আপনার কলমে


দক্ষিণের খোলা দরজা

(কলকাতা)
ক্কি ঝামেলা এড়িয়ে দক্ষিণ ভারত ঘুরতে পর্যটন সংস্থার সঙ্গী হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। অনেক দিনের ইচ্ছে। তাই কথাবার্তা পাকা হতেই মনটা কেমন ফুরফুরে হয়ে গেল। সফরসূচি খুব সংক্ষেপে, কলকাতা থেকে কন্যাকুমারী এবং কোচি থেকে কলকাতা ট্রেনে আর বাকি পথ সংস্থার ভাড়া করা গাড়িতে। তামিলনাড়ু ও কেরল— এ দুই রাজ্যে ইতিহাস ও ভূগোল একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। জড়িয়ে ছিল আমার মনেও! তাই অজানা সে সব জায়গার ডাকে মশগুল হয়ে পড়ায় বেরোনোর দিন কবে যে হুড়মুড়িয়ে কাছে চলে এল খেয়ালই করিনি। হাওড়া স্টেশন থেকে কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস ছাড়তেই তার ডানায় চড়িয়ে মনকে উড়িয়ে দিলাম স্বপ্নের দুনিয়ায়। ট্রেনে দু’রাতের সফর একটু ক্লান্তিকর হলেও অজানার সে ডাক শরীর-মনের সবটুকু প্রতিবন্ধকতা উধাও করে দিল।

পৌঁছলাম
‘কেপকমরিন’। আগে কন্যাকুমারী এ নামেই পরিচিত ছিল। দক্ষিণ ভারতে মূল ভূ-খণ্ডের সর্বশেষ বিন্দু কন্যাকুমারী ইতিহাসসমৃদ্ধ তো বটেই, পর্যটকদেরও চোখের মণি। প্রথম দর্শনীয় স্থান সমুদ্রসৈকত থেকে বেশ খানিক উপরে কন্যাকুমারী মায়ের মন্দির। কুমারী মহামায়ার আরাধনায় উৎসর্গীকৃত এই মন্দির তিন হাজার বছরের পুরনো। মায়ের দর্শন শেষে মন্দির থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গেলাম সমুদ্রের পাড়ে। উত্তাল সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস। ছোট মাছধরা ডিঙিগুলো ঢেউয়ের তালে অবিরাম তার ভিতর শুধু দুলছে। আর পাড়ে? দূর থেকে ছুটে আসা সাদা ঢেউয়ের মালা সশব্দে আছড়ে পড়ছে পাথরের গায়ে। এলোপাথাড়ি ভাবে ভিজিয়ে দিচ্ছে হলুদ বালিয়াড়ি। সূর্যের তাপ একটু স্নিগ্ধ হতেই ভিড় জমতে শুরু করল সৈকতে। কিছু সময় পর সূর্য যখন ডুবু ডুবু, গোধূলির শেষ আলোয় চারদিকে তখন চোখ জুড়ানো রঙের বাহার।

বিবেকানন্দ রক
কাকভোরে ঘুম ভেঙে গেল। মিশমিশে কালো মেঘলা আকাশ। হোটেলের ঘর থেকে ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর গর্জন শোনা যাচ্ছে। মেঘের সে পর্দা ভেদ করে, ধীর পায়ে, শান্ত গৈরিক বসনে সাগরপারে নতুন ভোরের দৃপ্ত সূচনা করলেন সূর্যদেব। বেরিয়ে পড়লাম আমরাও। ফেরিঘাটের দীর্ঘ অলিগলি ঘুরে শেষে লাইফ জ্যাকেট পরে লঞ্চে চেপে বসলাম। চঞ্চল সমুদ্রের বুকে মোচার খোলার মতো দুলতে দুলতে পৌঁছে গেলাম বিবেকানন্দ রক। দেবী কন্যাকুমারীর পদস্পর্শ ধন্য এই পাথর পুরাণের কাল থেকেই পবিত্র স্থান হিসেবে সমাদৃত। সারা ভারত পরিক্রমার পর ১৮৯২ সালের ২৪, ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর এ জায়গাতেই স্বামী বিবেকানন্দ গভীর ধ্যান শেষে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। বিবেকানন্দ স্মৃতিরক্ষা সমিতির উদ্যোগে এই শিলার উপর নির্মিত হয়েছে ‘বিবেকানন্দ স্মৃতিমন্দির’ ও ‘শ্রীপদমন্দির’। অশান্ত সমুদ্রের মাঝে এক পরম প্রশান্তির স্পর্শ। ধ্যানগৃহের অন্ধকারে স্নিগ্ধ সবুজ আলোয় ‘ওঁ’ শব্দের বিচ্ছুরণ ও গম্ভীর ধ্বনি এক ঝটকায় বাইরের জগত্ থেকে মনকে পৌঁছে দেয় আত্মার অন্তঃস্থলে। এর পর একে একে ঘুরে দেখলাম বিবেকানন্দ প্রদর্শনী, সূচিন্দ্রম মন্দির, মোম সংগ্রহশালা ও পদ্মনাভ প্যালেস।

ইতিহাসের পাতায় ঘোরাঘুরির পালা শেষ। এ বার গেলাম ত্রিবেণী সঙ্গমে। এখানে বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর, আরব সাগর একে অপরের সঙ্গে মিশেছে। জলে জলে জলাকার। আর তার মাঝেই নিশ্চিন্তে ডুবে গেল সূর্য। এমন মনোহর দৃশ্য জীবনের মতো গেঁথে গেল স্মৃতির মণিকোঠায়।
ত্রিবেণী সঙ্গমে সূর্যাস্ত কোভালাম বিচ
তিরুঅনন্তপুরম
ভারতের দক্ষিণপ্রান্তের অন্তিম জায়গাগুলি ঘুরে দেখার পর এ বার কেরলের পালা। সকাল সকাল গোছগাছ সেরে নিতে হয়েছিল। তার পর বাস ছুটল কেরলের রাজধানী শহর তিরুঅনন্তপুরমের পথে। এখান থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। সফর-দলের বেশির ভাগ মানুষই আমার সম্পূর্ণ অপরিচিত। কিন্তু এই বাস যাত্রায় কথায়-গানে-গল্পে কখন যে তাঁরা বন্ধু হয়ে গেলেন বুঝতেই পারিনি। ছোট ছোট টিলার মতো পাহাড়, তাল আর নারকেল গাছের সারি, পুকুরভর্তি পদ্ম-শাপলার মাঝে মাছরাঙার জীবনসংগ্রাম, পাখিদের খুনসুটি দেখতে দেখতে চলে এলাম ভিড়ে ঠাসা শহরে— তিরুঅনন্তপুরম। প্রথমেই গেলাম পদ্মনাভ মন্দিরে। অনন্তনাগ শয্যায় বিষ্ণু— কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী পেরিয়ে তাঁর পুজো দিয়ে আমরা বেরোলাম।

বিকেলের সূর্যের মুখে তখন লাজুক হাসি। ফুরফুরে হাওয়ায় টলটলে নীল জলে ঢেউয়ের হুটোপাটি ‘হাওয়া বিচে’। এমন নিষ্পাপ ডাক দূরে সরিয়ে রাখার মতো মনের জোর ক’জনের থাকে! জামাকাপড় সামলে অনেক ক্ষণ উদ্দাম হুল্লোড়বাজিতে মেতে উঠলাম সবাই। চারদিকে সবুজ আঁকাবাঁকা নারকেল গাছ, সমুদ্রতটে মাছধরা নৌকার ভিড়, দুঃসাহসী ভ্রমণে ঝড়ের বেগে ছুটে চলেছে স্পিডবোট— সে এক দেখার মতো দৃশ্য।

নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও আয়ুর্বেদিক পরিচর্চার কারণে কোভালাম দেশি-বিদেশি ভ্রমণার্থীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। মৃদু বাতাসের পায়ে পায়ে ভাটিয়ালি ছন্দ। সমুদ্রের পাড়ে বসে সবাই গল্পে মত্ত তখন। একটু একটু করে কখন যেন সমুদ্রগভীরে হারিয়ে গিয়েছি। প্রাণ ভরে অনুভব করছি প্রকৃতির শোভা। হঠাৎ বিশাল একটা ঢেউ, তার পরই মনে হল তলিয়ে যাচ্ছি যেন সমুদ্রের ভিতর। ভেজা শরীরে কোনও মতে সামলে নিলাম নিজেকে, শুধু হাতে থাকা রোদচশমাটা ভাসতে ভাসতে কোথায় যে চলে গেল!

আলেপ্পি
কালো আলোয় তখনও ঘুম ঘুম ভাব। বাসে জানলার কাচে মাথা এলিয়ে, তিরুঅনন্তপুরম থেকে প্রায় ১৫১ কিলোমিটার দূরে আলেপ্পির পথে দেখলাম ভোরের চোখ মেলে তাকানো। এসে গেল ‘ভারকালা বিচ’। আকাশি নীল সমুদ্রে পেঁজা তুলোর মতো সাদা ঢেউ। বিস্তীর্ণ হলুদ চরে মানুষের ভিড়ে আমরাও সামিল। সবুজ গাছপালা আর বাহারি ফুলের মধ্য দিয়ে সুদীর্ঘ পথ পৌঁছে গিয়েছে আলেপ্পি শহরে। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার যাত্রাপথের ক্লান্তি দূর করতে খাওয়াদাওয়া ও বিশ্রামের পর বিকেলে গেলাম ‘আলেপ্পি বিচে’। দিগন্ত জোড়া নীল আর নীল।

কুমিলি শহর
উত্তেজনায় দু’চোখের পাতা এক হল না সারা রাত। সুদৃশ্য হাউসবোটে চড়ে ব্যাকওয়াটার ভ্রমণ এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। পর্যটন সংস্থার তরফ থেকে আগেই বুক করা সুন্দর একটি বোটে আমরাও ভেসে চললাম প্রাচ্যের ভেনিসে। চেনা পৃথিবীর আড়ালে এ যেন অচেনা এক প্রান্তর। যে দিকে তাকাই, মনে হয়, কোনও শিল্পী সবুজ রঙে বারংবার তুলি ডুবিয়ে এঁকেছেন শান্ত, স্নিগ্ধ এই রূপ। জলের দু’ধারে বাড়িঘর, স্কুল, প্রার্থনাগৃহ দেখতে দেখতে আলেপ্পি থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার দূরে কুমিলি শহরের উদ্দেশে বেশ খানিকটা এগিয়ে এলাম ব্যাকওয়াটার-পথে। তার পর বাসে। পাকদণ্ডী বেয়ে এঁকেবেঁকে বাকি পথ এগিয়ে চললাম ৩৫০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের কোলে। রোদের আলোয় ঝলমল করছিল ধাপে ধাপে সাজানো চা বাগান। হাওয়ায় কফি ফুলের মাতাল সৌরভ। বাসে তখন বসেছে গান, কবিতা ও হাস্যরসের আসর। পড়ন্ত বিকেলে হাজির হলাম সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট শহর কুমিলিতে। রান্নার মশলা, হ্যান্ডমেড চকোলেট, ভেষজ তেল-সাবানে রমরমা বাজার আমাদেরও রেহাই দিল না। সন্ধে শেষ হতেই রাতের খাবার হাজির। পর্যটন সংস্থার এই রাঁধুনির হাতের জাদু ভোলার নয়!

পেরিয়ার লেক
ভোর সাড়ে চারটে তখন, কনকনে ঠান্ডার মধ্যে পেরিয়ার লেকের উদ্দেশে এগিয়ে চলল আমাদের বাস। অন্ধকার রাস্তায় অবিরাম ঝিঁঝিপোকার ডাকাডাকি। সংস্থার তরফ থেকে আগেই অনলাইনে টিকিট বুকিং থাকায় বেশি ঝক্কি পোহাতে হল না। ধোঁয়ার চাদর মোড়া পাহাড়ি অরণ্যের মাঝে কুয়াশাচ্ছন্ন মোহময়ী পেরিয়ার লেক। লাইফ-জ্যাকেট পরে একটি দোতলা বোটের ওপর তলায় উঠে পড়লাম। আশা ছিল লেকের মিষ্টি জল খেতে আসা বন্য পশুদের দেখা মিলবে। কিন্তু শুধু পাখি ও হরিণ ছাড়া আর কিছুরই দেখা পাওয়া গেল না। ফেরার সময় পেরিয়ার অরণ্যের দীর্ঘ হাঁটাপথে দেখা পেলাম ছোট্ট বাঁদরের দুষ্টুমি। জঙ্গলে তখন রঙবেরঙের অচেনা পাখিদের সমাবেশ চলছে। এর পর শুকনো পাতায় খসখসে শব্দ তুলে ঘুরে এলাম ভেষজ ও মশলা বাগান। এলাচ, দারচিনি, গোলমরিচ, অশ্বগন্ধা, ল্যাভেন্ডার আরও কত কী! হাতির পিঠে চড়ে জঙ্গল-ভ্রমণ ও কথাকলি নৃত্যানুষ্ঠান দিয়ে সে দিনের ঘোরাঘুরি শেষ হল। শ্রান্ত শরীর রাতে ঢলে পড়ল ঘুমের কোলে।

মুন্নার
এ দিনের গন্তব্য ৫০০০ ফুট উচ্চতার মুন্নার। যত দূর চোখ যায় শুধুই সবুজ। তার মধ্যে বাতাসের স্নিগ্ধ আবেশে দুলছে আনকোরা সব ফুল। পাহাড়ের কোলে অচেনা নদীর স্রোত, গাছে গাছে কোকিলের কণ্ঠে বসন্তের ডাক। প্রায় ৯১ কিলোমিটার রাস্তা পাহাড়ের ধাপ কেটে উঠতে উঠতে মনে হল এ যেন এক রূপকথার দেশ। সূর্য ঘুমিয়ে পড়লেই হাড় হিম করা ঠান্ডার চাদরে মুড়ল পাহাড়। মুগ্ধ চোখে দেখলাম পূর্ণিমা রাতে পাহাড়ি জঙ্গলে জ্যোৎস্নার লাবণ্যময় মাধুর্য। অগুনতি পাখির ব্যস্ত গল্পকথায় ভোর হয় মুন্নারে। নদী-পাহাড় ঘেরা ‘ইকো পয়েন্ট’-এ নাম ধরে ডাকলে বারবার অনুরণিত হয় সেই ডাক।


কোচি

আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ইতিহাস সমৃদ্ধ কোচি। মুন্নার থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ সাড়ে চার ঘণ্টায় পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম সে ঠিকানায়। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ ‘সান্তাক্লজ ক্যাথিড্রাল ব্যাসিলিকা’। পর্তুগিজদের হাত ধরে এই ঐতিহ্যময় ধর্মীয় সৌধের গোড়াপত্তন ১৫০০ শতাব্দীর শুরুর দিকে। বহু ধ্বংস ও পুনর্নির্মাণের পর আজকের এই চেহারা। রাজকীয় স্থাপত্য ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের ভিত্তিতে পোপ জন পলের সহায়তায় এই ক্যাথিড্রাল ‘ব্যাসিলিকা’ সম্মান লাভ করে।

এর পর গেলাম ভারতের প্রাচীনতম ইউরোপীয় চার্চগুলির মধ্যে পর্তুগিজ শৈলীর আর এক নিদর্শন ‘সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ’ দেখতে। ১৫০৩ শতাব্দীতে কোচির তৎকালীন রাজার অনুমতিতে একটি দুর্গ নির্মাণ করে তার মধ্যে কাঠের তৈরি এই চার্চ নির্মিত হয়েছিল। এর পর নামবদল, হাতবদল, পুনর্নির্মাণ হতে হতে ১৯২৩ সালে এই চার্চ সংরক্ষিত সৌধের স্বীকৃতি পায়। এর ভেতরেই দেখলাম ভাস্কো দা গামার সমাধি।

কোচির আরও এক বিশেষ আকর্ষণ ১৬০০ শতাব্দীর শেষ দিকে নির্মিত ‘পরদেশি সিনাগগ’। চিন থেকে আনা সুদৃশ্য টাইলসের বাহার, বেলজিয়াম কাচের তৈরি ঝাড়লণ্ঠন ও ‘ক্লকটাওয়ার’ এখানকার অমূল্য সম্পদ। ডাচ প্যালেসের গায়ে ভেজিটেবল রঙে আঁকা পৌরাণিক গল্প সত্যিই মনোগ্রাহী। এর পর ঘুরে ঘুরে দেখলাম ‘চাইনিজ ফিশিং নেট’-এর সাহায্যে জেলেদের মাছ ধরা।

বাইরে খটখটে রোদ্দুর। জ্বালাপোড়া গরম থেকে বাঁচতে পাড়ি দিলাম কোচির মেরিন ড্রাইভে। ছোট একটা বোট ভাড়া করে ভেসে গেলাম আরব সাগরে। সূর্যাস্তের পর তখন ঘন আঁধারের আলিঙ্গন চারদিকে। মাঝে সমুদ্র থেকে বহু দূরে তখন দেখা যাচ্ছিল জোনাকির মতো ঝিকিমিকি আলোয় সাজানো শহর। পাগলা বাতাসের ঝাপটায় উদাসী মন। বিদায় জানাতে হবে কাল বিকেলেই। ব্যস্ত এর্নাকুলাম জংশন থেকে প্রথমে চেন্নাই। সেখান থেকে হাওড়া। যতই এগোই মনে হয় কে যেন লেপ্টে জড়িয়ে আছে শরীরে, আগলে আছে পথ, কান্নাভেজা হাওয়ায় উড়িয়ে দিলাম আমার বিদায় চিরকুট—
অন্তরে আমার শ্বাসে প্রশ্বাসে
তোমায় ভালবাসব।
কথা দিচ্ছি, আবার আসব ফিরে
আদিম জোয়ারে ভাসব।

খুঁটিনাটি
কী ভাবে যাবেন
• রেল পরিষেবার মাধ্যমে কেরল ভারতের সব ক’টি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গে সংযুক্ত। রাজ্যের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে অবাধ যাতায়াতের হাতিয়ার ২০০টি রেলওয়ে স্টেশন।
• তিরুঅনন্তপুরম ও কোচি বিমান বন্দরে দেশবিদেশের চাহিদা পূরণে সর্বদা ব্যস্ত।
• ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগের অন্য আর একটি মাধ্যম সুগম সড়ক ব্যবস্থা। সরকারি, বেসরকারি বাস, ভাড়া গাড়ি এই পরিষেবায় নিযুক্ত।

কোথায় থাকবেন: তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী ও কেরলের প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে আছে বিভিন্ন দামের অঢেল হোটেল ব্যবস্থা।

খাওয়াদাওয়া: দেশি-বিদেশি সাধারণের খাবারই মিলবে হোটেল ও রেস্তোরাঁয়। তবে দোসা, ইডলি, উপমা, বড়া জাতীয় দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের প্রাধান্যই বেশি।

উপযুক্ত সময়: সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ।

ব্যাগে থাকবে: সমুদ্র এলাকার জন্য সুতির জামাকাপড়, রোদটুপি, চশমা ও অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশান। পাহাড়ি এলাকার জন্য হাল্কা গরম সোয়েটার ও চাদর।

এক কথায়: মন জুড়িয়ে যায় নীল সবুজের মেলায়।
পড়াশোনা এ শহরেই। বর্তমানে সিইএসসি-তে কর্মরত। নানা মানুষের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় ও গল্প করতে বেশ লাগে। বই পড়া, গান শোনা শখ হলেও লেখালেখি করতে ভাল লাগে খুবই।
ছবি: লেখক

রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘরস্বাদবদল চিঠিপুরনো সংস্করণ