আগেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল হলদিয়ার বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ আইকেয়ার ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ বা আইআইএমএসআর।
মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বা এমসিআইয়ের তদন্ত চলাকালীনই ১৬ নভেম্বর রাজ্য সরকার ওই কলেজের ‘এসেন্সিয়ালিটি সার্টিফিকেট’ বাতিল করে দিয়েছিল। ওই সার্টিফিকেট বাতিল করার অর্থ কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আর কোনও দায়বদ্ধতা না-থাকা। অর্থাৎ রাজ্য সরকার ওই কলেজ নিয়ে সব দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেছে। শীর্ষ আদালতে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত বেসরকারি হাসপাতালটি। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সর্বোচ্চ আদালতে এ দিন আইআইএমএসআর-এর যুক্তি ছিল, ওই মেডিক্যাল কলেজের বৈধতা-অবৈধতার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই রাজ্য সরকার এখন ‘এসেন্সিয়ালিটি সার্টিফিকেট’ বাতিল করতে পারে না। পুরো বিষয়টির নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত ওই মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে নতুন কোনও নির্দেশিকাও জারি করা যায় না বলে সওয়াল করেন আইআইএমএসআর-এর আইনজীবী।
রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং বিচারপতি চন্দ্রমৌলি প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ ওই কলেজের স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তার পরে আইআইএমএসআর তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় বলে অভিজিৎবাবু জানান। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে হলদিয়ার ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হল বলে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মন্তব্য করেছেন।
কলেজটির ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি এমসিআই। কিন্তু রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ওই মেডিক্যাল কলেজের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলেজের ‘এসেন্সিয়ালিটি সার্টিফিকেট’ বাতিল করেছে রাজ্য। আজ, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ওই কলেজের অনুমোদন বাতিল করতে চলেছে। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল হওয়া মানে ওই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের বৈধতা বা স্বীকৃতি থাকবে না। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন পাবেন না তাঁরা। কী ভাবছে আইআইএমএসআর? ওই মেডিক্যাল কলেজের তরফে বলা হয়, কাল, শুক্রবার মেডিক্যাল কাউন্সিল তাদের শুনানির জন্য ডেকেছে। সেখানে নিজেদের কথা বলার আর একটা সুযোগ থাকছে তাদের। এমসিআই-কে তাঁরা নিজেদের বক্তব্য বুঝিয়ে বলতে পারবেন বলে আশা করছেন কলেজের পরিচালন-কর্তৃপক্ষ। |