ভেজ-ই কেবল
পাতা ঝরার মরশুম চলছে। বাঙালি-বাড়ির শীতবস্ত্র হয় উঠছে আলমারিতে, নয়তো বা যাচ্ছে ধোপাবাড়ি।
তেমনই গাছেরাও নিজেদের পাতা-বাকলের পোশাক খুলতে ব্যস্ত। তবে বাজারে গেলে এখনও দেখা মিলছে বসন্তের
তরিতরকারির সঙ্গেই শীতকালীন বেশ কিছু সব্জির। সব মিলিয়ে হেঁশেলে এ বার শুধু ভেজিটেবল, মানে কেবল ভেজ-ই।


নিরামিষ রসা-রান্না
উপকরণ

আলু: ২টো ফুলকপি: ১টা (ছোট) পালংশাক: ১ আঁটি শিম: ৭-৮টা মুলো: ২টো (বড়) কড়াইশুঁটি: ২৫০ গ্রাম
টোম্যাটো: ৫-৬টা নুন: স্বাদমতো কাঁচালঙ্কা: ৫-৬টা কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা: ফোড়নের জন্যে
কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো: পরিমাণ মতো কলাইয়ের ডালের বড়ি: ৮-১০টা জল: প্রয়োজন মতো
প্রণালী

সব্জি ভাল করে ধুয়ে, পালংশাক ছাড়া সব সব্জি লম্বা লম্বা করে কেটে রাখুন।
কড়াইতে তেল গরম করে বড়ি ভেজে তুলে রাখতে হবে।
এ বার কালোজিরে ও কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন।
সুগন্ধ বেরোলে সব্জি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করতে হবে।
আধভাজা হলে নুন ও কাশ্মীরি লঙ্কাগুঁড়ো দিতে হবে।
ভাল করে নাড়াচাড়া করুন ও প্রয়োজন মতো জল দিন।
জল ফুটে গেলে পালংশাক দিতে হবে।
নাড়াচাড়া করে কড়াই ঢাকা দিয়ে রাখুন।
সব্জি সিদ্ধ হয়ে গেলে ভাজা বড়ি মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
 
পাঁচমিশেলি লাবড়া
উপকরণ

আলু: ২টো বেগুন: ১টা কুমড়ো ফালি: ১টা (বড়)
রাঙাআলু: ২টো কাঁচকলা: ২টো বরবটি: ১০০ গ্রাম
মুলো: ৩টে থোড়: ২টো পটল: ৪টে ঝিঙে: ৪টে
সরষের তেল: রান্নার জন্য ঘি: ২ টেবল-চামচ
পাঁচফোড়ন: ১ চা-চামচ শুকনো লঙ্কা: ২-৩টে
কাঁচালঙ্কা: ৩-৪টে তেজপাতা: ৪টে
নারকেল কোরা: আধমালা নুন ও চিনি: স্বাদমতো
আদাবাটা: ২ টেবল-চামচ হলুদ: সামান্য
প্রণালী

সমস্ত তরকারি বড় বড় টুকরো করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে তেল দিন।
তেল গরম হলে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, পাঁচফোড়ন দিন।
সুগন্ধ বেরলে আদাবাটা দিয়ে সামান্য নেড়েচেড়ে নিতে হবে।
ভাজা ভাজা হলে সব তরকারি ঢেলে দিন।
আধভাজা হলে নুন ও হলুদ মেশান।
নেড়েচেড়ে ঢাকা দিয়ে কম আঁচে রাখুন।
সব্জি থেকে জল বেরিয়ে গেলে আবার নেড়েচেড়ে নারকেল কোরা মেশাতে হবে।
খেয়াল রাখবেন তরকারি যেন পুড়ে না যায়।
তরকারি সিদ্ধ হয়ে এলে চিনি দিন।
একটু নেড়ে ঘি ও কাঁচালঙ্কা চেরা দিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
 
আম কাঁচকলা
উপকরণ
কাঁচকলা: ২টো আলু: ১টা কাঁচা আম: ১টা (সিদ্ধ করা)
ভাজা জিরেগুঁড়ো: ১ চা-চামচ ভাজা শুকনো লঙ্কা: ২টো কাঁচালঙ্কা: ১ টা
পাঁচফোড়ন: ১ চা-চামচ নুন-চিনি: স্বাদমতো তেল: পরিমাণ মতো

প্রণালী
সিদ্ধ আম টুকরো করে কেটে রাখুন।
কড়াইতে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন দিয়ে আমের টুকরো মেশান।
এর পর একে একে নুন, চিনি, কাঁচালঙ্কা, কাঁচকলা ও আলু দিয়ে ভাল করে নাড়তে হবে।
প্রয়োজনে সামান্য জল দিতে পারেন।
ভাজা জিরেগুঁড়ো ও শুকনো লঙ্কা দিয়ে নামিয়ে নিন।


ইঁচড়ের কোফতাকারি
উপকরণ

কচি ইঁচড়: ২ কাপ (সিদ্ধ করা) বেসন: ২ টেবল-চামচ আলু: ১টা (ডুমো করে কাটা)
গরমমশলাগুঁড়ো: আধ চা-চামচ আদাবাটা: ১ চা চামচ জিরেবাটা: ১ চা-চামচ লঙ্কাগুঁড়ো: ২ চা চামচ
কিসমিস: ১ চা চামচ শুকনো লঙ্কা ১টা টোম্যাটো পিউরি: ২ চা-চামচ শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো: অল্প
গোটা জিরে: দেড় চা-চামচের একটু বেশি তেজপাতা: ২টো হলুদগুঁড়ো: আধ চা-চামচ
ভাজা জিরেগুঁড়ো: আন্দাজ মতো চিনি: ২ চা-চামচ নুন: স্বাদমতো
ভাজার জন্য তেল: প্রয়োজন মতো হিং পাউডার: এক চিমটে

প্রণালী

ইঁচড়ের সঙ্গে বেসন, নুন, চিনি, গরমমশলাগুঁড়ো, ১ চা-চামচ লঙ্কাগুঁড়ো ভাল করে মেখে রাখতে হবে।
এর পর ওই মাখা ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে ছাঁকা তেলে ভেজে তুলে রাখতে হবে।

গ্রেভির জন্য
কড়াইতে তেল গরম হলে আলু ভেজে তুলে রাখুন।
এ বার গোটা জিরে, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা ও হিং পাউডার ফোড়ন দিন।
সুগন্ধ বেরলে আদাবাটা, জিরেবাটা, ১ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো, চিনি ও নুন দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।
এ বার হলুদগুঁড়ো দিতে হবে।
একটু পরে টোম্যাটো পিউরি দিয়ে পুরো মশলা ভাল করে কষিয়ে নিন।
তেল বেরোলে জল দিতে হবে।
জল ফুটে গেলে ভাজা আলু দিতে হবে।
আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে কিসমিস ও কোফতা দিতে হবে।
উপরে ভাজা জিরেগুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
 
আম-বেগুনের অম্বল
উপকরণ
কাঁচা আম: ৬-৮ টুকরো বেগুন: ৬-৮ টুকরো
চিনি: আধ কাপ তেল: ২-৩ চামচ
সরষেবাটা: ২-৩ চামচ পাঁচফোড়ন: আধ চামচ
আদা কুচি: আধ চামচ নুন-চিনি: স্বাদমতো
হলুদ: সামান্য জল: পরিমাণ মতো
প্রণালী
তেল গরম করে সরষে ফোড়ন দিতে হবে।
এ বার বেগুনের টুকরোগুলি দিয়ে আধ ভাজা করে নিন।
কাঁচা আম, নুন ও হলুদ দিয়ে নেড়েচেড়ে পরিমাণ মতো জল দিন।
আম সিদ্ধ হয়ে এলে চিনি, সরষেবাটা দিয়ে ফুটিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
আদা কুচি ছড়িয়ে ঢাকা দয়ে রাখুন।
সৌজন্য: সানন্দা
 
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ