সংবাদের পরিভাষায় যাকে ‘হার্ড নিউজ’ বলে তার বাইরেও বিস্তৃত খবর-রাশি প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আর সেই পাহাড়-প্রমাণ খবরের খনি থেকে কিছু বিষয় ভিত্তিক সংবাদকে বেছে নিয়ে আমরা সাজিয়েছি ‘সংবাদের হাওয়াবদল’।
সরাসরি বেড়ানোর কথা না-বললেও এইসমস্ত খবর আসলে হাওয়াবদলকে কেন্দ্র করেই। সংবাদের মোড়কে পর্যটন,
চমকে দেওয়া না-জানা তথ্য, জীবজগতের পাশাপাশি পার্বণ, প্রত্নতত্ত্ব সবমিলিয়ে এক অন্য খবরের জগৎ। |
|
|
ঐতিহ্য |
• সোয়ারজেনেগারকে নিয়ে প্রদর্শশালা |
সোয়ারজেনেগারকে নিয়ে এক প্রদর্শশালার উদ্বোধন হল অস্ট্রিয়ায়। হলিউড অভিনেতা ও ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাক্তন গভর্নর আর্নল্ড সোয়ারজেনেগারকে নিয়ে এই ধরনের সংগ্রহশালা বিশ্বে এই প্রথম তৈরি হল। অস্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরের থাল গ্রামে তার জন্মভিটেতে নির্মিত এই প্রদর্শনশালায় স্থান পেয়েছে সোয়ারজেনেগারের ব্যবহৃত বহু জিনিসপত্র। ১৯৪৭ সালে জন্মেছিলেন তিনি। ’৬৬ তে ‘মিঃ ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় জেতার আগে বসবাস করতেন এখানেই, একটি একতলা বাড়িতে। তখন এই ফ্ল্যাটে কোনও আলো বা জলের ব্যবস্থা ছিল না। দরজার ফলকে প্রদর্শশালার নাম লেখা ‘আর্নল্ড সোয়ারজেনেগারের জন্মভিটে প্রদর্শশালা’। সে সময়কার শৌচাগার, রান্নাঘর, জলের পাত্র ইত্যাদি আগের অবস্থায় রাখা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য রাখা আছে তাঁর ছেলেবেলার বিছানা, প্রথম জীবনে ব্যবহার করা ডাম্বেল, শারীরিক কসরতের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, ওজন লাগানো পুলি, ‘টারমিনেটর’ পর্বের ছবিতে ব্যবহৃত হার্লে ডেভিডসন মোটরসাইকেল, ‘কোনান দ্য বারবারিয়ান’ ছবির তরবারি ইত্যাদি। এ ছাড়াও ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর থাকাকালীন ব্যবহৃত টেবিল ও ‘টারমিনেটর’রূপী সোয়ারজেনেগারের প্রমাণ মাপের মূর্তিও রয়েছে।
|
• বিশ্ব ফুটবলের প্রাচীনতম নিয়মকানুন |
নিলামে ১৪ লাখ ডলারে বিক্রি হল শেফিল্ড এফসি-র ফুটবল নিয়মাবলী। বিশ্ব জুড়ে ফুটবল নিয়ামক সংস্থাগুলির সর্বোচ্চ সংগঠন ফিফার স্বীকৃতি অনুযায়ী ১৮৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইংল্যান্ডের এই ক্লাব বিশ্বে প্রাচীনতম। বিরলতম এই পুস্তিকা নিলামের কথা হঠাৎ ভাবা হয়নি। ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নতুন স্টেডিয়াম তৈরির জন্য অর্থ যোগাতেই এই সিদ্ধান্ত। এক কালের খ্যাতিময় এই ক্লাব বর্তমানে পেশাদার ফুটবল লিগের চার ধাপ নীচে নর্দান লিগে খেলছে। ১৮৬৩ সালে তৈরি হওয়া ঐতিহ্যময় ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের থেকেও পাঁচ বছর আগে নথিবদ্ধ হয়েছিল “দ্য শেফিল্ড ল’স”। ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্তে ফুটবলের আইন তৈরিতে রীতিমতো অবদান রয়েছে এই ‘নিয়মকানুনের’। এখনকার ফুটবলে ফ্রি-কিক, কর্নার কিক-সহ ক্রসবারের নিয়মের পিছনে মূল অবদান শেফিল্ডের ফুটবল আইনের।
|
• হিচককের প্রথম চলচ্চিত্র |
অ্যালফ্রেড হিচককের প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য হোয়াইট স্যাডো’র তিনটি রিল ‘খুঁজে’ পাওয়া গেল নিউজিল্যান্ডে। সেখানকার ফিল্ম আর্কাইভে ১৯৮৯ থেকে কয়েকটি ‘অজানা’ রিলের সঙ্গে পড়ে ছিল এই রিল তিনটি। ঘটনাটিকে ‘ন্যাশনাল সোসাইটি অফ ফিল্ম ক্রিটিকস’য়ের চেয়ারম্যান ডেভিড স্টেরিট ‘স্মরণকালের সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ সন্ধান’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ক্লাইভ ব্রুক ও বেটি কম্পসন অভিনীত এই ছবির সহ-পরিচালনা, সম্পাদনা, কাহিনি, প্রযোজনা ও পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন হিচকক। এ ছবিতে বেটি কম্পসন যমজ বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তাদের এক জন অত্যন্ত ভাল চরিত্রের ও অন্য জন খল নায়িকা। নিউজিল্যান্ডের ‘প্রজেক্টশনিস্ট’ ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সংগ্রাহক জ্যাক মারটাঘের সংগ্রহে ছিল এই তিনটি রিল। কিন্তু ১৯৮৯ সালে মারটাঘের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের তরফ থেকে ছবির রিল তিনটি নিউজিল্যান্ডের ফিল্ম আর্কাইভে জমা দেওয়া হয়। মারটাঘের নাতি টনি ওসবোর্ন জানিয়েছেন যে, ছেলেবেলা থেকেই তাঁর দাদু একনিষ্ঠ সংগ্রাহক ছিলেন, সে ছবিই হোক বা ডাকটিকিট, সবেতেই ছিল তাঁর অদ্ভুত আগ্রহ। তাঁর মতে ‘দ্য হোয়াইট শ্যাডো’র বাকি তিনটি রিল কোথায় আছে বা এর আর কোনও সংস্করণ আছে কি না তা কেউ জানে না। বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে ‘পার্ক রোড পোস্ট প্রোডাকসন’-এ রাখা থাকবে হিচককের ছবির এই রিল তিনটি।
|
• জেন অস্টেনের ‘দ্য ওয়াটসন’ |
১৮১৭ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে মারা যান বিখ্যাত লেখিকা জেন অস্টেন। প্রয়াণের আগে তাঁর ছ’টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’, ‘এমা’, ‘সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি’ ইত্যাদি। ‘দ্য ওয়াটসন’ নামের উপন্যাসটি শেষ হওয়ার আগেই তিনি মারা গিয়েছিলেন। অসমাপ্ত এই পাণ্ডুলিপি ছাড়া কেবলমাত্র ‘পারস্যুয়েশন’ উপন্যাসের দু’টি অধ্যায়, ‘লেডি সুজান’ ও ‘স্যান্ডিশন’ নামের উপন্যাসের খসড়ার খোঁজ পাওয়া যায়। গত মাসে লন্ডনের নিলামঘরে জেন অস্টেনের সেই বিরল পাণ্ডুলিপির দর উঠল ৯৯ লাখ ৩ হাজার ২৫০ পাউন্ড। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, পাণ্ডুলিপিটি ২০ থেকে ৩০ লাখ পাউন্ডে বিকোবে। কিন্তু তার তিনগুণ দর উঠায় স্বভাবতই খুশি নিলামঘর কর্তৃপক্ষ। সারা বিশ্বের সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে এই পান্ডুলিপির মূল্য অপরিসীম। এত দিন ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা ‘দ্য ওয়াটসন’ উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিটি কিনেছে অক্সফোর্ডের বডলেইয়ান লাইব্রেরি। সাহিত্যের ইতিহাসের এক অপ্রকাশিত ‘রত্ন’ নিজেদের সংগ্রহে আনতে পেরে উচ্ছ্বসিত বডলেইয়ান লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ। পাণ্ডুলিপিটি পরীক্ষা করে এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এর প্রায় প্রতিটি পাতায় বহু কাটাকুটি, দু’টি লাইনের মধ্যে অতিরিক্ত তথ্য ছাড়াও বহু বার এর পর্যালোচনা করেছেন লেখিকা। উপন্যাসটি বড়লোক মাসির কাছে পালিত হওয়া এক যুবতী মেয়ের কাহিনি, যে তাঁর বাবার কাছে পরে ফিরে আসে। বডলেইয়ান লাইব্রেরির পক্ষে রিচার্ড ওভেনডেন আশা প্রকাশ করেছেন আগামী শরতেই সাহিত্যপ্রেমীরা চাক্ষুষ করতে পারবেন মহামূল্যবান এই পাণ্ডুলিপিটি।
|
• পেটকাটি মাও |
মার্কণ্ডেয়পুরাণে পাওয়া যায় কালীর চামুণ্ডা রূপের কথা। চণ্ড আর মুণ্ড দানবকে হত্যা করেই তিনি চামুণ্ডা। ভারতের নানা জায়গায় এই চামুণ্ডা মূর্তি আছে, বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে নতুন বাজার এলাকা থেকে আমগুড়ি-রামসাইয়ের পথে মাত্র দুই কিলোমিটার পথ পেরোলে এমনই একটি চামুণ্ডার মূর্তি আছে। স্থানীয় জমিদার নগেন্দ্রনাথ রায়ের চাষের খেতে লাঙল দেওয়ার সময় উঠে আসেন কষ্টিপাথরের দেবী চামুণ্ডা, আনুমানিক দুশো বছর আগে। তবে আজকের ‘ধূমাবতী কালীমন্দির’ স্থাপনা ১৩৪৩ বঙ্গাব্দে। টিনের চালে ছাওয়া মন্দির। স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে অস্থিসার দেবীর নাম হয়েছে পেটকাটি মাও। ময়নাদেবীর নাম মধ্যযুগের সাহিত্যে তন্ত্রসাধনার সঙ্গে যুক্ত, তা থেকেই ময়নাগুড়ি। এখানকার বেংকান্দি গ্রামের উপান্তে মরাখাওয়া নদীর ধারে দেবীর মন্দির। মূর্তির উচ্চতা ৫ ফুট, প্রস্থ ৩ ফুট। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ সব ধর্মের মানুষই মায়ের পুজো দেন। দেবীর অস্থিচর্মসার দেহ আর তাঁর পেটে পিঠে লেগে যাওয়া চেহারা থেকেই নাম পেটকাটি মাও। দশ হাতের মধ্যে ডান দিকের দুটি এবং বাঁ দিকের একটি ভাঙা, ভেঙে গিয়েছে নাকের অগ্রভাগও। ত্রিনয়না দেবীর মুকুট সর্পশোভিত, পেটের উপরিভাগে একটি কাঁকড়াবিছে। পায়ের নীচে নারীমূর্তি, এক দিকে শেয়াল অন্য দিকে ময়ূর। বাংলার বজ্রযানী বৌদ্ধদের এই চামুণ্ডা চর্চিকাই নেপাল-তিব্বত হয়ে চিন পর্যন্ত গিয়েছিল!
|
• সগৌরবে আবার মানস |
‘বিপজ্জনক’ থেকে অসমের মানস অভয়ারণ্যকে ইউনেস্কো ‘বিপন্মুক্ত’ ঘোষণা করল। বাঘ ও হাতির সংরক্ষণকেন্দ্র এই অভয়ারণ্যকে ১৯৮৫ সালে হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেস্কো। কিন্তু ’৮০ ও ’৯০-র দশকে অসম জুড়ে গণ বিশৃঙ্খলার কারণে প্রাকৃতিক ও বন্য পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি হয়। মানস অভয়ারণ্যও তার থেকে রেহাই পায়নি। ফলে ১৯৯২ সালে ইউনেস্কো এটিকে ‘বিপজ্জনক’ ঘোষণা করে।
দক্ষিণ এশিয়ার আইএফএডব্লিউ-র আঞ্চলিক অধিকর্তা বিবেক মেননের মতে, “এ ধরণের ঘোষণার দুটি দিক থাকে।
প্রথমত, যে অঞ্চলটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হচ্ছে, সেটির প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ। ফলে সমস্যা সমাধানের একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। আর দ্বিতীয়ত, যদি অঞ্চলটির সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে বিশ্ব হেরিটেজ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।” এখনও পর্যন্ত এই কারণে দু’টি জায়গাকে হেরিটেজ তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে বিশ্ব হেরিটেজ কমিটি। জায়গা দু’টি ওমানের ওরিক্স অভয়ারণ্য ও জার্মানির এল্ব উপত্যকা।
তবে সৌভাগ্যবশত মানস অভয়ারণ্য এই ‘দুর্ঘটনা’টি এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এবং সেটি সম্ভব হয়েছে স্থানীয় মানুষ, সরকার ও বনবিভাগের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। এছাড়াও আইএফএডব্লিউ ও ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার যৌথ সহযোগিতা ছাড়া মানসের ‘বিপজ্জনক’ তকমা ঘোচানো কিছুটা হলেও অসম্ভব ছিল। মানস অভয়ারণ্য তার পুরনো গৌরব ফিরে পাওয়ায় খুশি সব মহল। বিশ্ব হেরিটেজ কমিটির ২২টি সদস্য দেশের ভোট পেয়ে বিশ্ব হেরিটেজের তালিকায় নথিভুক্ত হয়েছে মানস। এই অভয়ারণ্যের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আইইউসিএন-এর পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতেও আশানুরূপ ফল মেলে। সমগ্র দিক খতিয়ে দেখে প্যারিসে আয়োজিত বিশ্ব হেরিটেজ কমিটির ৩৫তম অধিবেশনে মানস অভয়ারণ্যকে ‘বিপন্মুক্ত’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার |
• সন্ধান মিলল পুরনো কবরখানার |
ব্রিটেনের প্রাচীনতম অনাবৃত কবরখানার খোঁজ মিলল ইংল্যান্ডের সমারসেটে। একটি প্রকল্পের কাজের জন্য খননের সময় খোঁজ মিলেছে এই কবরখানার। সেখানে খোঁড়াখুড়ির সময়ে পাওয়া যায় দুটি মাথার খুলি। তাদের রেডিও কার্বন ডেটিং পরীক্ষা করে জানা গেছে সে দু’টি দশ হাজার বছরেরও পুরনো। বর্তমানে তাদের রাখা হয়েছে একটি সংগ্রহালয়ে।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে প্রায় ৮৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্রিটেনের শিকারিরা তাঁদের পরিজনদের কবর দিতেন এখানে। তখন এটি দ্বীপ ছিল। শিকারি ছাড়া বাকি নাগরিকদের কবর দেওয়া হত গুহায়। এ রকমই এক গুহা ‘‘অ্যাভলিন’স হোল’’। উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডঃ রিচার্ড ব্রুনিং। তিনি জানিয়েছেন, “এই ধরনের মুক্তাঙ্গন কবরখানা ইউরোপে খুবই বিরল। এটি এখনও পর্যন্ত ব্রিটেনের একমাত্র মুক্তাঙ্গন কবরখানা।”
|
• ফরাসি বিপ্লবের মুদ্রা |
নর্দমা সারাইয়ের জন্য ভূগর্ভস্থ ঘরের পাশেই চলছিল খোঁড়াখুড়ির কাজ। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে মিলল একটি ছোট মাটির পাত্র। আর সেই পাত্রের ভেতর থেকে যা বেরোল তাতে চক্ষু একেবারে চড়কগাছ। ৩৪টি সোনার মুদ্রা! তার মধ্যে ফরাসি বিপ্লবের সময়কার মুদ্রাও রয়েছে! দক্ষিণ ফ্রান্সের একটি বাড়ি থেকে এই অমূল্য সম্পদ উদ্ধার হওয়ার খবর সম্প্রতি ফরাসি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
১৫৯৫ থেকে শুরু করে ১৭৮৯, এই সময়কালের মুদ্রাগুলি দেখে স্থানীয় এক মুদ্রা বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, এগুলির বর্তমান বাজার দর প্রায় ১ লক্ষ ইউরো। এর মধ্যে সবথেকে মূল্যবান মুদ্রা ‘ডাবল লুই’য়েরই দাম প্রায় সাড়ে ছ’হাজার ইউরো। কারণ মুদ্রাটি ফরাসি রাজা ত্রয়োদশ লুইয়ের আমলের। ওই মুদ্রা বিশেষজ্ঞের আরও ধারণা, কোনও মার্কিন বা জাপানি সংগ্রাহক মুদ্রাগুলি বহু অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহে রাখতে আগ্রহী হবেন।
বিক্রি বা নিলাম, এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসেননি ওই ফরাসি দম্পতি। তবে মুদ্রাগুলি তারা নিজেদের কাছেও রেখে দিতে পারেন। কেন না ফরাসি আইন অনুযায়ী তাঁদের বাড়িতেই যখন পাওয়া গেছে তখন মুদ্রাগুলি তাঁদেরই সম্পত্তি।
|
• খোঁড়াখুঁড়িতে ধ্বংস ৪ প্রাচীন বৌদ্ধ গুহা |
মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে কয়লা খাদানে খনন কার্য চালানোর সময়ে চারটি বৌদ্ধ গুহা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ইতিহাসবিদদের মতে, এই গুহাগুলি প্রায় ২০০০ বছরের বেশি পুরনো। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রার্থনার জন্য এগুলি তৈরি হয়েছিল। মানা গুম্ফা নামে খ্যাত এই গুহাগুলি। পাশেই ছিল একটি হনুমান মন্দির । ২০০৯ সালে হনুমান মন্দিরটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৌদ্ধ গুহাগুলির ঐতিহাসিক মূল্য নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখাননি ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষ। ফলস্বরূপ এই গুহাগুলি আজ আরও ধ্বংসের মুখে। |
|
|
|
|
|
|
|
|
বন্যপ্রাণ |
• পশ্চিমঘাটে নতুন মাকড়সা |
পশ্চিমঘাট পর্বতমালার দক্ষিণাঞ্চলে ‘ট্র্যাপডোর’ গণের দু’টি নতুন প্রজাতির মাকড়সার সন্ধান পেলেন মুম্বইয়ের দুই বিজ্ঞানী। স্ক্যালিডগনেথাস নাইগ্রিয়ারানেয়াস ও স্ক্যালিডগনেথাস টাইগেরিনাস প্রজাতির এই দুই মাকড়সার সন্ধান পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত জীববিজ্ঞানী মহল। এত দিন পর্যন্ত একটি স্ক্যালিডগনেথাস প্রজাতির মাকড়সার অস্তিত্ব জানা ছিল ভারতে। সম্প্রতি এই দুটির সংযোজন জীববৈচিত্রে নতুন মাত্রা আনল। ট্র্যাপডোর’দের নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষ লেখালেখি যে হয়নি, সে কথা স্বীকার করেছেন বিজ্ঞানী রাজেশ সানাপ। রাজেশ আর জেশান মির্জা, এ দু’জনের যৌথ উৎসাহেই শেষ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গেল এই নতুন মাকড়সাদের। তাঁরা এদের নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন।
ট্র্যাপডোর মাকড়সারা শিকারের জন্য ফাঁদ তৈরিতে খুবই দক্ষ। মাটিতে গর্ত তৈরি করে, গর্তের মুখটা গাছের পাতা ও জাল দিয়ে ঢেকে দেয়। এটা এমন ভাবে তৈরি করে তারা যে, দেখে মনে হবে কোনও ঘরের দরজা। এত গেল গর্তের বাইরের দিকে শিকার ধরার আয়োজন। গর্তের ভিতরেও সুন্দর ভাবে জাল বুনে রাখে। আর জালটা গর্তের মুখের ঢাকনার সঙ্গে অদ্ভুত ভাবে সংযুক্ত থাকে যে, শিকার কাছাকাছি এলেই বুঝতে পারে। আশ্চর্যের আরও বাকি আছে। জালটি প্রতি মুহূর্তে এই মাকড়সাদের সংকেত পাঠায়। এত নিখুঁত ও নিপুণ ভাবে সমস্ত ব্যবস্থাটি করা হয়, যা দেখে বিজ্ঞানীরাও অবাক।
নাইগ্রিয়ারানেয়াসের গড় মাপ ১০.২২ মিলিমিটার। গায়ের রং কালো। অন্য দিকে, টাইগেরিনাসের গড় মাপ ১০.৩৩ মিলিমিটার। শরীরে রয়েছে মেরুন রঙের ছোপ। লাতিন শব্দ ‘নাইগ্রি’র মানে ‘কালো’ আর ‘আরানিয়াস’ মানে মাকড়সা। বাঘের গায়ের রঙের সঙ্গে দ্বিতীয় মাকড়সাটির মিল পাওয়া যায় বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে টাইগেরিনাস। |
|
|
|
|
|
|
|
পার্বণ |
• তারনেতর মেলায় ‘বিবাহ বাজার’ |
যে কোনও মেলাই মানুষের মিলনক্ষেত্র, এ কথা বহু ব্যবহৃত। মেলায় গেলে চিন্তাভাবনার সঙ্গে সঙ্গে যে সংস্কৃতির আদানপ্রদানও ঘটে সে কথাও জানা আছে। কিন্তু মেলায় গিয়ে ‘জীবনসঙ্গী’ বেছে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগও যে মেলে তার প্রমাণ তারনেতর মেলা।
গুজরাতের সৌরাষ্ট্রে প্রত্যেক বছর এই তারনেতর মেলা আয়োজিত হয়। সারা বছর জুড়ে যে সমস্ত পার্বণ পালিত হয় এই রাজ্যে, তার মধ্যে রঙিন ও চমকপ্রদ হিসেবে অন্যতম এই মেলা। ত্রিনেত্রেশ্বর মন্দির প্রাঙ্গনে ভাদ্রের প্রথম সপ্তাহেই এটি অনুষ্ঠিত হয়। জায়গাটি তখন উত্তেজনার রঙে আবর্তিত হয়। কেন না ‘বিবাহ বাজার’ যে এখানেই বসে!
ত্রিনেত্রেশ্বর মন্দিরে একটি ‘কুণ্ড’ বা কুয়ো আছে। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী এই আধারের জল গঙ্গার জলের মতোই পবিত্র। কুয়োটি ‘পাপাংশু’ (পাপের বিনাশ) নামেও পরিচিত। তবে আসল গল্পটা অন্য জায়গায়। সেটা হল,
ঊনবিংশ শতাব্দীতে বহুলাংশে সংস্কার হওয়া এই মন্দিরেই নাকি মাছের চোখ তিরবিদ্ধ করে দ্রৌপদীকে পেয়েছিলেন অর্জুন। অন্তত লোককথা তাই বলে। কাজেই সেখানেই যে বসবে এ যুগের আধুনিক ‘স্বয়ম্বর সভা’ তাতে আর আশ্চর্য কী!
সৌরাষ্ট্রের বাসিন্দারা চিরাচরিত পোশাক, যথা, রঙিন ধুতি, সুচারু কাজ করা জ্যাকেট এবং নানা রকমের পাগড়ি পরে মেলায় আসেন। আর সঙ্গী খোঁজার বিষয়টি কী ভাবে ঘটে? উপস্থিত অবিবাহিত পুরুষ ও নারীদের আলাদা করে এই মেলায় চেনা যায়। আর নিজেকে ‘অবিবাহিত’ হিসেবে জাহির করবার মোক্ষম অস্ত্রটির নাম ‘তারনেতর ছাতা’। গুজরাতি শিল্পের এক অসাধারণ নিদর্শন এই ছাতা। ছোট ছোট কাচ ও ধারের দিকে সুদৃশ্য পাড় বসিয়ে তৈরি এই বিশাল ছাতাই বিবাহ সঙ্কট মোচন করে। মেলাটি তাই মূলত ‘স্বয়ম্বর’ হিসেবেই পরিচিত। আদিবাসী সম্প্রদায়ের যুবক ও যুবতীদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী জীবনসঙ্গীকে বেছে নেওয়ার এমন সুযোগ বোধহয় আর কোথাও মেলে না।
মেলা জমে ওঠে লোকগান ও লোকনৃত্যে। নানা রকমের লোকবাদ্যে গমগম করে মেলা চত্ত্বর। পুরুষ ও মহিলাদের সমবেত উপস্থাপনে আরও রঙিন হয়ে ওঠে তারনেতর মেলা। শতাধিক মহিলা একত্রিত হয়ে বৃত্তাকারে ঘুরে-ঘুরে শরীর দুলিয়ে পরিবেশন করেন রাস, গরবা, হুডো নাচ। আর নাচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজতে থাকে চিরাচরিত প্রথায় ড্রাম ও বাঁশি। সব মিলিয়ে মেলাটি পরিপূর্ণ একটি লোকমেলার পরিণতি পায়। পুজো, নাচ-গান, সঙ্গিনী খোঁজার পাশাপাশি চলে খাওয়া-দাওয়া। মেলায় প্রায় তিনশোর মতো দোকান বসে। খাবার ও মণিহারির দোকান তো আছেই, থাকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার হস্তশিল্পের প্রদর্শনী। প্রতিযোগিতামূলক নানা খেলাধুলোর আয়োজনের পাশাপাশি দর্শক টানতে গবাদী পশুর প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয় এই মেলায়।
শুধু গুজরাত নয় তিন দিনের এই তারনেতরের মেলায় ইদানীং ভিড় জমাচ্ছেন বাইরে থেকে যাওয়া উৎসাহী পর্যটকও।
|
• সুলতানগঞ্জে শ্রাবণী মেলা |
দেওঘর যাওয়ার পথে বিহারের সুলতানগঞ্জে প্রায় মাসখানেক কাল জুড়ে এক মেলা বসে। নাম তার শ্রাবণী মেলা। দেশ-বিদেশের মানুষের আগমনে জমে ওঠে জনপ্রিয় এই মেলা।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূণ্যার্থী আসেন বৈদ্যনাথ ধাম দর্শন করতে। সুলতানগঞ্জ থেকে তাঁরা পায়ে হেঁটেই যান বৈদ্যনাথের মন্দির পর্যন্ত। শ্রাবণ মাসের প্রথম দিনেই প্রায় লাখ খানেক পূণ্যার্থী এই তীর্থযাত্রায় অংশ নেন। সুলতানগঞ্জ থেকে উত্তর বাহিনী গঙ্গার জল বাঁকে করে নিয়ে ১০৫ কিলোমিটার হাঁটা পথে মন্দির। আর সেই জল নেওয়ার মাঝেই মেলা দর্শন।
রথ দেখা ও কলা বেচার প্রবাদটি এই শ্রাবণী মেলা সম্পর্কে ভীষণ ভাবে খাটে। বৈদ্যনাথ ধাম যাওয়া আর গঙ্গার জল নেওয়া এই দুয়ের ফাঁকে মেলার দোলায় দু’পাক ঘুরে নেওয়াকে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার থেকে দু’ আনা বেশিই বলা যায়।
|
• শ্রাবণে জমজমাট জল্পেশ |
পাহাড়ের অশান্ত পরিবেশ ও নানা সমস্যার কারণে ময়নাগুড়ির শ্রাবণী উৎসবে মানুষের উৎসাহ এত দিন বিশেষ লক্ষ করা যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়-চুক্তি এক লহমায় বদলে দিল এই বছরের শ্রাবণী উৎসবের আবহ। জল্পেশ মন্দিরকে ঘিরেই প্রতি বছর এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরেও জুলাই মাসের ১৭ তারিখে শুরু হয় মেলা। উৎসবের দ্বিতীয় দিন থেকেই পূণ্যার্থীদের ঢল নামে মন্দিরে। উৎসব কমিটির হিসাবে মেলার রাত থেকেই দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও কালিম্পং থেকে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পুজো দিতে এসেছিলেন। জল্পেশ কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেবের কথায়, “এত দিন পাহাড় অশান্ত থাকায় মন্দির চত্বরে দার্জিলিং থেকে পূণ্যার্থীরা তেমন আসতেন না। কিন্তু পাহাড়-চুক্তির পরে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে। ফলে দার্জিলিং ছাড়াও নেপাল ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে উৎসাহী মানুষেরা এসে ভিড় জমিয়েছেন। মেলার প্রথম দিন বিহার ও অসমের পূণ্যার্থীরা তিস্তার পাড় থেকে বাঁক কাঁধে নিয়ে উৎসব প্রাঙ্গণে হাজির হন। অন্য দিকে, পাহাড়ের পূণ্যার্থীরা দলে দলে তিস্তা সেতু থেকে হেঁটে জল্পেশ রওনা দেন। কমিটির এক সদস্যের কথায়, এক সঙ্গে এত মানুষের সমাগম মেলার পরিবেশকে এক অভূতপূর্ব মাত্রা দিয়েছে। যা আশাতীত। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই মন্দির চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল মেডিক্যাল টিম ও নিরাপত্তারক্ষীদের। সবমিলিয়ে মেলার পরিবেশ যাতে অশান্ত না হয়ে ওঠে সেইদিকে লক্ষ রাখতে যথেষ্ট তৎপর ছিল উৎসব কমিটি।
|
• শ্রাবণী মেলা |
ঝাড়গ্রামের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হল ‘শ্রাবণী মেলা’। নবম বর্ষের এই মেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কুশল চক্রবর্তী। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও মেলার আকর্ষণের কোনও খামতি ছিল না । নানা ধরনের জিনিসপত্রের স্টল ও মনোরঞ্জনের উপকরণ দিয়ে সেজে উঠেছিল মেলা। সঙ্গে ছিল জিভে জল আনা নানারকম খাবারের স্টল। এই মেলার বাড়তি পাওনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ মেতে উঠত বিচিত্রানুষ্ঠানে। মেলাকে ঘিরে যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় তার জন্য আগে থেকেই কড়া নিরপত্তার আয়োজন করেছিল প্রশাসন। |
|
|
|
|
|
|
|
ট্যুরিস্ট স্পট |
• পর্যটনকেন্দ্র শ্যামপুরের গাদিয়াড়া |
হাওড়া জেলার অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্র শ্যামপুরের গাদিয়াড়া। আটের দশকের প্রথম দিকে রাজ্য সরকার হুগলি নদী ও রূপনারায়ণ নদের সংযোগস্থলে গাদিয়াড়াকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। কলকাতা থেকে এখানে আসার একটিই উপায়, রেলপথ। হাওড়া থেকে ট্রেনে বাগনান। সেখান থেকে বাসে শ্যামপুর হয়ে গাদিয়াড়া। শ্যামপুর থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার পথ। বাগনান হয়ে হাওড়া-গাদিয়াড়া সরকারিও বেসরকারি বাসও চলাচল করে। এ ছাড়া ধর্মতলা থেকে কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে উলুবেড়িয়া। সেখান থেকে গাদিয়াড়া আসা যায়। বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটার হাঁটা পথে সরকারি ট্যুরিস্ট লজ। ৩২ টি ঘর আছে লজে। তার মধ্যে ৬ টি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও আরও থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে এই স্থানকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ও পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে প্রচারের আলোয় আনতে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, জানান পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ। |
|
|
স্বীকৃতি |
• সবার উপরে চো-লামু হ্রদ |
সিকিমে অনেকগুলি মনোময় হ্রদ রয়েছে। পর্যটকদের কাছে সেগুলির দৃশ্যসুখ কল্পনাতীত। তার মধ্যে উত্তর সিকিমের চো-লামু হ্রদকে সমীক্ষা করে ভারতের সর্বোচ্চ হ্রদ হিসাবে ঘোষণা করল ভারতের পরিবেশমন্ত্রক। ভারত-চিন সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ডোনকিয়ালা পাসের কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮ হাজার ফুট উচ্চতার এই হ্রদ থেকেই তিস্তা নদীর উৎপত্তি। ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ তো বটেই সারা পৃথিবীতে ষষ্ঠ স্থান। পরিবেশ মন্ত্রকের এই ঘোষণার পরেই নড়েচড়ে বসেছে সিকিম সরকার। পর্যটকদের কাছে চো-লামুকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী যথেষ্ট উদ্যোগী হয়েছেন। |
|
|
পরিষেবা |
• বাস পরিষেবা |
গড়িয়া থেকে দিঘা এখন পাঁচ ঘণ্টা। সম্প্রতি গড়িয়া মোড় ও হরিনাভি থেকে দিঘা যাওয়ার বাস পরিষেবা শুরু করল কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। হরিনাভি থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটায় ও গড়িয়া থেকে পাঁচটায় বাস ছাড়বে। কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনে এক বার ওই বাস চলবে, অগ্রিম বুকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
|
|
• নতুন পণ্যবাহক বিমান |
জিই ক্যাপিটাল অ্যাভিয়েশন সার্ভিস লিমিটেড পণ্য পরিবহনের জন্য একটি নতুন বোয়িং বিমান ৭৭৭এফ সংযোজন করল চৈনিক কার্গো এয়ারলাইন্সে। এর আগেরটি সংযোজিত হয়েছিল ২০১০-এর শেষের দিকে। চিনের এই সংস্থাটি বর্তমানে পণ্য পরিবহনের জন্য ১৮টি বিমান চালায়। অপর দিকে জিই ক্যাপিটাল বিশ্ব জুড়ে ৩১ টি ব্যবস্থাপক কোম্পানির মাধ্যমে শতাধিক পণ্যবাহক বিমান চালায়। সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি বিমান।
|
• দোহা-কলকাতা সরাসরি বিমান |
কাতার এয়ারওয়েজ সম্প্রতি চালু করল কলকাতা ও দোহার মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। প্রতিদিনই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দোহা ও কলকাতার মধ্যে বিরামহীন এই উড়ানযাত্রার পর আগামী মাসে সংস্থাটি বুলগেরিয়ার সফিয়া, অক্টোবরে নরওয়ের অসলো, নভেম্বরে উগান্ডার এন্টেবি, আজারবাইজানের বাকু ও জর্জিয়ার বিলিসির মধ্যে বিমান চালানোর কথা জানিয়েছে। দোহা ও কলকাতার মধ্যে এখন দ্বিসাপ্তাহিক পণ্যবাহী বিমানও চালাচ্ছে কাতার ওয়ারওয়েজ। |
|
পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ইতিমধ্যেই পস্তাচ্ছি আমরা। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল
হাতেনাতে পেয়েও টনক নড়ে
ক’জনের? ব্যাতিক্রম অবশ্য আছে। আর সেই ব্যাতিক্রমী
মানুষদের প্রচেষ্টাকে কুর্ণিশ করি আমরা। তাঁদের দলবদ্ধ অথবা
ব্যক্তিগত উদ্যোগকে স্বাগত
জানিয়ে পাঠক সমক্ষে নিয়ে আসার পরিকল্পনার শরীক হতে চাইলে আমাদের জানান নীচের ঠিকানায় হাওয়াবদল, সংবাদের হাওয়াবদল আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট
কলকাতা ৭০০০০১ ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com |
|
|
|
|
|
|
রোজের আনন্দবাজার • এ বারের সংখ্যা • সংবাদের হাওয়াবদল • আপনার রান্নাঘর • খানা তল্লাশি • পুরনো সংস্করণ |
|
|
|