বিরূপাক্ষ মন্দির: শিবেরই এক রূপ বিরূপাক্ষ, তাঁর উদ্দেশেই নিবেদিত এই মন্দির।
কয়েক শতকের পুরনো এই পবিত্র মন্দির এখন হাম্পির ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অংশ।
বিরূপাক্ষ মন্দিরের অন্যান্য মূর্তি।
কাদলেকালু গণপতি: হাম্পির ভাস্কর্যগুলির মধ্যে বিখ্যাত গণপতি মূর্তি এই কাদলেকালু।
হেমাকুটা পাহাড়ের
উত্তর-পূর্ব ঢালে পাথরের গায়ে খোদাই করে গণেশের এই ১৫ ফুট উচ্চতার মূর্তি তৈরি করা হয়েছিল।
সাতমাথা এক সাপের কুণ্ডলীর উপর বসে আছেন নরসীমা। এটাই হাম্পির সর্ববৃহৎ
মূর্তি— উগ্র নরসীমা। সাপের সাতটি মাথা তাঁর মাথার উপর যেন ছাতা ধরে আছে।
কমল মহল: হাম্পির অন্য স্থাপত্যগুলির শৈলী থেকে বেশ খানিকটা আলাদা এই মহলের গড়ন। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের, বিজয়নগরের
ধ্বংসের
ছোঁয়া কোনও ভাবেই এই মহলের গায়ে লাগেনি। চুন-সুড়কির গাঁথনিতে নির্মিত অনবদ্য এই স্থাপত্যে রয়েছে হিন্দু ও ইসলাম রীতির মিশেল।
হাতিশাল: হাম্পিতে কম ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপত্যগুলির মধ্যে অন্যতম এই হস্তিশালা। ১১টি বড় বড় ঘর রয়েছে,
যেখানে রাজাদের হাতি থাকত। মাঝখানের ঘরটি সবচেয়ে বড় ও সাজানোগোছানো।
হাম্পির প্রায় প্রতিটি মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি করে পুকুর। মন্দিরের সঙ্গে সঙ্গে এই পুকুরগুলিকেও পবিত্র হিসেবে মানা হতো।
বিজয় বিত্তালা মন্দির: বিষ্ণুর এক অবতারের নাম বিত্তালা। আর তাঁর নামেই উৎসর্গিত এই মন্দির।
খ্রিস্টীয় ১৫ শতকে নির্মিত এই মন্দির বিভিন্ন সময়ে রাজানুগ্রহে তার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে বর্তমান চেহারা পেয়েছে।
বিজয় বিত্তালা মন্দিরের অন্যান্য খোদিত মূর্তি।
তুঙ্গভদ্রা ড্যাম: কৃষ্ণার উপনদী তুঙ্গভদ্রার উপর কর্নাটকের সবচেয়ে বড় এই ড্যামটি রয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপন্নের পাশাপাশি সেচ বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ—
সবেতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই নদীবাঁধের। স্বাধীনতা দিবসের দিনটিকে স্মরণে রেখে প্রতি বছর ১৫ অগস্ট এই ড্যাম থেকে জল ছাড়া হয়।
ড্যামের পাশেই কর্নাটক সরকারের উদ্যোগে তুঙ্গভদ্রা গার্ডেন নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও বর্ষার কারণে মে-জুন মাস এটি বন্ধ থাকে।
রোজের আনন্দবাজার • এ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘর • স্বাদবদল • চিঠি • পুরনো সংস্করণ |