রামপুরহাটে মিছিল-সভা তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
দলীয় উপ-পুরপ্রধানকে ‘মিথ্যা মামলায়’ ফাঁসানো হয়েছে অভিযোগ তুলে শুক্রবার রামপুরহাট শহরে মিছিল ও পথসভা করল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি অনুদানের গম বিলির স্লিপ দেওয়াকে ঘিরে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা রামপুরহাটের উপ-পুরপ্রধান আব্বাস হোসেন ও তাঁর দাদা আরশাদ হোসেনের সঙ্গে বিবাদ বাধে এলাকার এক মহিলার। তিনি উপ-পুরপ্রধান ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার বিরুদ্ধে আব্বাস হোসেনদের দোকানে হামলার পাল্টা অভিযোগ হয়। ওই ঘটনা নিয়ে আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। মিথ্যা মামলা করা হয়েছে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে, এই অভিযোগে এ দিন রামপুরহাট শহরের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেন আশিসবাবু। পরে পাঁচমাথা মোড়ে পথসভা করেন। আশিসবাবুর অভিযোগ, “পুরসভা থেকে বিধানসভা ভোট, সর্বক্ষেত্রে রামপুরহাটের এক শ্রেণির কংগ্রেস নেতা সিপিএম বা ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে আঁতাঁত করে তৃণমূলকে হারানোর চেষ্টা করেছেন। আসলে ওঁরা শহরের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছেন।” এ দিনই ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকশো মহিলা ওয়ার্ড থেকে মিছিল করে রামপুরহাট থানায় গিয়ে দাবি করেন, আব্বাস হোসেনকে ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা পুলিশের কাছে গণস্বাক্ষরিত স্মারকলিপিও দেন।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়ূরেশ্বর |
বাঁশ চুরিকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল ময়ূরেশ্বরের মালঞ্চা গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এ দিন মালঞ্চা গ্রামে বাঁশ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় লাভপুর থানা এলাকার সাওগ্রামের কিছু লোক। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে ঝামেলা বাধে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘটনার জেরে গ্রাম থেকে বেশ কিছু লোক এসে ব্যাপক বোমাবাজি করে। জখম অবস্থায় মালঞ্চা গ্রামের ৪ জন বাসিন্দাকে সিউড়ি এবং বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাওগ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ গোলাগুলির অভিযোগ মানেননি, বরং তাদের পাল্টা অভিযোগ, বাঁশচুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে মালঞ্চা গ্রামের লোকেরাই তাঁদের মারধর করেছেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত পর্যন্ত পর্যন্ত কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। |