জনসন ভয়টাই ফিরিয়ে এনেছে: হোল্ডিং
নেক ব্যাটসম্যানেরই শুদ্ধ ব্যাটিং টেকনিকের অভাব। আর বহু দিন যাবত এত বেশি গতিতে আসা বলের মোকাবিলার অনভ্যাসের জন্য ব্যাট হাতে স্লো রিঅ্যাকশন।
মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতে মিচেল জনসনের পেস বোলিংকে গত কয়েক মাস ক্রিকেট বিশ্বে এতটা ভয়ঙ্কর দেখানোর এই দু’টিই মূল কারণ। যা কিনা বর্তমান বিশ্ব ক্রিকেটে গুটিকয়েক ব্যাটসম্যান বাদে বাকিদের টেকনিক নিয়ে প্রশ্নও তুলছে।
তা সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার অনুরোধ করেছেন ক্রিকেট কর্তা, কোচ, অধিনায়ক এবং দর্শকদের কাছে যে, জনসনকে আরও উৎসাহ দিন। ওর আরও প্রশংসা করুন। যাতে এই বাঁ-হাতি পেসার আরও কঠিন পরিশ্রম করে, আরও অনেক দিন এ রকম মারাত্মক ফর্মে থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে আদর্শ এক্সপ্রেস ফাস্ট বোলারের উদাহরণ হতে পারেন।
সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার দু’ইনিংস মিলিয়ে জনসনের এক ডজন উইকেট তোলা দেখে এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারে হোল্ডিং বলেছেন, “মিচেল সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে আর তার আগেই অ্যাসেজে যে পেস বোলিংটা করেছে, সেটা গত পাঁচ-ছ’বছর টেস্টে দেখা যায়নি। নতুন এক মাত্রা এনে দিয়েছে বর্তমান পেস বোলিংয়ে। ওর মতো আগ্রাসন আর গতিতে খুব বেশি ফাস্ট বোলারকে বল করতে এর ভিতর দেখা যায়নি। গত পাঁচ-ছ’বছর যে সব ব্যাটসম্যান মিডিয়াম পেসারদের খেলে গিয়েছে তাদের প্রশ্নের সামনে ফেলে দিয়েছে মিচের সত্যিকারের ফাস্ট বোলিং।”

স্বভাবতই দক্ষিণ আফ্রিকারই ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইনের প্রসঙ্গ উঠেছে। আইসিসি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে যিনি বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বের এক নম্বর। জনসনের সঙ্গে স্টেইনের তুলনা করতে গিয়ে হোল্ডিং বলেছেন, “ডেল-ও যথেষ্ট গতিতে বল করে। কিন্তু জনসন এই মুহূর্তে আরও বেশি জোরে বল করছে যেমন, তেমনই অনেক বেশি আগ্রাসন নিয়ে বল করছে। আর এক জন ফাস্ট বোলারের বোলিংয়ে আগ্রাসনটা ভীষণ জরুরি। গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ক্রিকেট খেলায় বলের পেস ম্যাচের রং পাল্টে দেয়। পেস-ই গেমচেঞ্জার। অনেক পেসারই দুর্দান্ত। গ্লেন ম্যাকগ্রা ব্রিলিয়ান্ট। কিন্তু ওরও জনসনের মতো ভয়ঙ্কর গতি ছিল না। ওই পেসের সামনে ব্যাটসম্যান সব সময় আতঙ্কে থাকে যে, এই লোকটা হয় আমাকে মারবে, নইলে আউট করে দেবে। যে ব্যাপারটা খেলার রং পুরো পাল্টে দেয়।”
সেঞ্চুরিয়নে কমপক্ষে চার জন দক্ষিণ আফ্রিকান জনসনের বলে আঘাত পেয়েছেন। যে প্রসঙ্গে অতীতে বহু ব্যাটসম্যানকে বাউন্সারে ব্যতিব্যস্ত করা হোল্ডিং বলেছেন, “ভাবতেই পারি না, কোনও ফাস্ট বোলার বিপক্ষের ব্যাটসম্যানের রক্ত ঝরতে দেখে আনন্দ পায়। ফাস্ট বোলার বরং আনন্দ পায় যখন বোঝে যে, তাকে খেলতে ব্যাটসম্যান ভয় পাচ্ছে। কেঁপে গিয়ে আউট হচ্ছে। ব্যাটসম্যানের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে পারাটা ফাস্ট বোলারের একটা অতিরিক্ত গুণ। যেটা বেশ কয়েক বছর পর জনসনের বোলিং ফের আমদানি করেছে।”

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.