|
|
|
|
এসজেডিএ নিয়ে শাসক জোটে ফের টানাপোড়েন জলপাইগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) পরিচালন সমিতিতে জলপাইগুড়ির পুর চেয়ারম্যান এবং বিধায়ককে না-রাখায় কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে ফের ‘টানাপোড়েন’ শুরু হয়েছে।
এক দিকে, এসজেডিএ-র সদস্য হিসেবে শহরের দুই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে রাখা হয়নি। তার উপরে জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ দ্রুত চালু করতে আসরে নেমেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি ঘনঘন জলপাইগুড়িতে গিয়ে স্পোর্টস কমপ্লেক্স, হাসপাতাল ও শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও ত্বরান্বিত করছেন। এর ফলে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের সংগঠন ক্রমশ জোরদারের চেষ্টা হচ্ছে, এমন ‘আশঙ্কা’য় জেলা কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের নির্দেশে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন দলের যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পাল্টা সভা-সমাবেশ শুরু করেছেন যুব তৃণমূলের নেতা-সমর্থকেরাও। তার জেরে জলপাইগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকায় দুই শরিকের মধ্যে ‘টানাপোড়েন’ বেড়ে চলায় জোট শিবিরের একাংশে ‘উদ্বেগ’ তৈরি হয়েছে। বিশেষত, জলপাইগুড়ির চা ব্যবসায়ী মহলের আশঙ্কা, শাসক দলের শরিকদের মধ্যে টানাপোড়েন থাকলে সার্বিক উন্নয়নে প্রতি পদে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে যুব কংগ্রেসের মিছিল থেকে স্লোগান দিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ‘আক্রমণ’ করা হয়। বাম আমলে জলপাইগুড়ির বিরুদ্ধে যে বঞ্চনার অভিযোগ বিরোধী দলগুলি করেছে, সেই একই অভিযোগ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তুলছে যুব কংগ্রেস। শনিবার যুব তৃণমূলের তরফে পাল্টা মিছিল করে কংগ্রেস পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে তৃণমূলের নেতাদের একাংশ স্বীকার করেছেন, এসজেডিএ নিয়ে যে বঞ্চনার অভিযোগ, তার জবাব দেওয়ার মতো ‘যুক্তি’ নেই।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, দুই শরিক দলের সাম্প্রতিক ‘টানোপোড়েন’ কমাতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কয়েকটি পদক্ষেপ কার্যকর ভুমিকা নিয়েছে। তাদের দাবি, সম্প্রতি সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামোর জন্য ওই দফতর থেকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী সার্কিট বেঞ্চের কাজ দ্রুত শুরু করতে সব দফতরের সঙ্গে সমন্বয় চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বেহাল দশা কাটাতেও প্রায় ২২ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওই দফতর। শহরের জনমানসে গৌতমবাবুর ভাবমূর্তি ‘উজ্জ্বল’ হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের একটি অংশও গৌতমবাবুর উদ্যোগকে প্রকাশ্যেই সাধুবাদ জানিয়েছে। জেলা কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “গৌতমবাবু নিজে উদ্যোগী হয়ে কাজ করছেন। কিন্তু এসজেডিএ-তে কংগ্রেসের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাছে কংগ্রেসকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। এমন হলে তৃণমূলের প্রভাব আরও বাড়বে। আমরা কী বসে বসে দেখব! এটা মানব না।”
যুব কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এসজেডিএ-তে শহরের জনপ্রতিনিধিরা নেই কেন? এটা তো বঞ্চনা। যত দিন বঞ্চনা চলবে, তত দিন যুব কংগ্রেসের মিছিলে লোকসংখ্যা বাড়বে।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর পাল্টা বক্তব্য, “ওরা মিছিল না-করে উন্নয়ন নিয়ে সরাসরি মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন। মন্ত্রী সব বিষয়েই উদ্যোগী হয়েছেন।” |
|
|
|
|
|