বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণের গেট খোলেনি, ক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
উষ্ণপ্রস্রবন সংস্কারের পরে ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছিল। তার পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি বক্রেশ্বর উষ্ণ প্রস্রবণের গেট। স্বাভাবিক ভাবে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ী সকলে। সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নের জন্য দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল উষ্ণপ্রস্রবনের গেট। ২৯ ডিসেম্বর ঘটা করে উদ্বোধন করেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ। তখন খুশি হয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু উদ্বোধনের ঘণ্টাখানেক পরে আবার একই ভাবে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার পর্যন্ত গেট খোলেনি।
বীরভূমের দুবরাজপুরের গোহালিয়াড়া পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের দিলীপ মাল বলেন, “কেন গেট খোলেনি, সেই প্রশ্ন প্রশাসনের কাছে করেছিলাম। কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তবে গেট খোলার আগে জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই দিনটি কবে জানি না।” জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার আশ্বাস, “সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শীঘ্রই উষ্ণপ্রস্রবনের ঘাট খুলবে।” |
এ দিকে, উদ্বোধনের পরে গেট না খোলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্রেশ্বর শিবমন্দির সেবাইত সমিতির সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে তাপস চৌধুরী বলেন, “বক্রেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য সারাবছর পর্যটকেরা আসেন। তবে শীতকালেই এই পর্যটনকেন্দ্র জমজমাট থাকে। কারণ, এ সময়ে উষ্ণপ্রস্রবনে স্নান করার মজা নিতে পারেন তাঁরা। কিন্তু ঘাটের দরজা এখনও না খোলায় পর্যটকেরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। যাঁরা আসছেন তাঁরাও বিরক্ত হচ্ছেন।” তাঁর ক্ষোভ, “ছোটছোট ব্যবসায়ী যাঁরা মূলত এই পর্যটন কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। অথচ প্রশাসন নির্বিকার।”
প্রসঙ্গত, ২০১০-এর এপ্রিল মাসে বক্রেশ্বরের সৌন্দর্যায়ন ও উন্নয়নের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়। ঠিক ছিল এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। বাস্তাবে তা হয়নি। দেরিতে কাজ ‘সম্পূর্ণ’ হলেও গেট না খোলায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। এক হোটেল মালিক মনোরঞ্জন দাঁ, হস্তশিল্প ব্যবসায়ী নিমাই রায় বলেন, “আর কত দিন পরে বক্রেশ্বর স্বাভাবিক হবে জানি না। পর্যটকদের অভাবে ব্যবসা মার খাচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ পর্যটকেরাও। হাওড়া থেকে বক্রেশ্বরে আসা সুপ্রতিম মণ্ডল, মিনতি মণ্ডলদের ক্ষোভ, “তারাপীঠ থেকে গাড়ি ভাড়া করে এসেছিলাম, কিন্তু যা পরিস্থিতি আমাদের হতাশ হতে হল।” ব্যান্ডেল থেকে আসা দীপেন্দু রায়, সুজাতা রায়রা বলেন, “উষ্ণপ্রস্রবনের উদ্বোধনের খরব পেয়ে এখানে এসেছিলাম। কিন্তু সাত দিন পরেও গেট খোলেনি!” |