ওয়াল স্ট্রিট প্রতিবাদীদের চোখে মরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট দখল আন্দোলনে সামিল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডেভিসের ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার তাঁদের চোখে মরিচ গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় ক্যাম্পাস পুলিশ। ঘটনার ভিডিও ক্লিপিংস মোবাইল থেকে মোবাইলে, ইন্টারনেটে যত ছড়িয়েছে, ততই বেড়েছে উত্তেজনা। নিরস্ত্র, অহিংস ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এমন আচরণে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ লিন্ডা ক্যাথির ইস্তফার দাবি উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন বিবৃতিতে বলেছে, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাথি যে ভাবে ছাত্রদের দিকে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন, তাতে ওঁর অযোগ্যতাই প্রমাণিত হয়েছে।” |
মরিচ গুঁড়োয় আক্রান্ত ছাত্রের চোখে জল ঢালছেন বন্ধু। ছবি: এ পি |
ফেসবুক ও টুইটারে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। অভিনেত্রী মিয়া ফারাও টুইট করেছেন, “ওয়াল স্ট্রিট প্রতিবাদে সামিল ছাত্রদের উপরে মরিচ গুঁড়ো ছড়ানোর ভিডিও দেখে পিলে চমকে ওঠে।” শুক্রবারের ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রতিবাদে সামিল হন মানুষ। তাঁরা অধ্যক্ষ ক্যাথির পদত্যাগ দাবি করেন। টেলিগ্রাফ অ্যাভিনিউয়ের ফক্স থিয়েটার চত্বরে প্রতিবাদকারীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতে গেলে পুলিশ তাদের হঠিয়ে দেয়। পুলিশের মুখপাত্র জোহানা ওয়াটসন জানিয়েছেন, কোনও জায়গাতেই কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে কেউ যাতে অবস্থান বিক্ষোভে না বসতে পারে সে দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওয়াল স্ট্রিট দখল আন্দোলনের সমর্থক ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের ভিতরেই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। ক্যাম্পাস পুলিশ ডাকেন ক্যাথি। সেই ফোর্সেরই এক অফিসার ছাত্রদের মুখে মরিচগুঁড়ো ছড়িয়ে দেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে ছাত্ররা জামা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছেন। বারণ করছেন। কিন্তু অফিসার মরিচগুঁড়ো ছড়িয়েই চলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ক্যাথি লিখেছেন, “এই ভিডিও দেখে আঁতকে উঠেছি। তবে এমন পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কী করে সামলানো যাবে সে প্রশ্নও উঠে আসছে।” পরে শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনেও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ক্যাথি।
সেই সঙ্গে পুলিশ ডাকা নিয়ে সাফাই দিয়ে বলেছেন, “ক্যাম্পাসকে বিপদমুক্ত করার জন্য যা করা উচিত মনে করেছি, সেটাই করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখাই আমার কাছে প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। সে জন্যই ক্যাম্পাস পুলিশ ডাকি।” তবে পদত্যাগ করার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন ক্যাথি। |