|
|
|
|
নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীকে |
গাঁধী-কালেনবাখ চিঠির প্রদর্শনী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এক টুকরো হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস। যে ইতিহাসকে ফিরে পেতে গত বছর প্রায় সাত কোটি টাকা খরচ করেছিল কেন্দ্র। আজ তাঁর ৬৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকাকালীন মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী ও তাঁর অন্যতম বন্ধু হেরমান কালেনবাখের পরস্পরকে লেখা ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের এক সংগ্রহ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দিল সংস্কৃতি মন্ত্রক। আজ কেন্দ্রীয় মহাফেজখানায় (ন্যাশনাল আর্কাইভ) ওই প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী চন্দ্রেশ কুমারী কাটোচ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। |
|
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী ও হেরমান কালেনবাখ। |
সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, সংগ্রহে থাকা দেড় হাজার চিঠির মধ্যে ৭৫টি চিঠি ১৩টি ভাগে ভাগ করে আপাতত প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই চিঠিগুলির মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের শুরুর দিকে ছবি ফুটে উঠেছে। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “পরের দিকে চিঠিগুলিতে দেখা যায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও পিতার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে গাঁধীর পুত্ররাও কালেনবাখকে লিখেছেন। তাঁকে সম্বোধন করেছেন ‘ডিয়ার আঙ্কল’ বলে। ফলে চিঠিগুলি পড়লে বোঝা যায়, কী ভাবে গাঁধী ও কালেনবাখের পরিবারের মধ্যে সামান্য পরিচিতি থেকে এক গভীর আত্মীয়তা গড়ে উঠেছিল।” ওই চিঠিগুলি ছাড়াও সে সময়কার প্রায় ২৭৫টি ছবি, ইয়ং ইন্ডিয়া ও হরিজন পত্রিকার আদি অনুলিপিও প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওই গোটা সংগ্রহটি গত জুন মাসে কালেনবাখের নাতনি ইসা সারিদের কাছ থেকে ভারত সরকারের হাতে আসে। সংস্কৃতি মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই চিঠিপত্র ও আলোকচিত্রের গোটা সংগ্রহটি গত জুনে লন্ডনের সদবি-তে নিলামে ওঠার কথা ছিল। বিষয়টি সামনে আসার পর তৎপর হয় ভারত সরকার। সংস্কৃতি মন্ত্রকের এক বিশেষজ্ঞ দল সংগ্রহটি পরীক্ষা করে জানিয়েছিল, জিনিসগুলি দুর্মূল্য হলেও ভাল ভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। তার পরেই ভারত সরকার, ইসা সারিদের পরিবার ও নিলাম সংস্থা সদবির মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে শেষ পর্যন্ত ওই সংগ্রহটি কিনে নেয় ভারত। |
|
|
|
|
|