নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া |
জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র-কুটির শিল্পের প্রসারের জন্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। শুক্রবার পুরুলিয়ায় এ কথা জানান, রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং বস্ত্র মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, ন্যাচারাল ফাইবার মিশন নামে একটি প্রকল্প রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে। জঙ্গলমহলে মাদুর, বাবুই ঘাস, সাবাই ঘাস এবং উত্তরবঙ্গে শীতলপাটি ও বেত রয়েছে। এই শিল্পগুলির পরিকল্পনামাফিক উন্নতি হওয়া দরকার। সে জন্য ২৫৭ কোটি টাকার প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল।” মন্ত্রীর দাবি, “ওই প্রকল্প অনুমোদনের পথে।” |
বাঁকুড়ায় অভিজিৎ সিংহের তোলা ছবি। |
মন্ত্রী জানান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার এই শিল্পগুলির আধুনীক চেহারা নিয়ে আসা দরকার। তাহলে ওই শিল্পের বিকাশ যেমন হবে, তেমনি ওই শিল্পের উপরে নির্ভরশীল শিল্পীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। পুরুলিয়ার নিস্তারিণী কলেজের সভাঘরে জেলার হস্তশিল্পীদের সচিত্র পরিচয় পত্র দেওয়ার সময় মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। মন্ত্রীর কথায়, “ওই প্রকল্প রূপায়ণের জন্য তৈরি হন। এর মাধ্যমে রাজ্যে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে।” একই সঙ্গে পুরুলিয়ার খনিজ সম্পদ ব্যবহার করে আরও কি কি ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে তোলা যায়, তার পথ খুঁজে বের করতেও আধিকারিকদের তিনি নির্দেশ দেন।
মানসবাবু এ দিন শিল্পীদের সরকারি পরিচয় পত্রের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিমার কার্ড ও ঋণ পাওয়ার সুবিধার জন্য ‘ক্রেডিট কাডর্’ জেলার বেশ কিছু হস্তশিল্পীদের দেন। মন্ত্রী বলেন, “স্বীকৃতির অভাবে শিল্পীরা নানান সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই নতুন রাজ্য সরকার ঠিক করেছে এ বার শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো হবে। সে জন্যই শিল্পীদের তিন ধরনের কার্ড দেওয়া হচ্ছে।” বিকেলে বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনেও মন্ত্রী জেলার কিছু শিল্পীদের ওই কার্ড দেন। |