২০০৪ সালে হাবরায় জোড়া খুনের মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জনকে আদালতের নির্দেশে ফের গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ শ্যামল বরকন্দাজ, সুকুর হালদার এবং বিশ্বনাথ সিংহকে ওই এলাকা থেকেই ধরে। এঁরা সকলেই তাপস দাস ওরফে বুল্টনের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০৪ সালের ২৮ জুন রাতে হাবরার বাণীপুরের হোমের মাঠ থেকে উদ্ধার হয় সমীর হাওলাদার এবং শঙ্কর মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তির দেহ। এলাকা দখলের লড়াইয়ের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে জানায় পুলিশ। বুল্টন-সহ ১৩ জনের নামে মামলা দায়ের হয়। ১৯ জুলাই ধরা পড়েন বুল্টন-সহ ১০ জন। বারাসত আদালতে মামলা শুরু হয়। প্রমাণাভাবে ১৬ অগস্ট সকলকে ‘বেকসুর খালাস’ বলে ঘোষণা করে আদালত।
এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিল তৎকালীন রাজ্য সরকার। ২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তদের ফের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় অমিত তালুকদার ও অরুণ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। বুল্টন-সহ ৫ জন হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন।
বাকি অভিযুক্তেরা কেউই হাইকোর্ট থেকে জামিন নেননি। বার বার তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হলেও আদালতে আসেননি কেউ। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্ট সম্প্রতি বারাসত আদালতকে এক নির্দেশে জানায়, অভিযুক্তদের ধরতে পদক্ষেপ করা হোক। বারাসতের সিজেএম আদালত ‘ফেরার’ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেয় পুলিশকে। সেই মতোই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অশোকনগর থানার পুলিশ। যদিও এখনও পাঁচ জন অধরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন।
তিন জনকে নতুন করে গ্রেফতারের ঘটনায় জোড়া খুনের মামলা নতুন মোড় নেবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। তবে বুল্টন-সহ পাঁচ জন আগাম জামিন নেওয়ায় তাঁদের এখনই গ্রেফতারের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ। |