খবর এক মুঠো
এক টুকরো হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। সেই ইতিহাসকেই জনসমক্ষে আনল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। বিস্তারিত...

শেক্সপিয়রের নাটক ‘দ্য ট্রাজেডি অফ কিং রিচার্ড থার্ড’-এর কথা মনে আছে ? নাটকের সেই ‘চরিত্র’ রাজা তৃতীয় রিচার্ডকে খুঁজে পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। বিস্তারিত...

১৭৯৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ভারতে পা দিয়েছিলেন। তিনি ইংরেজ পণ্ডিত ফ্রান্সিস বুকানন হ্যামিলটন। তাঁর লেখা দু’শো বছরের পুরনো অসমিয়া অভিধানের পাণ্ডুলিপির হদিস মিলল বিলেতের সংগ্রহশালায়। বিস্তারিত....

কেউ বলছেন বৌদ্ধ স্তূপ, কারও মতে শিব মন্দির আবার কেউ খুঁজে পাচ্ছেন লৌকিক দেবদেবীদের সন্ধান। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের বটেশ্বরের এই দেবস্থান ঠিক কত দিনের পুরনো, তা নিয়েও রয়েছে মতপার্থক্য । তবে নানা মত ও কাহিনিকে ছাপিয়ে গিয়েছে একে উপেক্ষার কাহিনি। বিস্তারিত...

হায়দরাবাদের চারমিনার— ৪২০ বছরের এক ঐতিহাসিক ইসলাম স্থাপত্য। তারই একটি মিনারের গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ছোট এক হিন্দু মন্দির। স্থানীয়দের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় গণ্ডগোলও বাধে এই কারণে। এখন কাঠগড়ায় এএসআই, যার উপরে দায়িত্ব ছিল চারমিনার রক্ষণাবেক্ষণের, সেই ১৯৫১ সাল থেকে।

মাত্রাছাড়া দূষণে পর্যুদস্ত বেজিং। উত্তর চিনে গ্যাসমুখোশ পরে পথে নামছেন অনেকেই। সমীক্ষা বলছে, জানুয়ারিতে সারা মাসের মধ্যে ২৪ দিনই বায়ুদূষণের মাত্রা বিপদসীমার অনেক উপরে ছিল বেজিংয়ে। বাতাসে বিষের দাপটকেই মুনাফার উৎস করতে ময়দানে নেমেছেন ধনকুবের চেন গুয়াংবিয়াও। কৌটোয় বিক্রি করছেন শুদ্ধ বাতাস। দাম প্রায় ৪৫ টাকা। কী ভাবে নিতে হবে বাতাস, নিজেই দেখাচ্ছেন চেন।

সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৬৪ থেকে ৯০-এর মধ্যে। পরিবেশ মন্ত্রকের একটি নথি থেকে এ কথা জানা গিয়েছে। ২০০৪ সালের বাঘসুমারি অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ জঙ্গলে প্রায় ২৭৪টি বাঘ ছিল। ২০১০ সালের সুমারিতে ওই সংখ্যা অনেক কমে যাওয়ায় গণনার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরিবেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘ক্যামেরা ট্র্যাপ’ ও উপগ্রহ সমীক্ষার মাধ্যমে সাম্প্রতিক বাঘের সংখ্যা জানা গিয়েছে।

কলকাতা থেকে নতুন উড়ান চালু করতে চলেছে বিমান সংস্থা গো এয়ার। মুম্বইয়ের এই বিমান সংস্থা এত দিন কলকাতা থেকে শুধুমাত্র দিল্লি ও পোর্ট ব্লেয়ারে উড়ান চালাচ্ছিল। এ বার তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও তিনটি উড়ান। সংস্থার সিইও জর্জিও ডি রুনি জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে আমদাবাদ, বাগডোগরা ও গুয়াহাটিতে নিয়মিত উড়ান চালাবেন তাঁরা। সারা দেশে ২২টি শহরে সংস্থার ১৩টি বিমান চলছে। সে অর্থে গুয়াহাটি ও বাগডোগরা দু’টি শহরই তাঁদের কাছে নতুন গন্তব্য।

জকপুরে ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ নিয়ে পদক্ষেপও শুরু হয়েছে। জকপুর ও তার আশপাশ এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দেড়শোটি নার্সারি রয়েছে। যেখানে ফুলের চাষ হয়। এই নার্সারিগুলোকেও ওই পার্কের মধ্যে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। খড়্গপুর ২ নম্বর ব্লকের জকপুরে বহু প্রাচীণ মনসা মন্দির রয়েছে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল ও শনিবার প্রচুর ভক্ত আসেন। জেলার বাইরে থেকেও বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এলাকায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে জোর কদমে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। আর্থ-সামাজিক বিষয়ের কথা মাথায় রেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নতুন বছরে নতুন ক্যালেন্ডার, তাও আবার নতুন প্রযুক্তি মাথায় রেখে ‘অ্যাপ্লিকেশন’ হিসেবে! ইউনেস্কো ও প্যানাসনিক কর্পোরেশন যৌথ ভাবে ২০১৩ সালের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছে। বিশ্বের নানা ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানের ছবিতে সমৃদ্ধ সেই যান্ত্রিক ক্যালেন্ডার। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ মানচিত্রও পিছিয়ে নেই! নতুন সংযোজন-সহ ইউনেস্কো ও ন্যাশন্যাল জিওগ্রাফিক ম্যাপ এখন পাওয়া যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের ওয়েবসাইটে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ২০১৩ সালের অধিবেশন হবে কাম্বোডিয়ার আঙ্গোরে। এই মানচিত্রে উল্লেখ আছে তারও। পোস্টারের সমান এই মানচিত্রে ছবি-সহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ আছে বিশ্বের ৯৬২ ঐতিহ্যের।

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। ইম্ফল-মান্দালয় বাস পরিষেবা চালু হতে পারে মার্চ থেকে। এখন অবধি পরিকল্পনা, সপ্তাহে এক দিন চলবে বাস। রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, আন্তঃ-সীমান্ত বাস পরিষেবা চালুর পরিকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মোরেতে তৈরি হয়েছে অভিবাসন দফতর। মোরে সংলগ্ন এলাকায় বাস টার্মিনাল গড়ছে মণিপুর বিকাশ নিগম। নতুন এই বাস পরিষেবার হাত ধরেই রাজ্য সরকার মোরেতে বাণিজ্য বিস্তারের আশাও দেখছে। এই সীমান্ত শহরে, পথের পাশে তৈরি হচ্ছে বহুতল বাণিজ্য বিপণি। চেক পোস্ট নির্মাণও চলছে। পাশাপাশি, চান্ডেলের নিউ সোমতাল ও চূড়চাঁদপুরের বেহিয়াং-এ সীমান্ত হাট খোলার ব্যাপারে ভারত-মায়ানমার, দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এ নিয়ে কোনও সরকারি নির্দেশনামা অবশ্য এখনও জারি হয়নি। দুই দেশের বাণিজ্য সামগ্রীর তালিকায় সেগুন কাঠের নাম ঢোকানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। কাকচিং-এর কাছে, কুরাওপোকপি এলাকায় ‘টিম্বার পার্ক’ গড়ার ব্যাপারেও কথা চলছে।

সম্প্রতি পরিযায়ী পাখিদের বাঁচাতে মহানন্দা ব্যারেজের এক পাশে বনভোজন পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবিকে গুরুত্ব দিতেই ব্যারেজের অপর পাশে বাংলাদেশের দিকে নতুন পিকনিক স্পটের পরিকাঠামো তৈরিতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্যারেজের ধার বরাবর লোহার রেলিং, ছাউনি দিয়ে বসার ব্যবস্থা, গাছ লাগিয়ে এলাকাটিকে সাজানো হবে। ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বীরুপাক্ষ মিত্র জানান, এলাকার জৈব বৈচিত্র রক্ষার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। ব্যারেজে যে পাশে পরিযায়ীরা আসে, সেখানে কোনওভাবেই বনভোজন আর করতে দেওয়া হবে না। এলাকাটি শুধু ঘুরে দেখা যাবে। বিডিও বলেন, “বন দফতর ও সেচ বিভাগের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এলাকার সৌন্দর্যকরণ করা হবে।” গজলডোবা, রসিকবিল, কুলিকের মতই উত্তরবঙ্গে মহানন্দা ব্যারেজটি পরিযায়ী পাখিদের জন্য বিখ্যাত। রুডি শেলডাক, কমনটিল, পিনটেল, গাডওয়াল, হুইসলিং টিল, কমন পোচার্ড, রেড ক্রিসটেড পোচার্ড, পার্পেল হেরন, পায়েড হেরন-সহ একাধিক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি প্রতি বছর ব্যারেজে এসে আস্তানা গাড়ে। সুদূর কাশ্মীর, লাদাক ছাড়াও চিন, সাইবেরিয়া, পূর্ব ইউরোপ, পশ্চিম আমেরিকা থেকে নভেম্বর মাস পাখিগুলি মার্চ মাস অবধি এলাকায় থাকে। সম্প্রতি হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) এলাকায় সমীক্ষা জানায়, চলতি বছরে ব্যারেজে ৩২০০ পরিযায়ী পাখি এসেছে।

বরাক উপত্যকার লোকগীতি ও লোক কাহিনি সংরক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্র। সংগ্রহ, গ্রন্থনার পর এখন শুরু হয়েছে রেকর্ডিং। এই সংগ্রহ সম্প্রচার করা হবে ২০১৩ সালের বিভিন্ন সময়ে। আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্রের প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ দিব্যজ্যোতি পুরকায়স্থ জানান, লোক কাহিনিগুলিকে চিত্তাকর্ষক করতে প্রথমে তার নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে থাকছে গানও। মা-ঠাকুমার মুখে শোনা যে সব গল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে, সেগুলিকেই সংগ্রহ করে তার নাট্যরূপ দিয়েছেন শিলচর মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা দেবশ্রী দত্ত। ‘বর্ণালী’ নামে ৩০ মিনিট করে ১৩টি পর্বে সম্প্রচারিত হবে এই সংগ্রহ। প্রযোজনায় দিব্যজ্যোতিবাবুর সঙ্গে রয়েছেন আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্রের ঘোষক, মনোজ দেবও। উপস্থাপনায় থাকবেন ন’জন নাট্যকর্মী, পাঁচ জন সংগীত শিল্পী এবং আট জন যন্ত্রশিল্পী। একই ভাবে সম-সংখ্যক পর্বে সংরক্ষণ করা হবে লোকগীতিও। মোট সংগৃহীত গানের সংখ্যা ৭৮। ধামাইল, সারি, জারি, ভাওয়াইয়া, ঠাটকীর্তন, মালজোড়া প্রভৃতি। ১৩০টি গান সংগ্রহ করে সেখান থেকে এমন ৭৮টিকে বাছাই করা হয়েছে, যেগুলি এক সময় খুব গাওয়া হত, কিন্তু এখন আর শোনা যায় না। ১৬ জন যন্ত্রশিল্পীকে নিয়ে গানগুলি গেয়েছেন এই অঞ্চলের ৪০ জন কণ্ঠশিল্পী।

মোরাবাদি এলাকায় রবীন্দ্রনাথের জ্যোতিদাদার তৈরি উপাসনা-ভূমি ‘টেগোর হিল’ রাঁচির দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। ঝাড়খণ্ড সরকারের ওয়েবসাইটেও এই স্থানটির উল্লেখ আছে। এটিকে শুধুই একটা ভ্রমণস্থল বললে ভুল হবে! রাঁচি তথা ঝাড়খণ্ডের বাঙালিদের সঙ্গে কিন্তু এর নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে বলাইবাহুল্য।। বিশেষত এখানকার ব্রাহ্ম সমাজের কাছে এই জায়গার গুরুত্ব অসীম। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর টেগোর হিলের ওই পাহাড়ের উপরেই নিজের বাড়ি তৈরির পাশাপাশি ব্রাহ্মদের উপাসনার জায়গাও তৈরি করিয়েছিলেন। ঘটা করে সেখানে ব্রাহ্ম সমাজের মাঘোৎসব পালিত হত। টেগোর হিলের আনাচ-কানাচে বসানো দৈন্যদশাগ্রস্ত শ্বেত পাথরের ফলকগুলি ইতিহাসের জানান দিচ্ছে, ১৯১০ সালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে ওই দুধ সাদা রঙের বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। ১৯২৫ সালে তিনি সেখানেই মারা যান। বর্তমানে টেগোর হিলের ভিতরে গজিয়ে উঠেছে বড় বড় ঘাস। মূল ফটক লোহার গেটের অভাবে খোলাই পড়ে থাকে। বছর চারেক আগে টেগোর হিল ট্রাস্টি বোর্ডের তত্ত্বাবধানে দেওয়ালে কিছু ভাস্কর্য লাগানো হয়েছিল। তার অধিকাংশই ভেঙে গিয়েছে। সমাজের অছি পরিষদের সদস্য নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “এটা আমাদের কাছে যেমন দুঃখের, তেমনই লজ্জার। এক সময় ব্রাহ্মরা সেখানে উপাসনা করতেন। আজ সেই মন্দিরের কী অবস্থা।”