টুকরো খবর
চিকিৎসকের স্ত্রীকে ‘উত্ত্যক্ত’ করায় অভিযুক্ত রেলপুলিশ
কলকাতার আরজিকর মেডিক্যালের এক চিকিৎসকের সামনে তাঁর স্ত্রীকে ‘উত্ত্যক্ত’ করার অভিযোগে জিআরপি-র এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল রেল পুলিশ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে ঘণ্টা দেড়েক ধরে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ স্টেশনে রেল অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বহরমপুর জিআরপি থানা ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে। বুধবার, এসআরপি (শিয়ালদহ) তাপসরঞ্জন ঘোষ জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবলের নাম অশোক সরকার। তিনি বলেন, “ওই পুলিশকর্মীকে ‘ক্লোজ’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।” ওই পুলিশ অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগই সাজানো বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে কলকাতা থেকে ভাগীরথী এক্সপ্রেসে জিয়াগঞ্জে বাড়ি ফিরছিলেন চিকিৎসক সুমন্তকুমার সাহা। সঙ্গে স্ত্রী সুমনা। সুমন্তবাবু জানান, বহরমপুর থেকে তাঁদের কামরায় ওঠেন ওই পুলিশ। তিনি বলেন, “কামরায় তখন কয়েক জন হকার আর যাত্রী। ওই পুলিশকর্মী কামরায় উঠেই অশ্রাব্য ভাষায় হকারদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। আমার স্ত্রীর দিকেও অশ্লীল মন্তব্য ছুঁড়ে দেন। আপত্তি করায় হুমকি দেন, ‘ব্যাগে বোমা আছে মনে হচ্ছে। ঘাড় ধরে লক-আপ-এ ঢুকিয়ে দেব।” জিয়াগঞ্জে ট্রেন থামতেই ওই চিকিৎসক স্টেশন মাস্টারের কাছে অভিযোগ করেন। লোকজন তাঁর কাছে ওই পুলিশ কর্মীর ‘র্কীতিকলাপ’ শুনে উত্তেজিত হয়ে শিয়ালদহগামী লালগোলা প্যাসেঞ্জার আটকে দেন। খবর যায় বহরমপুর জিআরপি থানায়। রাত প্রায় পৌনে বারোটা নাগাদ বহরমপুর জিআরপি থানার ওসি প্রকাশ মুখোপাধ্যায় জিয়াগঞ্জে এসে জনতাকে প্রতিশ্রুতি দেন ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। রাতেই ওই চিকিৎসককে নিয়ে প্রকাশবাবু ছোটেন লালগোলার কৃষ্ণপুর স্টেশনে। সেখানে সুমন্তবাবু ওই পুলিশকর্মীকে চিনিয়ে দেন।

বিয়েবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড
নিজস্ব চিত্র।
আচমকা আগুন লেগে পুড়ে গেল বিয়ের অনুষ্ঠানের মণ্ডপ। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হননি। তবে পালাতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কয়েকজনের আঘাত লেগেছে। তাঁদের এক জন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি। মঙ্গলবার রাত পৌনে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান বাড়িতে। এই দিন সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দাসের ছেলের বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল। বাড়ির ছাদে মণ্ডপ বেঁধে চলছিল খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। যখন আগুন লাগে তখনও নিয়ন্ত্রিতেরা খাওয়াদাওয়া করছিলেন। দিলীপবাবু বলেন, “কিছু বোঝার আগেই আচমকা আগুন লেগে যায়। চারদিক দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। তবে আমরা সকল আমন্ত্রিতকেই নিরাপদে বাইরে বার করে নিয়ে আসতে পেরেছি।” কৃষ্ণনগর দমকলের ওসি হরলাল সরকার বলেন, “মণ্ডপের ভিতরে বিদ্যুতের তারে শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েই আগুন লেগে গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে আমরা মনে করছি।”

অপেক্ষার শেষ
ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
পাঁচ বছর পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বুধবার বিকেলে সুনীল ওঁরাও সটান হাজির হয়েছিলেন মন্দিরে। গত পাঁচ বছর ধরে অপেক্ষায় থাকা ফুলতলিকে বিয়ের পরে সুনীল বলেন, “ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল এত দিন।” দুই সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সুনীলবাবু-সহ ৫ জনকে সম্প্রতি বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। মুক্তি পেয়েই এ দিন বাঁধা পড়লেন সুনীল।

মাটি খুঁড়ে দেহের খোঁজ

গোয়ালঘরের ভিতরে মাটি খুঁড়ে মৃতদেহের খোঁজে তল্লাশি চালাল পুলিশ। তবে নিখোঁজ ব্যক্তির দেহ পাওয়া যায়নি। ১০ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ জলঙ্গির দক্ষিণ ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা পাট ও ইটভাটার ব্যবসায়ী জহিরুদ্দিন মণ্ডল। ১২ নভেম্বর তাঁর বাড়ির লোক নিখোঁজ ডায়েরি করেন পুলিশের কাছে। এই ঘটনার পর পুলিশ লক্ষ্মীগাছা থেকে জান্দার শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জান্দার শেখই জেরার মুখে জানিয়েছে যে, এক ব্যক্তি জহিরুদ্দিনকে ‘খুন করেছে’ এবং তাঁর দেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাঁর বাড়ির গোয়ালঘরের নীচে। এরপরেই চাপড়া থানার লক্ষ্মীগাছায় বুধবার দুপুরে ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ওই ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী অবশ্য পলাতক। নিখোঁজ জহিরুদ্দিনের আত্মীয় মোস্তাক আহমেদ মিলন বলেন, “জহিরুদ্দিন আমার জামাইবাবু। তিনি বাড়ি না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেছিলাম। আমরা জানতে পারি যে, ব্যবসার টাকা আদায়ের জন্য লক্ষ্মীগাছায় লিয়াকত শেখের বাড়ি গিয়েছিলেন জামাইবাবু।” তিনি বলেন, “আমরা খোঁজখবর করে যা বুঝতে পারছি, তা হল জামাইবাবুকে খুন করা হয়েছে।” জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “ধৃত জান্দার শেখ পুলিশকে বলেছিল জহিরুদ্দিনকে খুন করে ওই বাড়িতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। সেই মতো তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তবে দেহ পাওয়া যায়নি। প্রকৃত ঘটনা কী, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তেরা পলাতক।”


দুর্ঘটনায় মৃত্যু
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। বুধবার সকালে ফরাক্কার বল্লালপুরের কাছে রাস্তা পেরোতে গিয়ে যমুনা সরকার (৬৫) নামে ওই ব্যক্তির একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের বাড়ি বল্লালপুর গ্রামে।

মাদক বিক্রি, ধৃত
হেরোইন বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। বুধবার সকালে বহরমপুরের কান্তনগর এলাকার ওই ঘটনায় আহত যুবকের নাম বাপ্পা আচার্য। অভিযোগ তিনি এলাকায় হেরোইন বিক্রি করেন।

দুই দুষ্কৃতী ধৃত
রিভলভার-সহ দু’জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সামশেরগঞ্জের মহিষস্থলি গ্রাম থেকে মনিরুল শেখ ও কেতাতুল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বোমা উদ্ধার
মঙ্গলবার রাতে মুর্শিদাবাদের খিদিরপুর গ্রাম থেকে ৩০০টি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.