|
|
|
|
বিক্ষোভ সামলাতে নয়া অস্ত্রে সাজছে কাশ্মীর পুলিশ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিক্ষোভ দমনে প্রাণহানির সম্ভাবনা যথা সম্ভব কমানোর লক্ষ্যে ‘পথপ্রদর্শক’ হতে চায় জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ। এ জন্য ঢেলে সাজা হচ্ছে তাদের অস্ত্রভাণ্ডার। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মগরাহাটে পুলিশের গুলিতে দু’জনের মৃত্যুর পরে বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের আচরণবিধি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর, সংক্ষেপে এসওপি) নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন ডিজি। আর দেশের জন্য এই প্রস্তাবিত এসওপি তৈরি করেছে ডিজিদের যে কমিটি, কাশ্মীর পুলিশের ডিজি কুলদীপ খোদা তার চেয়ারম্যান। |
|
গত বছরে বিভিন্ন সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরে তুমুল গণবিক্ষোভের সময়ে জনতার সঙ্গে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল শতাধিক লোকের। বিক্ষোভ বা পাথর ছোড়া সামলাতে পুলিশ কী করবে, কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালানো যাবে, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এক সাংবাদিক বৈঠকে ডিজি জানান, বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে যাতে প্রাণহানি না ঘটে, সে জন্য নতুন ধরনের বুলেট এবং গ্রেনেড ব্যবহার করা হবে। এই বুলেটে (ব্লাস্ট ডিসপার্সাল কার্টিজ বা বিডিসি) শার্পনেল থাকবে না, ফলে শরীরে কিছু বিঁধে যাবে না। আবার গ্রেনেজগুলো এমন হবে, যাতে প্রচণ্ড শব্দ এবং আলোর ঝলকানিতে বিক্ষোভকারীদের ভয় পাইয়ে দিয়ে ছত্রভঙ্গ করাই প্রধান লক্ষ্য। আনা হবে পলিকার্বনেট লাঠি, পুলিশের আত্মরক্ষার জন্য পলিকার্বনেট ‘বডি প্রোটেক্টর’। |
প্রাণহানির ভয় নেই |
ব্লাস্ট ডিসপার্সাল কার্তুজ
শার্পনেল না থাকায় গায়ে বেঁধে না। সাময়িক অবশ করে। |
স্টিঙ্গার গ্রেনেড
প্রবল শব্দ ও আলোর ঝলকানি। রবারের
বল ও বিভিন্ন রাসায়নিক ছিটকে বার হয়। |
স্টান ল্যাক গ্রেনেড
স্টিঙ্গারের উন্নত সংস্করণ। বেরোয় কাঁদানে গ্যাস। |
ওলিরস্টেন গ্রেনেড
তীব্র গন্ধের রাসায়নিকে চোখ জ্বালা, শ্বাস নিতে কষ্ট। |
ডাই মেকার গ্রেনেড
৩-৪ দিনে ওঠে না এমন রঙ গায়ে লাগে।
ধরা পড়ার ভয়ে বিক্ষোভকারী পথে বেরোয় না। |
|
ইতিমধ্যেই অবশ্য বিক্ষোভ মোকাবিলায় প্রাণহানি কমাতে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। যেমন জলকামানে ব্যবহার করা হচ্ছে রঙিন জল। সেই জল গায়ে লাগলে বেশ কদিন থাকে। পুলিশের বক্তব্য, বিক্ষোভকারীরা ক’দিন আর বাইরে বেরোতে পারেন না। আবার এক ধরনের গ্রেনেডে তীব্র গন্ধযুক্ত রাসায়নিক থাকে, যাতে চোখ জ্বালা করে, কিন্তু প্রাণহানি হয় না। |
|
|
|
|
|