সব বই তাদের জন্য, জেনেই খুশি খুদেরা |
বাবা-মায়ের হাত ধরে গোল গোল চোখ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। বিশেষ বায়না না করেও হাতে চলে আসছে ঝকমকে মলাটের নানা বই। কেউ খুশি ‘কাকাবাবু’ পেয়ে, কারও ঝোঁক আবার কমিক্সে। খুদেদের আনাগোনায় তিন দিনের মধ্যেই আসানসোলের রবীন্দ্রভবন চত্বরে রীতিমতো জমে উঠেছে শিশু বইমেলা।
বছর তিনেক আগে শীতের শুরুতে একটি সংস্থার উদ্যোগে এই শিশুমেলা শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রভবন চত্বরে। গত বছর প্রাঙ্গণ ফাঁকা না পাওয়ার কারণে ময়দানে স্থানান্তর হয়েছিল মেলা। এ বার ফের পুরনো চত্বরে মেলা বসেছে। মেয়র আসতে না পারায় গত শুক্রবার মেলার উদ্বোধন করে এক শিশুই। মেলা চলবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত। রবিবার কল্যাণপুর থেকে মেলায় এসেছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র দেবমাল্য দাস। তার বেশি পছন্দ আঁকার বই। মায়ের হাত ধরে মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল কেজি ওয়ানের ছাত্র রুদ্রজিৎ সরকার। আঁকা শেখার বইয়ের পাশাপাশি কমিক্স বই খোঁজার ফাঁকে সে বলে, “সব বই নাকি আমাদের জন্য! খুব ভাল লাগছে এখানে এসে।”
এক বই বিক্রেতা দেবব্রত সাহা বলেন, “গোপাল ভাঁড়, বীরবলের বইয়ের চাহিদা বেশি।” এক প্রকাশক সংস্থার তরফে কার্তিক প্রামাণিক জানান, শুধু শিশুদের জন্য বই বিক্রি করেও মুনাফা হবে বলে আশাবাদী তাঁরা। তবে নানা স্কুলে পরীক্ষা চলায় অনেক কিশোর-কিশোরী আসতে পারছে না বলে খেদ তাঁদের। কার্তিকবাবুদের কথায়, “পরীক্ষা না চললে আরও ভিড় হত।” |
আর এক প্রকাশনা সংস্থার তরফে রবীন্দ্রনাথ বালা আবার জানান, তাঁরা খুব খুশি। আবোল তাবোলের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্যুইজের বই বিকোচ্ছে দেদার। একটি স্টলের মালিক জয় মণ্ডল জানালেন, পাওয়া যাচ্ছে ‘রেফারেন্স’ বইও। তাঁর কথায়, “ভালই বিক্রি হচ্ছে। অন্য বারের থেকে এ বার বিক্রি বেশি।”
শিশুমেলায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা। সে জন্য খুশি নিউ আপার চেলিডাঙার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী রায়চৌধুরী থেকে নার্সারির পড়ুয়া তৃষা চক্রবর্তীরা। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক সুমন দাস জানান, প্রথম বছর যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে তাঁরা শুরু করেছিলেন, তৃতীয় বছরে এসে তা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সুমনবাবুর কথায়, “আমাদের বিশ্বাস, পরের বছর মেলায় ভিড় এবং জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।” |