দেড় বছর আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহের কাজ বন্ধ হয়ে থাকায় বিপাকে মালদহের রতুয়ার বাসিন্দারা। গত বর্ষায় বন্যায় বাঁধ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি তলিয়ে যায় জল সরবরাহের পাইপ লাইনও। তারপর থেকেই দেবীপুর ও কাহালা পঞ্চায়েতের ২০টি গ্রামে জল সরবরাহ বন্ধ। দীর্ঘদিন বাদেও ওই পাইপ লাইন সংস্কার করে জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এলাকা জুড়েই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মহকুমা পিএইচই দফতরের সহকারী বাস্তুকার গৌতম দত্ত বলেন, “ওই এলাকায় বন্যার জেরে পাইপ লাইন উপড়ে কিছু এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন করে ঘুরপথে পাইপ লাইন বসানো জরুরি। সে জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা দরকার। প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। টাকা পেলে কাজ হবে। আপাতত অস্থায়ী ভাবে যাতে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।” চাঁচলের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “প্রতিটি দফতর বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানায় সে জন্য একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে রতুয়ার জলের সমস্যা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রতুয়ার ফুলহার সংলগ্ন কাহালা এলাকায় ২০০৮ সালে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আর্সেনিক মুক্ত জল প্রকল্প ‘বালুপুর কাহালা আর্সেনিক মুক্ত জল সরবরাহ কেন্দ্র’ চালু হয়। জল সরবরাহের অধিকাংশ পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়া হয় নদীর উল্টোদিকে ফুলহার বাঁধ বরাবর। ২০১০ সালের বন্যায় সূর্যাপুর এলাকায় বাঁধের দু কিলোমিটার তলিয়ে যায়। নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় জল সরবরাহের লাইন। তারপর থেকে দ্রুত জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছেন রাধানগর, তেররশিয়া, দেবীপুর, বালুপুর, নিমতলা, আসুটোলা, মাকাইয়া, বাজিতপুর কলোনি, হরগোবিন্দপুর, দুর্গাপুর, কাহালা-সহ ২০টি গ্রামের ৩০ হাজারের বেশি বাসিন্দা। দূষিত জল খেয়ে ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে পেটের রোগও। নিজ উদ্যোগে নলকূপ বসানো ব্যয়বহুল হওয়ায় নলকূপের সংখ্যাও অপ্রতুল। যা রয়েছে তাও আর্সেনিক-যুক্ত। প্রকল্পের জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে থাকায় তাই পান করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাতাসি মন্ডল বলেন, “বাসিন্দারা আর্সেনিক মুক্ত জল দূরের কথা, পরিশ্রুত জলটুকুও পাচ্ছেন না।” |
বারিকুলে স্বাস্থ্যশিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • বারিকুল |
পুলিশের উদ্যোগে স্বাস্থ্যশিবির হয়ে গেল জঙ্গলমহলে। বাঁকুড়ার বারিকুল থানার শ্যামাডি প্রাথমিক স্কুলে শনিবার ওই স্বাস্থ্যশিবির হয়। শিবিরে শ্যামাডি, মুচিকাটা, চুরকু, হিজলি, কাঁঠালিয়া, মাধবপুর, রিমারডাঙা-সহ আশপাশের ১০-১২টি গ্রামের ২৯৩ জন পুরুষ ও মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়। বারিকুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক বিদ্যুৎবিকাশ মণ্ডল ও ঝিলিমিলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক জগদীশ মাহাতোর নেতৃত্বে স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। শিবিরে হাজির ছিলেন এসডিপিও (খাতড়া) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, ডিএসপি (কম্যান্ডো) পরাগ ঘোষ, ওসি (বারিকুল) প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। |