আনন্দবাজার পত্রিকা - হাওয়াবদল| Anandabazar Patrika - Travelogue, Photography, Recipe, Cuisine, Travel News

ট্রেন সফর শেষে যাত্রা হল শুরু। সেবকে তিস্তার উপর রঙিন করোনেশন ব্রিজ।

জলরঙে তুলি-আঁকা মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে সবজে-পাহাড়ি বসতি।

পাহাড়ের 'টপে' পর্যটকের অপেক্ষায় ডেলো রিসর্ট।

ট্যুরিস্ট ভিলেজ: দার্জিলিঙের রিশপকে ভালবেসে 'পর্যটন গাঁ' বলাই যায়। এখান থেকে সব সময়<br />হিমালয়ের একটা 'রেঞ্জ' পর্যটকের চোখের সামনে ধরা দেয়। কাঞ্চনজঙ্ঘাও রয়েছে সেই তালিকায়।

মেঘে ঢাকা রিশপ।

রিশপ থেকে ২ কিলোমিটার উপরে 'টিফিন দারা'। অনেকে 'শেরপা দারা'ও বলে একে। পাহাড়ি ভাষায়<br />দারা মানে 'হিলটপ'। বরফ মোড়া হিমালয়কে দেখতে এই টিফিন দারার কোনও বিকল্প নেই পাহাড়ে।

সাবলীল 'পোজে' অচেনা পর্যটকের অনুরোধে ক্যামেরায় লেন্সবন্দি এক পাহাড়ি 'দাজু' মানে দাদা।

'অ্যান ইভিনিং ইন রিশপ'।

রিশপ থেকে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জে সূর্যোদয়।

চোখে ঝিম ধরানো অনুভূতি নিয়ে— লাভা।

পাহাড়ে প্রসিদ্ধ গুম্ফাগুলির অন্যতম 'লাভা মনাস্ট্রি'। এর পোশাকি নাম রত্নঋষি বিহার বৌদ্ধ গুম্ফা।

নানা সাজে সেজে ওঠা লাভা মনাস্ট্রি।

জপযন্ত্র। লাভা মনাস্ট্রির ভেতরে।

মনাস্ট্রিতে— ধর্মং শরণং...

লাভা থেকে ছাঙ্গে ফলসের পথে।

ছাঙ্গের কাছাকাছি...

ছাঙ্গে জলপ্রপাত...

লাভা থেকে নেমে লোলেগাঁও যাওয়ার 'জংলি' পথে।

লোলেগাঁওয়ে ক্যানোপি ব্রিজ— জঙ্গলের মাঝে একমাত্র ঝুলন্ত সেতু।<br />এ পাশ থেকে ও পাশ যাতায়াত করা যায় এই 'আনন্দদোলায়'।

মুখে লেগে থাকা আলতো হাসিতে পর্যটককে স্বাগত জানাচ্ছে দুই পাহাড়-শিশু।

লেপচাদের এই গ্রামের নাম 'লোলেগাঁও'।

হাজার প্রদীপ জ্বলে কালিম্পঙের বুকে। বহু দূরের লোলেগাঁও থেকে রাতে দেখা কালিম্পং শহর।

ভোরের লোলেগাঁওতে সুয্যিমামা উঁকি দিচ্ছে।

লোলেগাঁওয়ের 'ঝান্ডি দারা' থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা।

লোলেগাঁওয়ে ক্যানোপি ব্রিজ ও জঙ্গল থেকে ফেরার পথে বুদ্ধ মূর্তি।

দার্জিলিঙ শহরের গর্বের 'ম্যাল'।

পর্যটকে ভর্তি রাতের ম্যাল।

রঙে রঙে ছয়লাপ— দার্জিলিঙের সন্ধে।

চাইছি তোমার উষ্ণতা।

মায়া... চন্দ্রালোকে কাঞ্চনজঙ্ঘা।

টাইগার হিলে সূর্যোদয়ের অপেক্ষায়।

ভোরবেলায় কাঞ্চনজঙ্ঘার গায়ে সূর্যের প্রথম ছোঁয়া।

টাইগার হিল থেকে নামার পথে ঝোঁপের ফাঁক থেকে ধরা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা।

১৯৯৯তে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় জায়গা পাওয়া দার্জিলিঙের টয় ট্রেন। ভারতে প্রথম পাহাড়ি রেলপথের এই নিদর্শন আজও বহাল তবিয়তে যাত্রী পরিবহনে সক্ষম। শুধু তাই না বাইরে থেকে যাওয়া পর্যটকদের জন্য এই রেলপথে 'জয় রাইড' আসলে সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি ঘটনা। দার্জিলিং, ঘুম, সোনাদা, টুং... পেরিয়ে কার্শিয়ং...

শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের বাতাসিয়া লুপ। স্বাধীনতার সময় থেকে দেশের জন্য শহিদ বীরদের স্মারক সৌধ রয়েছে এখানে। আর একটি মজার ঘটনা— বাতাসিয়া লুপকে প্রায় বৃত্তাকারে মানে ৩৬০ ডিগ্রিতে পেঁচিয়ে ঘুম থেকে দার্জিলিঙের পথে এগিয়ে গিয়েছে টয় ট্রেনের লাইন। এখান থেকে সারাদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা প্রায় হাত-ছোঁয়া দূরত্বে দেখা যায়।

কাঞ্চনজঙ্ঘা-সহ পুরো দার্জিলিং শহর গায়ে মেখে নিয়েছে সূর্যাস্তের লালচে আভা।

দু'টি পাতা, একটি কুড়ি... সবুজে সবুজ। গরুবাথানের চা-বাগান।

যাত্রা শেষে ফেরার পালা।

তিস্তা দিয়ে শুরু, তিস্তায় এসে শেষ।

রোজের আনন্দবাজার • এ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘর • স্বাদবদল • চিঠি • পুরনো সংস্করণ