গন্ডারের আবাসস্থল থমকে, বন দফতরের বিরুদ্ধে আদালতে ঠিকাদার
কোচবিহারের পাতলাখাওয়া উত্তরবঙ্গের গণ্ডার কুলের নয়া আবাসস্থল চালুর উদ্যোগ থমকে রয়েছে। গত বছর মার্চ মাসে ওই আবাসস্থল চালুর উদ্যোগ থমকে রয়েছে। গত বছর মার্চ মাসে ওই আবাসস্থল চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিকাঠামো তৈরির কাজ সর্ম্পূণ না হওয়ায় তা বাস্তবায়িত হয়নি। তার মধ্যেই গণ্ডারের আবাসস্থল তৈরির পরিমার বেশ কিছু অংশ ভেঙে পড়ায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার সংস্থা ও বনকর্তাদের বিরোধ চরমে পৌঁছয়। ঠিকাদার সংস্থা বিষয়টির জেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়। ফলে আগামী মার্চেও ওই প্রকল্প চালুর ব্যাপারে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “ঠিকাদারের তরফ আদালতে মামলা সংক্রান্ত বিষয়টি জানি। ওয়াল্ড লাইফ বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সব কিছু দেখেই গণ্ডারের আবাসস্থল চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের গরুমারা, জলদাপাড়া ও চাপরামারি জঙ্গলে গণ্ডারের বিচরণ ভূমি রয়েছে। ওই সব বনাঞ্চল সঙ্কুচিত হওয়ায় বিচরণ ভূমির এলাকাও কমেছে।
হলংয়ে গন্ডার দেখছেন বিদেশী পর্যটকেরা। ছবি: রাজকুমার মোদক
তাছাড়া এলাকা দখল, পছন্দের সঙ্গিনী দখল নিয়ে গণ্ডার মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাছাড়া গণ্ডারের ‘ইনব্রিডিং’ আশঙ্কা রুখতেও নয়া আবাসস্থল তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়। পাতলাখাওয়ার জঙ্গলে গণ্ডারের আদর্শ পরিবেশ ও পুরুন্তি ঘাসের জঙ্গলে গণ্ডারের আদর্শ পরিবেশ ও পুরুন্তি ঘাসের জঙ্গল থাকায় ওই এলাকাকে বেছেও নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ৩০ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পে ৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে পরিখা তৈরি, তারজালির ঘেরাটোপ বসানো ও কৃত্রিম জলাশয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। পরিমা তৈরির কাজ শুরুও হয়। কয়েক মাস আগে ওই পরিমার ৭২ মিটার অংশ ভেঙে পড়ায় জটিলতা বেড়ে যায়। বন দফতরের কয়েকজন আধিকারিক জানিয়েছেন, কাজের মান নিয়ে অভিযোগ ওঠায় ঠিকাদার সংস্থাকে তাদের টাকায় ভেঙে যাওয়া অংশ পূনর্নিমাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই প্রস্তাব না মানায় সংস্থাটির ১৮ লাখ টাকা দেবার বিষয়টিও আটকে যায়। তারপরেই ঘটনার জেরে আদালতে গড়ায়। কোচবিহারের ডিএফও পিনাকী মিত্র বলেন, “ওই প্রকল্প সংক্রান্ত একটি বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। ফলে এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আদালতের নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ নেব।” বনকর্তাদের একাংশের দাবি, টেন্ডারের মাধ্যমে হওয়া কোনও নির্মাণ কাজের অংশ ৬ মাসের মধ্যে ভেঙে পড়লে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকেই তার দায়িত্ব নিয়ে হয়। এই পরিস্থিতিতে কবে ওই প্রকল্প তালু হবে তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা কাটছে না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.