মিড-ডে মিলের খাবার নিম্ন মানের বলে অভিযোগ ছিলই। তার তদন্তে আসা সংশ্লিষ্ট নির্বাহী সহায়ককে মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে স্কুলে আসেন বিডিও। তাঁর সঙ্গেও প্রধান শিক্ষক বাক্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট থানার ভাটিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
গ্রামবাসী জৈধন মাড্ডি, চুরকা কিস্কুদের অভিযোগ, “স্কুলে দীর্ঘদিন পড়ুয়াদের সব্জি, ডিম দেওয়া হয় নি। প্রধান শিক্ষককে বলতে বললে উনি বলেন, ‘আমার যা সামর্থ তাই খাওয়ানো হবে।’’ বাসিন্দাদের এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে আসেন বনহাট পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক ধনঞ্জয় মজুমদার। তিনি বলেন, “ভাটিনা মৌজায় একটি মডেল বিদ্যালয়ের জন্য জায়গা দেখার কাজে এ দিন ভাটিনা গ্রামে গিয়েছিলাম। সেখানে বাসিন্দাদের একাংশ মিড-ডে মিলের মান নিয়ে অভিযোগ করেন।” তাঁর অভিযোগ, “এ ব্যাপারে এ দিন প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে উনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানার কোনও এক্তিয়ার নেই। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ায় প্রধান শিক্ষক মারধর করার হুমকি দেন। বিষয়টি বিডিওকে জানাই।”
রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও শান্তিরাম গড়াই বলেন, “প্রধান শিক্ষক আমাকেও মিড-ডে মিলের খাতাপত্র দেখাতে পারেননি। উল্টে নানা রকম কথা বলছেন। যতদূর জানি ২০০৯ সাল থেকে কোনও রকম হিসেব ব্লক অফিসে দাখিল করেননি প্রধান শিক্ষক। উল্টে কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর কাজে বাধা দেওয়া ও মারধর করার হুমকি দেওয়ার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।”
অন্য দিকে, ভাটিনা প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবকুমার মণ্ডল বলেন, “এক জন পঞ্চায়েতের কর্মীকে আমি কেন জবাবদিহি করতে যাব। উনি আমার ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার কে? আমি কেন মারধরের হুমকি দিতে যাব?” তাঁর পাল্টা দাবি, “বরং উনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। বিডিওকে ফোন করে পুলিশ নিয়ে এসে আমাকে গ্রেফতার করার কথা বলেন। এ ব্যাপারে আমি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের দ্বারস্থ হয়েছি।” প্রধান শিক্ষক জানান, সেপ্টেম্বর মাস থেকে স্কুলের রান্নার খরচ পাচ্ছেন না। তাঁর পকেট থেকে খরচ করতে হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে মিড-ডে মিলের হিসেব ব্লক অফিসে দেওয়া আছে।
সংশ্লিষ্ট রামপুরহাট দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) কিশোর মণ্ডল বলেন, “ওই শিক্ষক ফোনে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টা না জেনে এ ব্যাপারে কিছু বলব না।”
|