জাতীয় সড়ক চার লেনের হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে গাড়ির সংখ্যা। এর ফলে আসানসোল-দুর্গাপুর অঞ্চলে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে ব্যাপক হারে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলেই এলাকার হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিদের ‘রেফার’ করে দেয় কলকাতায়। ফলে সেখানকার হাসপাতালের উপরে চাপ বাড়ছে। এই প্রবণতা রুখতে রবিবার সিটি সেন্টারের একটি নার্সিংহোমে আয়োজন করা হয়েছিল ‘লাইভ অপারেশন’। গুরুতর জখম এক ব্যক্তির ভাঙা হাঁটুতে অস্ত্রোপচার অপারেশন থিয়েটারের বাইরে থেকে টিভিতে দেখলেন কলকাতা, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোল ও বাঁকুড়ার প্রায় ৩০ জন চিকিৎসক।
শনিবার থেকেই দুর্গাপুরে হচ্ছে দু’দিনের ‘ট্রমা ওয়ার্কশপ’। সেখানে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞেরা। রবিবার এক রোগীর খণ্ড খণ্ড হয়ে যাওয়া হাঁটুর হাড় জোড়া লাগানো হয়। টিভিতে তিন ঘণ্টা ধরে তা দেখেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও জেনে নেন অস্ত্রোপচাররত চিকিৎসকদের কাছ থেকে। আয়োজকদের পক্ষে চিকিৎসক জয়দীপ ভট্টাচার্য জানান, এই ধরণের অস্ত্রোপচার কী ভাবে হয় তা হাতে কলমে দেখার সুযোগ ছিল চিকিৎসকদের সামনে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হাড় ভাঙার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে কর্মশালায়। চিকিৎসক দেবদত্ত চট্টোপাধ্যায়, দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়’রা জানান, পরিকাঠামো সব জায়গায় সমান থাকা সম্ভব নয়। তবু সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যেও আত্মবিশ্বাসে ভর করে অনেক জটিল অস্ত্রোপচার করা সম্ভব। এ দিন ওই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সে কথাই তুলে ধরা হয়েছে উপস্থিত চিকিৎসকদের মধ্যে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ নবারুণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দ্রুত হারে শিল্পাঞ্চলে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার বহর। স্থানীয় ভাবেই জখমদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জরুরি। তাতে যেমন রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন, তেমনই রোগীর আত্মীয় পরিজনদের হয়রানি কমবে, বাঁচবে অর্থও। |