অবিকল সেই চেহারা! আদি ও অকৃত্রিম! শুধু যোগ হয়েছে হেডলাইট!
১৯৪৬ ফিরে এল ২০১২-য়। দিল্লিতে আয়োজিত যানবাহন মেলায় আজ নতুন করে ফিরিয়ে আনা হল ‘ভেস্পা’ স্কুটারের আদি মডেল। পর্দায় যাকে অমর করে রেখেছেন গ্রেগরি পেক এবং অড্রে হেপবার্ন জুটি। ‘রোমান হলিডে’ ছবিতে ওই স্কুটারে চড়েই তো রোমের রাস্তা চষে বেড়ালেন রাজকন্যে! ছবির পোস্টারেও ছিল লাল রঙের সেই স্কুটার!
কলকাতায় বসে সেই ভেস্পা-র দ্বিরাগমনের খবর শুনে উচ্ছ্বসিত চিত্রতারকা দেব! বললেন, “ভেস্পা বললেই ‘রোমান হলিডে’-র কথা মনে পড়ে! কলকাতায় ভেস্পা চালিয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়তো পারব না। কিন্তু নিজের জন্য কিনব অবশ্যই!” |
|
|
১৯৫৩। ‘রোমান হলিডে’ ছবির দৃশ্যে
ভেস্পায় অড্রে হেপবার্ন ও গ্রেগরি পেক। |
২০১২
নতুন মডেলের উদ্বোধন। |
|
১৯১৫-৩০ কালপর্বকে বলা চলে স্কুটারের প্রথম প্রজন্ম। কিন্তু স্কুটারের সত্যিকার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। ১৯৪৬-এই ইতালির পিয়াজ্জিও সংস্থা নিয়ে এল ‘ভেস্পা’। স্কুটার তখন আর শুধু দু’চাকার গাড়ি নয়, শুধু একটা ব্যক্তিগত বাহন নয়। স্কুটার তখন সামাজিক ইতিহাসের এক নতুন উপাদান, জীবনশৈলীর নতুন দিগন্ত।
‘ভেস্পা’র জন্মও ইতিহাসের এক অদ্ভুত মোড়েই। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইতালির অর্থনীতি তখন বিধ্বস্ত। পিয়াজ্জিও-র ব্যবসার একটা বড় অংশ ছিল বিমান নির্মাণ। টাস্কানির পন্তেদেরা শিল্পশহরে ছিল তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক বিমান নির্মাণ কারখানা। যুদ্ধে বোমার আঘাতে সেটি তত দিনে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সংস্থার তৎকালীন কর্ণধার এনরিকো পিয়াজ্জিও বিমান নির্মাণের দিকে আর গেলেন না। সারা দেশে রাস্তাঘাটের যা অবস্থা, বড় গাড়ির ঝুঁকিও নিলেন না। পিয়াজ্জিও বাজারে আনলেন, সাধারণের উপযোগী, অল্প খরচের বাহন, যা সহজে সর্বত্র যাতায়াত করতে পারবে। সেই শুরু। তার পর থেকে একশোরও বেশি দেশে ১ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি বিক্রি হয়েছে ‘ভেস্পা’।
ভারতে সংস্থার চেয়ারম্যান রবি চোপড়া আজ মডেলটি নতুন করে উদ্বোধন করে বলেন, শৌখিন এবং স্টাইল-সচেতন ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই ‘ভেস্পা’কে ভারতের বাজারে আনা হচ্ছে। এপ্রিল মাস থেকে ৩৫টি শহরে পাওয়া যাবে এই স্কুটার। |