নয়া প্রশিক্ষণ
গাড়িচালক হোন বা পথচলতি মানুষ। মাঝেমধ্যেই তাঁরা ট্রাফিক সার্জেন্টদের বিরুদ্ধে ‘দুর্ব্যবহার’-এর অভিযোগ তোলেন। এ বার সার্জেন্টদের সহবতের ‘নয়া পাঠ’ শেখাতে উদ্যোগী হলেন স্বয়ং কর্তারাই। আজ, শনিবার থেকে লালবাজারে শুরু হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) সুপ্রতিম সরকার শুক্রবার বলেন, “মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করাটা অবশ্যই প্রাথমিক শর্ত। তবে সেই সঙ্গে ডিউটির ফাঁকে নিজেদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাটাও জরুরি সার্জেন্টদের। সব কিছু ভেবেই এই উদ্যোগ।” সপ্তাহে এক দিন দু’ঘণ্টা করে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। প্রত্যেক প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকবেন দু’টি করে ট্রাফিক গার্ডের কমপক্ষে ৩০ জন সার্জেন্ট।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.