রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আসন্ন বিধানসভার উপনির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা থেকে সরে দাঁড়াল ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সবুজ সঙ্কেত নিয়ে হাজারিবাগ জেলার মান্ডু আসনের উপনির্বাচনে এনডিএ-র শরিক জেডিইউকে সমর্থন না-করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী। একই সঙ্গে আজ তিনি বলেন, “দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘ভ্রষ্টাচারী’ কংগ্রেস এবং তার দোসরকে হারাতে ওই উপনির্বাচনে বিজেপি রাজ্য সরকারের জোটসঙ্গী ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাকেই (জেএমএম) সমর্থন করবে।” বিজেপির এই সিদ্ধান্তের পিছনে মূলত রাজ্য সরকারকে টিকিয়ে রাখার তাগিদটাই প্রকাশ পাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা অন্য রকম। মান্ডু আসনের উপনির্বাচনে এনডিএ-র শরিক জেডিইউকে সমর্থন না-করার কারণ হিসেবে রাজ্য বিজেপি সভাপতির বক্তব্য, উপনির্বাচনে জনতা দল (ইউনাইটেড) তার নির্বাচনী প্রতীক পায়নি। তাকে লড়তে হচ্ছে অন্য প্রতীক নিয়ে। ভোটের বাজারে দীর্ঘ দিনের দলীয় নির্বাচনী প্রতীকের কাযর্করী একটা প্রভাব থাকে। যা এ বার ওখানে জেডিইউ পাবে না। তাছাড়া মান্ডু আসনটি ছিল জেএমএম-এর দখলে। তাই সরকারি শরিকের সঙ্গে জোটধর্ম পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে কংগ্রেসকে পরাস্ত করাই বিজেপি-র লক্ষ্য। মান্ডুতে সেই লক্ষ্যপূরণে সরকারের জোটসঙ্গী জেএমএম অনেকটাই এগিয়ে।
এ দিকে, মান্ডুর উপনির্বাচনে জেএমএমকে সমর্থন করার পিছনে দলের অন্য অঙ্ক রয়েছে বলেও মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। যেমন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য শিবলাল ঘোষ মনে করেন, আগামী লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই ঝাড়খণ্ডে জেএমএমকে এনডিএ-র কাছে টানার চেষ্টা শুরু হয়েছে। মান্ডুর উপনির্বাচনে জেএমএমকে সমর্থন সেই প্রক্রিয়ারই সূচনা করল। |