ফের আর এক দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে স্কুল খোলার কাজ শুরু করে দিল বিহার সরকার। পটনা হাইকোর্টে গিরীশ কুমার নামের সরকারি ওই কর্মীর আবেদন খারিজ হওয়ার পরে গত কাল তাঁর বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে তালা ঝুলিয়েছে বিহার সরকারের ভিজিল্যান্স বিভাগ। সরকার সূত্রে খবর, আগের বারের মতো এ বারও বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই বাড়িটিতে খুব শীঘ্রই স্কুল খুলবে সরকার।
এর আগে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রাখার অভিযোগে শিবশঙ্কর বর্মা নামের এক আইএএস অফিসারের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছিল নীতীশ সরকার। ওই স্কুলে ইতিমধ্যেই দলিত শিশুদের জন্য স্কুল খোলা হয়েছে। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেই নীতীশ কুমার ঘোষণা করেছিলেন, সরকারে এলে রাজ্যে দুর্নীতি ঠেকাতে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নয়া আইন করে তাদের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করবেন তিনি। আর দুর্নীতির অর্থে তৈরি ওই বাড়িতেই গরিব ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুল খুলবে সরকার। সেই নিয়মেই গিরীশকুমারের বাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্য।
গিরিশকুমার বাবার মৃত্যুতে ১৯৯২ সালে জেলাশাসকের অফিসে কেরানির চাকরিতে যোগ দেয়। ২০০৬ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করে রাজ্য ভিজিল্যান্স দফতর। তদন্তের পরে বিশেষ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। চলতি বছরের মাঝামাঝি বিশেষ আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর পর গিরিশ কুমার পটনা হাইকোর্টে আবেদন করলে গত সপ্তাহে তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। ভিজিল্যান্সের এক কর্তা বলেন, “ওই দোতলার বাড়ির বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকার উপর। সরকার থেকে ওই বাড়িতে স্কুল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে বর্মার বিরুদ্ধেও বেআইনি সম্পত্তি রাখার অভিযোগ ছিল। ওই আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তে চলতি বছরের এপ্রিলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পটনার রুকুনপুর এলাকায় ওই অফিসারের বাড়ি বজেয়াপ্ত করে সেখানে স্কুল তৈরি করা হয়। যার মূল্য দেড় কোটি টাকা। |