টুকরো খবর
রাজখোয়াদের সরিয়ে পরেশের নয়া কমিটি
শান্তিকামী সভাপতি, সহ-সভাপতি, বিদেশ সচিব, অর্থ সচিব বা সহ-সেনাধ্যক্ষের কর্তৃত্ব নস্যাৎ করে সংগ্রামপন্থী আলফার নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গড়লেন সেনাধ্যক্ষ পরেশ বরুয়া। আজ সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠিয়ে আলফার সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক লেফটেন্যান্ট অরুণোদয় দহোটিয়া জানান, আলফার বর্তমান কেন্দ্রীয় সমিতির আট সদস্য ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পথে হাঁটছেন। আলফার উদ্দেশ্য ও অসমের স্বাধীনতা আদায়ের দাবি নিয়ে আপস করা এই নেতাদের সরিয়ে, আলফার চলমান মুখ্য সামরিক কার্যালয়ে নতুন ১৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় সমিতি গঠন করা হয়েছে। অরবিন্দ রাজখোয়ার স্থানে আলফার নতুন সভাপতি হিসাবে যে অভিজিৎ বর্মণের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁকে চেনেনই না রাজখোয়া বা আলফার কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রদীপ গগৈয়ের জায়গায় নতুন সহ-সভাপতি এবং সেনাধ্যক্ষ হচ্ছেন পরেশ বরুয়া। নিজের নামের আগে, ‘মেজর জেনারেল’ লিখেছেন তিনি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া বাংলাদেশের কারাগারে রয়েছেন। সেই পদের দায়িত্ব নিয়ে, সহকারী সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন জীবন মরান। তাঁকে, চিত্রবন হাজরিকার স্থানে অর্থ সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সহ-সেনাধ্যক্ষ হচ্ছেন দুই বিশ্বস্ত সঙ্গী দৃষ্টি রাজখোয়া এবং বিজয় দাস। সহকারী অর্থ সচিব হলেন মাইকেল ডেকা ফুকন ও পার্থ গগৈ। সহকারী প্রশাসনিক সম্পাদক হচ্ছেন মন্টু শইকিয়া, নয়ন মেধি, সেলিম, আজহর আলি। সমীরণ ভুইয়াঁ, সাগর টপ্ন ও জ্যোতির্ময় ভরালি সহকারী সংস্কৃতি সম্পাদক মনোনীত হলেন। অরুণোদয় সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক থাকছেন। প্রাণময় অসম, শশধর চৌধুরির স্থলে বৈদেশিক সম্পাদকের ভার সামলাবেন। অবশ্য, খোদ রাজখোয়া ও আলোচনাপন্থী নেতা মৃণাল হাজরিকা বলছেন, “আলফার গঠনতন্ত্রে, এমনভাবে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গড়ার নিয়ম নেই। পরেশ নিজের খেয়ালখুশি মতো চলেছেন।”

খাদ্য নিরাপত্তা বিহার পরিকাঠামো ব্যয় চাইল
জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ার খরচ কেন্দ্রের কাছেই দাবি করল বিহার সরকার। সম্প্রতি জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা বিলটি সম্পর্কে বিভিন্ন রাজ্যের মতামত চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার জবাব দিতে গিয়ে রাজ্য সরকার পরিকাঠামো গড়ার খরচ দাবি করেছে। রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অথর্মন্ত্রী সুশীল মোদী বলেন, “আমরা চাই প্রত্যেকের জন্য খাদ্য। কিন্তু কেন্দ্র এই ব্যাপারে যে পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বলেছে সেই খরচ বহন করার ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। এই খরচ কেন্দ্রকেই দিতে হবে।” উল্লেখ্য, সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা বিলটি পেশ হওয়ার কথা। এই আইন বলবৎ করার জন্য যে বিষয়গুলির উপর রাজ্য জোর দিয়েছে, সেগুলি হল:
১) মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য কম্পিউটারাইজড পদ্ধতি চালু করা।
২) খাদ্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম তৈরি করা।
৩) প্রকল্প দেখভালের জন্য রাজ্যে একটি খাদ্য নিরাপত্তা কমিশন গঠন করতে হবে।
৪) ‘কমিউনিটি কিচেন’ চালানোর জন্য রান্না ঘর তৈরি করতে হবে।
৫) খাদ্য মানুষের ঘরে পৌঁছতে হবে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, এর জন্য যে পরিকাঠামো গড়া প্রয়োজন তার ব্যয়ভার বহন করার ক্ষমতা তাদের নেই। মোদীর বক্তব্য, তাদের যা রাজস্ব আদায় হয় তাতে এত খরচ বহন করা সম্ভব নয়। এই খরচ কেন্দ্রীয় সরকারকেই বহন করতে হবে। কেন্দ্র জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ-এর জন্য প্রায় ১২টি শ্রেণিতে উপকৃত মানুষকে ভাগ করার কথা বলেছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বক্তব্য, একেই বিপিএল এবং এপিএল নিয়ে প্রতিটি রাজ্যের সমস্যা রয়েছে। এই তালিকা তৈরি নিয়ে নানারকম অভিযোগ সব সময়ই শোনা যায়। তার উপরে যদি এতগুলি শ্রেণি বিন্যাসের কথা বলা হয়, তাতে সমস্যা আরও বাড়বে। বিহার সরকার মনে করে, এটি একটি অবাস্তব পরিকল্পনা।

বাজেয়াপ্ত কার্ডে টাকা তুলল পুলিশকর্তাই
সর্ষের মধ্যেই ভূত। অভিযুক্ত এক সরকারি কর্মীর বাজেয়াপ্ত করা এটিএম কার্ড দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার দায়ে গ্রেফতার করা হল ভিজিল্যান্স দফতরের এক ডিএসপি-কে। কয়েক মাস আগে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে রাজ্য খাদ্য দফতরের কর্মী মনোজ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল ভিজিলেন্স দফতর। তাঁর কয়েকটি এটিএম কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ক’দিন পরে মনোজ ভিজিল্যান্সের বিশেষ আদালতে জানান, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তদন্তে দেখা যায় যে ডিএসপি-র নেতৃত্বে মনোজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁর নির্দেশেই দুই কনস্টেবল এই কাজ করেছেন । ডিএসপি চন্দ্রপ্রকাশ পাসোয়ানে ১৪ দিন জেল হাজত হয়েছে। কনস্টেবল দু’জনকে গ্রেফতার হয়েছেন আগেই।

রাডিয়া-টেপ নিয়ে রিপোর্ট তলব
নীরা রাডিয়ার সঙ্গে রাজনীতিক, শিল্পপতি ও সাংবাদিকদের কথাবার্তার গোপন টেপ প্রকাশ নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। যাঁদের সঙ্গে রাডিয়ার কথাবার্তার টেপ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তাঁদের মধ্যে ছিলেন রতন টাটাও। ওই টেপের আর কোনও অংশ যাতে প্রকাশিত না হয় সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান টাটা। আজ সেই আবেদনের শুনানির সময়ে এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুনানির সময়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, দু’জন উচ্চপদস্থ অফিসারকে এই বিষয়ে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে টাটার আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হবে। তার আগে কেন্দ্রকে ওই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।

১৩৩৯ প্রশ্নের জবাব দিলেন জয়া
আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় জয়ললিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষ হল বুধবার। আজ বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতে বিচারপতি বি এম মল্লিকার্জুনাইয়ার এজলাসে হাজিরা দিয়ে তাঁর প্রশ্নের জবাব দেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক দিন ধরেই জয়ললিতাকে জেরা করছিলেন বিচারপতি। আজকের শুনানি নিয়ে বিচারপতির মোট ১৩৩৯টি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন জয়লিলতা। জয়ললিতার নিরাপত্তার খাতিরে মামলাটির শুনানি চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরুতে সরিয়ে আনা হয়েছে। আদালতে বিচারপতির প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি জয়ললিতা অভিযোগ করেছেন, জনতা দলের সভাপতি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদালত জানিয়েছে, মামলার বাকি শুনানি হবে সাধারণ আদালতে। পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৯ নভেম্বর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.