|
|
|
|
অসুস্থকে সাহায্য মন্ত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর উদ্যোগে বন্ধ ঢেকলাপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কিশোরী দীপিকা চিকবরাইকের চিকিৎসা শুরু হল শিলিগুড়িতে। শনিবার বীরপাড়া থেকে তাকে শিলিগুড়িতে এনে হিলকার্ট রোডের একটি নার্সিংহোমে নিজে গিয়ে ভর্তি করান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার সকালেও নার্সিংহোমে গিয়ে অসুস্থ দীপিকাকে দেখে আসেন তিনি। গৌতমবাবু বলেন, “বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ হচ্ছে। এখানে নতুন করে রক্ত এবং অন্যান্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে দীপিকার। মেয়েটির বাবা মা কেউ এই রোগের বাহক বলে চিকিৎসকদের সন্দেহ। রিপোর্টগুলি পেলে প্রয়োজনে এখান থেকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে দীপিকাকে ভর্তি করানো হবে। কলকাতায় সমাজসেবার কাজে যুক্ত হেমাটোলজির একজন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।” প্রায় এক দশক বন্ধ রয়েছে ডুয়ার্সের বীরপাড়ার ঢেকলাপাড়া চা বাগান। সঙ্কটে শ্রমিক পরিবারগুলি। ওই চা বাগানের নিরপানি ডিভিশনের বাসিন্দা রামচন্দ্র চিকবরাইকের পরিবার তার মধ্যে একটি। রামচন্দ্রবাবুর স্ত্রী জানকী দেবী ওই বাগানে কাজ করতেন। বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে বিপাকে পড়েন তাঁরা। পঞ্চম শ্রেণিতে উঠতেই বড় ছেলে রোহিত পড়াশোনা ছেড়ে বাবার সঙ্গে নদীতে পাথর ভাঙার কাজ করতে শুরু করেন। সবার ছোট ছেলে প্রাথমিক স্কুলে পড়ছে। দুই মেয়ে দীপিকা এবং শর্মিলা বীরপাড়া গার্লস স্কুলে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। মাস তিনেক আগে হস্টেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১১বছরের দীপিকা। বীরপাড়াতেই চিকিৎসককে দেখান হয়। পরে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় কলকাতা থেকে রক্ত পরীক্ষা করানো হল জানা যায় থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত দীপিকা। আর্থিক অনটনের মধ্যে কী ভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাবেন তা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন রামচন্দ্রবাবু এবং জানকী দেবী। চা বাগানের গরিব শ্রমিক পরিবারগুলিকে সাহায্য করতে গত ৯ অক্টোবর গৌতমবাবু চা বাগানে গেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানান দীপিকার বাবা, মা। এর পর মন্ত্রী উদ্যোগী হন ওই কিশোরীর চিকিৎসার জন্য। রামচন্দ্রবাবু বলেন, “কী ভাবে মেয়ের চিকিৎসা করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। মন্ত্রীর উদ্যোগে মেয়েটা নতুন করে বাঁচার রাস্তা খুঁজে পেল।” |
|
|
|
|
|