কালী মন্দির থেকে গয়না চুরি করে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সোনা-রূপোর দোকানে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক তরুণ। ধৃতের নাম কালিয়া পাসি। বাড়ি দুর্গাপুরের আমরাতে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইলামবাজার থেকে এক যুবক কোকা বেদ ও দুর্গাপুরের আমরাই থেকে রাজু পাসি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মন্দিরে চুরি যাওয়া গয়নাগুলিও। রবিরার ধৃতদের বোলপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক রাজু পাসিকে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকিদের ১৪ দিন জেলহাজত হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজারের সাহাপাড়ার সাহাপরিবারের কালী মন্দিরের দরজায় তালা ভেঙে গয়না চুরির ঘটনাটি প্রথম জানাজানি হয় শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ। ওই পরিবারের এক মহিলা সদস্য তপতী সাহা সকালে মন্দিরে গিয়ে চুরির ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে ইলামবাজার থানায় খবর দেন। সাহা পরিবারের দুই সদস্য শ্যামল সাহা ও জগন্নাথ সাহারা বলেন, “সকাল ১০টা নাগাদ যখন আমরা মন্দিরে চুরির ঘটনার থানায় লিখিত ভাবে জানানোর কথা ভাবছি। তখন এলাকার সোনারূপোর দোকান থেকে খবর আসে সম্ভবত মন্দিরের চুরি যাওয়া গয়না বিক্রি করতে এসেছে এক তরুণ। একটি গয়না দেখা মাত্র নিশ্চিত হই সেগুলি আমাদের মন্দিরের। তখন ইলামবাজার থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।” দোকানের মালিকের ভাইপো অনুপম চৌধুরী বলেন, “এলাকার কালী মন্দিরে চুরি যাওয়ার খবর পেয়েছিলাম। সকালে যখন লুগিয়ে গয়না বিক্রি করতে আসে তখন সন্দেহ হওয়ায় দু’জনকে বসতে বলে সাহা পরিবারের সদস্যদের জানাই।” পুলিশ জানায়, মোট তিন জনকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি যাওয়া সমস্ত কিছুই পাওয়া গিয়েছে। তারা সকলেই এই মুহূর্তে ইলামবাজার ফুটবল মাঠে অস্থায়ী বসতি গড়েছে। |