অবহেলা এবং আদর
সঙ্কটে স্থাপত্য
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির নহবৎখানা।
ছবি: প্রবীর মালাকার।
মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সহায়তায় রাজা রুদ্র রায় (১৬৮৩-১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দ) এক দক্ষ মুসলিম স্থপতিকে দিয়ে চারমিনারের আদলে কৃষ্ণনগরে চক বা কেল্লা, নহবৎখানা, মূল তোরণ, রাজপ্রাসাদ ও নাটমন্দির তৈরি করেছিলেন। নদিয়ার রাজবাড়ির হস্তীশালা, অশ্বশালা, চিড়িয়াখানা আজ নিশ্চিহ্ন। ইন্দোপারসিক স্থাপত্য আর খিলান, মিনার ও স্তম্ভ শোভিত তিন তলা নহবৎখানাটিও আজ জরাজীর্ণ। দেওয়াল থেকে পলেস্তরা খসে পড়েছে। ছাদও খসে পড়ছে। ইটের ফোঁকরে জঞ্জাল, আগাছা ও পাখিদের বাসা তৈরি হয়েছে। দোতলায় ওঠার সিঁড়িগুলিরও ভঙ্গুর দশা। এখানেই এক সময় সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে বেজে উঠত সানাইয়ের সুর ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। জমে উঠত মুজরা।
রাজপরিবার ও সরকারি কর্তাদের কাছে অনুরোধ, নহবৎখানা আর চক মিনারটি দ্রুত সংস্কার করুন। সংস্কার করা হলে নহবৎখানা ও চকমিনার-সহ কৃষ্ণনগর রাজবাড়িটি পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। নচেৎ ঐতিহ্যময় বিরল ওই স্থাপত্য ধ্বংস হয়ে যাবে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নহবৎখানার ধারণাও বিলুপ্ত হয়ে পড়বে। নদিয়াবাসী তাঁদের অতীত, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তখন হারিয়ে ফেলবে। ঐতিহ্য রক্ষা করতে উদ্যোগী হোক রাজপরিবারের বর্তমান বংশধর ও সরকার।
প্রবীর মালাকার, কৃষ্ণনগর

আদিবাসী কুমনি
ছিপ-ফাতনা দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে আমরা অভ্যস্ত, জাল দিয়েও তাই। কিন্তু বর্ষাকালে ডুয়ার্সে এলে মাছ ধরার অন্য আর এক অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়। স্থানীয় আদিবাসী জনজাতি মানুষেরা ওই এলাকার নদীতে মাছ ধরে এক বিশেষ উপকরণ দিয়ে। বাঁশের তৈরি এই উপকরণকে আদিবাসীরা ‘কুমনি’ বলে থাকে। এই ‘কুমনি’ আদিবাসী জনজাতির মানুষের শিল্পমনস্কতার পরিচয় বহন করে। মাছ ধরার আধুনিক যন্ত্রগুলিও এখনও গ্রাস করতে পারেনি ‘কুমনি’কে। ‘কুমনি’ বেঁচে আছে তার আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতির মৌলিক নিদর্শন হয়ে।
আশিসকুমার রায়। জলপাইগুড়ি
 
জন গণ নমো...
  • প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিচারে দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে প্রথম পুরস্কার
    জিতে নিল পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো। এ বারের বিষয় ছিল পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য।
    বিষয়টি বেছে নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সেই
    অনুযায়ী ট্যাবলো তৈরি করেন শিল্পী বাপ্পাদিত্য চক্রবর্তী।

  • দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের মহড়ায় পড়ুয়ারা।

  • প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ২৬ জানুয়ারি একটি অনুষ্ঠান হল কৃষ্ণনগর জেলা স্টেডিয়ামে।

  • নবীন চোখে ২৬ জানুয়ারি। নিউ আলিপুরে সুরুচি
    সঙ্ঘের এক ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতায়।

  • রেড রোডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

  • প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ইন্ডিয়া গেটের আলোকসজ্জা।



  • ঝান্ডা উঁচা রহে হামারা।

  • প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ছোটোদের অনুষ্ঠান।

  • চক, পেনসিল, পেন ও ছবি আঁকার তুলি দিয়ে তৈরি হচ্ছে সরস্বতী।

  • সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ব্যস্ত শিল্পীরা।

  • শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বহরমপুরের একটি স্কুলে।

  • ...তোমায় দেখে দেখে। পছন্দের প্রতিমা বেছে নিচ্ছে এক খুদে।

  • সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ।

  • মণ্ডপে যাওয়ার আগে শেষ প্রস্তুতি।

  • পুজোর দিন ভোগ খেতে মশগুল...

  • সরস্বতী পুজোর বিভিন্ন মণ্ডপ।

  • পুজোর সকালে তোলা বিভিন্ন চিত্র।

  • প্রথম শাড়ি পরার উচ্ছ্বাস। সরস্বতী পুজোর সকালে।

—নিজস্ব চিত্র

পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ইতিমধ্যেই পস্তাচ্ছি আমরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল হাতেনাতে পেয়েও টনক নড়ে ক’জনের?
ব্যাতিক্রম অবশ্য আছে। আর সেই ব্যাতিক্রমী মানুষদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ করি আমরা। তাঁদের দলবদ্ধ অথবা ব্যক্তিগত
উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পাঠক সমক্ষে নিয়ে আসার পরিকল্পনার শরিক হতে চাইলে আমাদের জানান নীচের ঠিকানায়

সংবাদের হাওয়াবদল
হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com
 
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদলআপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ