কসবায় গৃহবধূ জয়া চক্রবর্তীর পেটে লাথি মারার ঘটনায় পুলিশের ‘আরও সক্রিয় ভূমিকা’ নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছে রাজ্য মহিলা কমিশন। এই ঘটনায় সুশীল বাগ ও শীতল কর্মকার নামে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার রাতে জয়াদেবীর সঙ্গে তাঁর দুই ননদ শেফালি প্রসাদ ও শিপ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রবিবার মহিলা কমিশনের এক প্রতিনিধিদল জয়াদেবীর বাড়ি ও থানায় যায়। কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনায় পুলিশ যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি। তাদের আরও একটু সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল।”
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে শেফালিদেবী যখন গাড়ি পার্ক করছিলেন, তখন তাঁর উপরে চড়াও হয় সুশীল ও শীতল। জয়াদেবী ও শিপ্রাদেবীও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। জয়াদেবীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, তিনি দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ডিসি (সাউথ সাবার্বান ডিভিশন) বিশ্বরূপ ঘোষ বলেন, “এম আর বাঙুর হাসপাতাল যে রিপোর্ট দেবে, তার ভিত্তিতেই পরবর্তী তদন্ত হবে।”
এ দিকে, রবিবার এম আর বাঙুরে জয়াদেবী অন্তঃসত্ত্বা কি না, তার প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাত পর্যন্ত তিনি গর্ভবতী বলে প্রমাণ মেলেনি। হাসপাতালের সুপার কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, “মূত্র-পরীক্ষার রিপোর্টে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রমাণ মেলেনি।” তবে আজ, সোমবার জয়াদেবীর আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হবে। |