ঘুরে দাঁড়াতে কাতার এয়ারের হাত ধরতে পারে কিংফিশার। বুধবার কলকাতায় এসে কাতারের এই সরকারি বিমান সংস্থার চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার আকবর আল বাখের তাদের বিদেশি লগ্নি পরিকল্পনার উল্লেখ করেন। তার থেকেই বিমান শিল্প সূত্রের ইঙ্গিত, কাতার এয়ারের লক্ষ্য হতে পারে আর্থিক সঙ্কটে পড়া ভারতীয় সংস্থা কিংফিশার।
তবে বিদেশি লগ্নির সম্ভাব্য গন্তব্য কোনও ভারতীয় সংস্থাই কি না, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি বাখের। অন্য দিকে, কয়েকশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে কিংফিশারের লোকসান। সঙ্কট কাটাতে সংস্থাটি ইতিমধ্যেই বিদেশি পুঁজি চেয়েছে। এর থেকেই সংশ্লিষ্ট সূত্রের ধারণা, কাতার এয়ার কিংফিশারে লগ্নি করতে পারে। যদিও ভারতীয় কোনও বিমান সংস্থায় সরাসরি বিদেশি লগ্নির অনুমতি দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার। সেই অনুমতির জন্য দাবি তুলছে ভারতীয় সংস্থাগুলি। বাখের বলেন, “লগ্নির বিষয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। সময় হলেই নাম জানতে পারবেন।” |
সাংবাদিক বৈঠকে বাখের। নিজস্ব চিত্র |
দেশের বেশির ভাগ বিমান সংস্থাই এখন আর্থিক সঙ্কটে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানির চড়া দাম ও দেশে করের চাপে তাঁদের এই আর্থিক হাল বলে অভিযোগ সংস্থাগুলির। বাখেরও জানান, “জ্বালানির দাম যে হারে বেড়েছে, তাতে সংস্থার ৪২% খরচই হচ্ছে তেল কিনতে। গত বছরে খরচ হয়েছে ৩৫%।” তা সত্ত্বেও গত অর্থবর্ষে সংস্থার মুনাফা এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। আড়াই লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে ২৫০টি বিমান কেনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা।
গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় সপ্তাহে ৭ দিন উড়ান চালাতে শুরু করে সংস্থা। বাখেরের দাবি, এই রুটে ৯০% যাত্রীই পাচ্ছেন তাঁরা। শহর থেকে প্রতি সপ্তাহে এমিরেটসের ১২টি উড়ান দুবাই যাতায়াত করে। যেহেতু কলকাতা থেকে ইউরোপ যাওয়ার একটি মাত্র উড়ান (তাও সপ্তাহে ৪ দিন ফ্রাঙ্কফুর্ট পর্যন্ত), আমেরিকা যাওয়ার উড়ানই নেই, তাই পূর্ব ভারত থেকে ইউরোপ, আমেরিকার যাত্রী টানতে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এমিরেটস ও কাতার এয়ারের মধ্যে। বাখেরের দাবি, “দোহা থেকে কম সময়ে অন্য শহরের উড়ান ধরিয়ে দেওয়ায় ভাল যাত্রী পাচ্ছি।” |