নদিয়ায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ নিয়ে সরাসরি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে চান কিছু ব্যবসায়ী সংগঠন। রবিবার রানাঘাটে জেলার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাকা একটি আলোচনা সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন দাবি করেন, ওই সড়ক সম্প্রসারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন অনেক ব্যবসায়ী। সে ক্ষেত্রে তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্পাদক গোকুলবিহারী সাহা বলেন, “সড়ক সম্প্রসারণ হোক এটা আমরাও চাই। কিন্তু তার ফলে পলাশি থেকে বড় জাগুলিয়া কালীবাজার পর্যন্ত ৫৫৫৩টি দোকান ভাঙা পড়বে। এর ফলে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ সমস্যায় পড়বেন। সেক্ষেত্রে যাঁদের নিজস্ব জমি রয়েছে, তাঁরা তো ক্ষতিপূরণ পাবেনই, কিন্তু যাঁরা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন, তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ওই সব দোকানে অনেক কর্মী কাজ করেন। তাঁদের কথাও প্রশাসনকে ভাবতে হবে।’” তিনি বলেন, “প্রয়োজন মনে করলে বহুতল বাজার তৈরি করে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দিতে হবে। এই ব্যবসায়ীদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ব্যবস্থা করে দিতে হবে বিদ্যুৎ ও জলেরও।”
গোকুলবাবুর দাবি, “দীর্ঘ দু’বছর ধরে প্রশাসনের সঙ্গে এই নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে চাইছি আমরা। কিন্তু প্রশাসন সেই ভাবে সহযোগিতা করতে চাইছে না।” তবে জেলাশাসক অভিনব চন্দ্র বলেন, “সবে মাপজোক করার কাজ শুরু হয়েছে। তারপর আসবে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি।” তিনি বলেন, “এই সড়ক সম্প্রসারণের মাপজোকের ক্ষেত্রে পলাশি থেকে শান্তিপুরের আগে পর্যন্ত এলাকার ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি। জেলার বাকি অংশের ব্যবসায়ীরা কিন্তু সে ভাবে সহযোগিতা করছেন না।”
তবে রানাঘাট অটো মোবাইল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অমলেশ দত্ত বলেন, “শুধু রানাঘাটেই জাতীয় সড়কের দু’ধারে ৪৫০টির মতো দোকান রয়েছে। এর মধ্যে দেড়শোটির মতো অটো মোবাইলের দোকান। আমরা চাই আগে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি আলোচনা করা হোক। তারপরে কাজকর্ম শুরু হোক। সেক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করব।” ফেডারেশন অফ ট্রেড অর্গানাইজেশনের সাধারণ সম্পাদক তারকনাথ ত্রিবেদীর কথায়, “ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে কোনও কাজ করলে আমরা আন্দোলনে নামব।” জেলার মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের অবশ্য বক্তব্য, “ওই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিপূরণ তো পাবেনই। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে।” |