|
|
|
|
গোয়ালতোড়ে ফের মাওবাদী পোস্টার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোয়ালতোড় |
ফের গোয়ালতোড়ে মাওবাদী পোস্টার মিলল। রবিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০-১২টি পোস্টার উদ্ধার করে পুলিশ। পোস্টারে বিধায়কদের ভাতা বাড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চাওয়ার পাশাপাশি জঙ্গলমহলে চরবৃত্তি করলে গণ-আদালতে ‘শাস্তির’ হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা পোস্টারগুলি এ দিন সকালে প্রথমে চোখে পড়ে শহরের বাসিন্দাদের। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, নভেম্বরের গোড়ায় গোয়ালতোড় শহরেই একাধিক মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাতে প্রতিশ্রুতি মতো কাজ না করায় জঙ্গলমহলের তৃণমূল বিধায়কদের ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিএসপি (অপারেশন) অনীশ সরকার বলেন, “রবিবার গোয়ালতোড়ে বেশ কয়েকটি মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”
এ দিকে, গোয়ালতোড় থানারই পাটাশোল গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প চালু ও স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের দাবিতে পোস্টার পড়েছে এদিন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে সন্ধ্যাবেলা পাটাশোলে মোটর সাইকেলে চেপে ৩-৪ জন দুষ্কৃতী মাওবাদীদের নাম করে তোলা তুলতে এসেছিল। ওই রাতেই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় এসে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিলেন। গ্রামে পুলিশ ক্যাম্পের দাবিতে পরদিন পাটাশোলের বাসিন্দারা গোয়ালতোড়-সারেঙ্গা রাস্তা অবরোধও করেন। পরে এলাকার বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর মধ্যস্থতায় গণ্ডগোল মেটে। পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে আন্দোলন তুলে নেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু ঘটনার পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও সনাতন মাহাতো নামে এক জন ছাড়া বাকি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পও বসেনি। ফলে আজ, সোমবার থেকে পাটাশোলের বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন। এ জন্য তাঁরা এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচার শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “প্রায় প্রতি দিনই গ্রামে অচেনা লোকজন ঘোরাফেরা করছে। গোপন বৈঠক হচ্ছে। তাই নিরাপত্তার দাবিতে এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প চালুর পাশাপাশি সে দিনের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রামেরই বাসিন্দা গোপাল পাণ্ডে-সহ বাকিদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ডিএসপি (অপারেশন) অনীশ সরকার বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। গ্রামে দ্রুত ক্যাম্প বসানোর চেষ্টা চলছে। যদিও এখন প্রতিদিনই গ্রামে টহল দেওয়া হয়। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। গ্রামবাসীরা যাতে আন্দোলনে না নামেন, তার জন্য আলোচনা চলছে।” |
|
|
|
|
|