|
|
|
|
বডিলাইন আতঙ্ক যেন ফিরে এসেছে |
ওদের মারার স্ট্র্যাটেজি নিয়েই এসেছি, হুঙ্কার জনসনের
সংবাদসংস্থা • সেঞ্চুরিয়ন |
তাঁর বাউন্সার হাসিম আমলার হেলমেটে লেগেছে। গ্রেম স্মিথ চোখ বুজে ফেলছেন। রায়ান ম্যাকলারেনের রক্ত ঝরিয়েছে। ফিলান্ডারের ব্যাট ভেঙেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “ওকে মাঠের বাইরে বসে দেখতেই ভয় লাগছে। ব্যাটসম্যানরা কী ভাবে খেলছে কে জানে।”
তিনি মিচেল জনসন বিপক্ষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পেরে তৃপ্ত। বলছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের হেলমেটে মারতে পেরে “বেশ ভাল লাগছে”। এবং বাকি সিরিজের জন্য তাঁর হুঁশিয়ারি, “এই প্ল্যানটা নিয়েই আমি এখানে এসেছি। অস্ট্রেলিয়ায় সফল হয়েছি। আর এখানকার পরিবেশটা তো অস্ট্রেলিয়ার মতোই।” |
|
প্রথম টেস্টে আমলার সঙ্গে তাঁর লড়াইটা বিশেষ করে উপভোগ করছেন জনসন। বলছেন, “কেউ ব্যাট করতে নামছে আর প্রথম বলটাই তার মাথায় লাগছে এক জন ফাস্ট বোলার হয়ে এ রকম ব্যাপার ঘটতে দেখলে ভালই লাগে।” জনসন পরিষ্কার বলছেন, এই ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর’টা এখন তাঁর তূণে প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। “বিশেষ করে যে সব উইকেটে একটু বাউন্স থাকে, সেখানে এই অস্ত্রটা তো দারুণ কাজে লেগে যায়,” গত কাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে জনসন আরও বলেছেন, “মর্নি মর্কেলকে কয়েকটা বল বাউন্স করাতে দেখে বুঝেছিলাম, এখানে আমিও কিছু করতে পারব। ক্লার্ক সকালে ডিক্লেয়ার দেওয়ায় উইকেটের তাজা ভাবটা কাজে লাগাতে পেরেছি।”
তার মানে কি পিচের সাহায্য না পেলে আপনি সে রকম ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারবেন না? গ্রেম স্মিথ তো সে রকমই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন। এ বার সাংবাদিকদের জনসনের বাউন্সার, “অ্যাডিলেডের উইকেটটা তো সে রকম কিছু ছিল না। সেখানেও আমার কোনও সমস্যা হয়নি। আমি এখন আত্মবিশ্বাসী, যে কোনও উইকেটে ভাল বল করতে পারব।” |
|
দক্ষিণ আফ্রিকানরা মুখে যাই বলুন না কেন, তাঁরা যে জনসনকে ভয় পেতে শুরু করেছেন, সেটা বলছেন অনেক প্রাক্তনই। যেমন শন টেট। জনসনের এক সময়ের সতীর্থ নিজেও দেড়শো কিলোমিটার গতিতে বল করতেন। টেট বলছেন, “অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকানরা ওকে ভয় পাচ্ছে। মুখে যা-ই বলুক না কেন। আপনি বিশ্বের সেরা প্লেয়ারদের জিজ্ঞেস করে দেখুন না। কেউ বাইশ গজে এখন মিচেলের মুখোমুখি হতে চাইবে না। আমাদের প্রজন্মের ওই সেরা বোলার।”
অস্ট্রেলীয় অধিনায়কও মনে করছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর ফাস্ট বোলারের নাম জনসন। মাইকেল ক্লার্কের কথায়, “এই মুহূর্তে বিশ্বে কোনও ক্রিকেটপ্রেমী আছে, যে জানে না, মিচেল ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে? আর শুধু তো গতি নয়, বারবার ঠিক জায়গায় হিট করতে গেলেও অবিশ্বাস্য দক্ষতার প্রয়োজন। এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্রুততম বোলারের নাম মিচেল জনসন।” |
পুরনো খবর: এক নম্বরও কাঁপছে জনসনের সামনে |
|
|
|
|
|