মোবাইলের এসএমএস-বার্তার উপরে এ বার ‘সেন্সরশিপ’ চালু করছে পাকিস্তান। খুন বা শয়তান বা পণবন্দি বা মাতাল এমন কোনও শব্দই এসএমএস-এ লেখা চলবে না। পাক প্রশাসন সে রকম ১৭০০ শব্দের একটি তালিকা তৈরি করেছে।
পাক টেলিযোগাযোগ কতৃর্পক্ষ (পিটিএ) আগামিকাল থেকে এই ফরমান জারি করছেন। কাল থেকে মোবাইলে এসএমএস পাঠানোর সময় ‘অশালীন’ শব্দ লেখা থাকলে সেই এসএমএস আর পৌঁছবে না। মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলিকে পিটিএ-র নির্দেশ, ওই তালিকার কোনও শব্দ এসএমএস-এ পাওয়া গেলে, সেই এসএমএস আটকে (ব্লক) দিতে হবে।
কিন্তু নজর কেড়েছে ওই ১৭০০ শব্দের তালিকা। যার মধ্যে ইংরেজি ‘ড্যাম’ থেকে শুরু করে ‘যিশুখ্রিস্ট’ বা ‘ক্র্যাপ’ থেকে শুরু করে পণবন্দি, হারেম ও সমকামী-র মতো শব্দও স্থান পেয়েছে। ওই তালিকায় আছে বেশ কিছু উর্দু শব্দও। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাকিস্তানে ইন্টারনেট ফোরাম-এর লোকজন পিটিএ-র এই তালিকা নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি করছে। কেউ কেউ হাজার মাথা ঘামিয়েও বুঝতে পারছেন না কেন ওই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ‘অ্যাথলিটস ফুট’, ‘ডিপোজিট’, ‘ব্ল্যাকআউট’, ‘পেন্টহাউস’-এর শব্দ?
পিটিএ-র অধিকর্তা মহম্মদ তালিব ডোজার দিন কয়েক আগে ‘অশালীন শব্দের’ তালিকার সঙ্গে একটি চিঠি পাঠান মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলিকে। তাঁর বক্তব্য, “কয়েক মাস ধরে মোবাইল সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলে ওই তালিকা তৈরি হয়েছে। অবাঞ্ছিত (স্প্যাম) মেসেজ ঠেকাতে এই ব্যবস্থাভাবা হয়েছে।
|
স্মারকলিপি কাণ্ডে বৈঠক জারদারি ও হক্কানির
সংবাদসংস্থা • ইসলামাবাদ |
গোপন স্মারকলিপি কাণ্ডে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশা পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী মনসুর ইজাজের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রবিবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে এই খবর সামনে এসেছে। ২২ অক্টোবর লন্ডনের এক হোটেলে দু’জনে দেখা করেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে দু’জনের মধ্যে কথা হয়। এর মধ্যে রবিবারই আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য হক্কানি ইসলামাবাদে এসে পৌঁছেছেন। একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর আজ সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বাসভবনে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন হক্কানি। তবে বিশেষ সূত্রে খবর, তাঁদের এই সাক্ষাৎ বেসরকারি। যদিও অভিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে যে কোনও তদন্তের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি আমেরিকায় পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হক্কানির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনকে গোপন স্মারকলিপি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি পাক সংবাদপত্র দাবি করেছিল, স্মারকলিপিতে পাকিস্তানে ফের সেনা অভ্যুত্থান রুখতে ওবামা প্রশাসনকে সাহায্য করার ‘অনুরোধ’ জানান জারদারি। ইজাজের মাধ্যমেই ঘটনাটি সামনে আসে। ইজাজের দাবি, এই ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও খবর, ইজাজ যে সব তথ্য-প্রমাণ দিয়েছেন, সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশা এই বৈঠক সম্পর্কে জানান পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসফাক পারভেজ কিয়ানিকে। ১৫ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে করেন কিয়ানি এবং পাক প্রেসিডেন্ট জারদারি। বৈঠকের পরই জারদারি জানিয়েছিলেন, এই ঘটনায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য হক্কানিকে ইসলামাবাদে ডেকে পাঠানো হয়েছে। |