টুকরো খবর |
ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা |
ভিড় ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের ভাসিলা স্টেশনের কাছে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মনিরুল ইসলাম (৩০) নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি দেগঙ্গার গোঁসাইপুর গ্রামে। হাসনাবাদগামী ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের এক ব্যবসায়ীর কাছে দর্জির দোকানে কাজ করতেন মনিরুল। পাওনা টাকা আনতে এ দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরোন। ভাসিলা স্টেশন থেকে সকাল ৯টা ৫ মিনিটের আপ হাসনাবাদ লোকাল ধরেন। ট্রেনে ভিড় ছিল। কোনও রকমে কামরার একটি হাতল ধরে উঠে পড়েন ওই যুবক। প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে খানিক দূর এগোতেই ট্রেন থেকে ছিটকে পড়েন মনিরুল। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা সে দৃশ্য দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন। মিনিট পনেরোর মধ্যেই উল্টো দিকে প্রিন্সেপঘাটগামী ট্রেনে তোলা হয় তাঁকে। বারাসতের কাছে কদম্বগাছি স্টেশনে পৌঁছে দেখা যায়, তত ক্ষণে নেতিয়ে পড়েছেন ওই যুবক। যাত্রীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বারাসতের রেলপুলিশ এসে মনিরুলকে নিয়ে যান। হাসপাতালে আনার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাত ফসকে ট্রেন থেকে পড়েছেন, না মনিরুলকে কেউ ঠেলে ফেলেছে, তা তদন্ত করে দেখছে রেলপুলিশ। টার বেড়া দেওয়া টালির ছাউনির ঘর মনিরুলের। দারিদ্র্যের চিহ্ন সর্বত্র। ছোট ছোট তিন ছেলেমেয়ে। তাঁর স্ত্রী জাহানারা বলেন, “ঘরে এক দানা চাল নেই। মহাজনের কাছ থেকে টাকা না আনলে হাঁড়ি চড়বে না, এই দশা। সে জন্যই বেরিয়েছিলেন স্বামী। এখন আমি কী করব, বুঝে উঠতে পারছি না।”
|
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন দুষ্কৃতী ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাগর |
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের মিশন মোড় থেকে শেখ সাহিন, জিয়ারুল মোল্লা এবং অহিদুল শেখ নামে ওই তিন জনকে ধরা হয়। ধৃতদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শ্যামলা মহিষটিকারি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরবাইক, দু’টি রিভলভার এবং দু’রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে কচুবেড়িয়া থেকে সাগরের দিকে যাচ্ছিল। মিশন মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরবাইক একটি ভ্যানে ধাক্কা মারে। তিন জনেই পড়ে যায়। উদ্ধার করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন জিয়ারুল ও অহিদুলের কোমরে গোঁজা রিভলভার দেখতে পান। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানায়, তারা লট-৮ ঘাট থেকে ভেসেলে মোটরবাইক নিয়ে কচুবেড়িয়া ঘাটে নামে। আগ্নেয়াস্ত্র দু’টি সাগরের চিমাগুড়ি গ্রামের একজনের কাছে দিতে যাচ্ছিল। মোটরবাইকটি তারা দিন কয়েক আগে হাড়োয়া থেকে চুরি করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য হাড়োয়া থানায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। আজ, সোমবার ধৃতদের কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হবে।
|
দেগঙ্গায় চুরি, প্রতিবাদে পথ অবরোধ ব্যবসায়ীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • দেগঙ্গা |
পুলিশ চৌকির অদূরেই ঘটে গেল চুরির ঘটনা। শনিবার গভীর রাতে দেগঙ্গা থানার হামাদামা বাজারে সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। একশো গজ দূরেই পাশেই পুলিশ চৌকি। দুই নৈশপ্রহরীও পাহারায় থাকেন। তা সত্ত্বেও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার এবং নিরাপত্তার দাবিতে রবিবার ভোর ৭টা নাগাদ রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। ঘণ্টা খানেক অবরোধের জেরে হাড়োয়া-বেড়াচাঁপা রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সমস্যায় ভুগতে হয় নিত্যযাত্রীদের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামাদামা বাজারে বড় রাস্তার পাশেই সোনার দোকানটি একটি বাড়ির দোতলায়। দোকানের মালিক বিশ্বজিৎ কর্মকার সকালে দোকান খুলতে এসে দেখেন সাটার ভাঙা। ভিতরে সিন্দুকটিও উধাও। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান, দড়ি বেঁধে ভারি সিন্দুকটি উপর থেকে নীচে নামানো হয়েছিল। এ দিকে, ঘটনার পর থেকে দুই নৈশপ্রহরীর খোঁজ মিলছে না। ব্যবস্যয়ীদের বক্তব্য, বাজার এলাকায় মদ-জুয়ার আড্ডা বেড়েছে। সন্ধের পর থেকে দুষ্কৃতীদের উপদ্রব বাড়ে। এলাকায় চৌকি থাকলেও পুলিশকর্মীদের ভূমিকা স্বচ্ছ্ব নয়। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
হাবরায় বেহাল রাস্তা, অবরোধ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হাবরা-বসিরহাট সড়ক সংস্কারের দাবিতে রবিবার সকাল ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো গ্রামবাসী। মূলত, ওই রাস্তার মছলন্দপুর স্টেশন থেকে নকপুল মোড় পর্যন্ত অংশেরই সংস্কারের দাবি তুলেছেন তাঁরা। অবরোধের জেরে বসিরহাটের সঙ্গে বনগাঁ এবং হাবরার সড়ক যোগাযোগ স্তব্ধ হয়ে যায়। গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। শেষ পর্যন্ত মছলন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কল্পনা বসু গিয়ে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। হাল রাস্তার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মৃত্যুও হয়েছে। অবরোধকারীদের অভিযোগ, রাস্তা সংস্কারের জন্য প্রশাসনের নানা মহলে দরবার করা হলেও সমস্যা মেটেনি। যান-চালকেরা জানিয়েছেন, রাস্তাটির ওই অংশে যাতায়াতের সময়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। রাস্তাটি পূর্ত দফতরের। সংস্কারের কথাও তাদেরই। ওই দফতরের বারাসত ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার সালাম মণ্ডল বলেন, “রাস্তাটি মোট ৩২ কিলোমিটার। মছলন্দপুরের ওই এলাকায় ১.৪ কিলোমিটার রাস্তা খারাপ। তার জন্য দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়া শেষ। শীঘ্রই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
|
ভূপেন হাজরিকার চিতাভস্ম সাগরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাগর |
প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজরিকার চিতাভস্ম রবিবার দুপুরে গঙ্গাসাগরে ভাসিয়ে গেলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। শিল্পীর বহু জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘সাগরসঙ্গমে সাঁতার কেটেছি কত...’। পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে শিল্পী তাঁর চিতাভস্ম গঙ্গাসাগরে ভাসানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সেই কারণে তাঁর পরিবারের ২৫ জনের একটি দল অসম থেকে গঙ্গাসাগরে আসেন।
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
মোটর বাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়া থানার তারাগুনিয়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তুলসি দাস (৭০)। একটি মোটর বাইক তাঁকে ধাক্কা মারে। বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মারা যান গনপুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধ। পুলিশ দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।
|
মৃতদেহ উদ্ধার |
এক ব্যক্তির মৃতদেহ মিলল। রবিবার, ব্যারাকপুর ১৪ নম্বর রেলগেটের কাছে রেলের পরিত্যক্ত কর্মী আবাসন থেকে। মৃতের নাম কমল চক্রবর্তী (৪৬)। তিনি স্টেশন সংলগ্ন দোকানগুলিতে কাজ করতেন। এই ঘটনায় স্থানীয়েরা তাপস দাস নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, ১৫ নভেম্বর কমলবাবুকে মারধর করেন তাপসবাবু। হাসপাতালে কমলবাবুকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় তিনি চিকিৎসা করাননি। ওই ঘটনার পর থেকেই তাপসবাবু দোকান খোলেননি। তাপসবাবুর খোঁজ চলছে।
|
বাসিন্দাদের ক্ষোভ |
নির্মীয়মাণ স্টেডিয়ামে মাটি ফেলছিল ব্যারাকপুর পুরসভা। কিন্তু কাঁচা রাস্তা নষ্ট হচ্ছে বলে মাটি বোঝাই লরি চলার প্রতিবাদ করেন স্থানীয় রয়্যাল পার্কের বাসিন্দারা। প্রতিকার না হওয়ায় শনিবার স্টেডিয়ামে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা। রবিবার লরি ঢুকতে গেলে গণ্ডগোল বাধে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সারানোর আর্জিতে কেউ কান দেননি। লরি ঢোকায় রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে ও দূষণ ছড়াচ্ছে। পুরসভার এই স্টেডিয়াম মোহনপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। পঞ্চায়েত ও পুর-কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের শান্ত করেন। সোমবার এ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে জানান ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস। |
|