কর্মীর ঝুলন্ত দেহ মেলার পরে বাম গ্রামের ওই শিশু নিকেতনটি আপাতত বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার ওই আশ্রমের শৌচাগার থেকে এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর থেকেই উত্তেজনা ছিল আশ্রমে। আশ্রমের পরিচালিকা তৃপ্তি রায় ও আরেক কর্মী তপতী মুখোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেফতার করার পরে শিশুদের কে দেখাশোনা করবে সে প্রশ্নও উঠছিল।
পান্নাময়ী শিশু নিকেতন নামে ওই আশ্রমে ২৩ জন শিশু রয়েছে। ঘটনার পরে তাদের বেশিরভাগেরই অভিভাবক এসে তাদের নিয়ে গিয়েছেন। বাকি যারা রয়েছে তাদের পাহারায় পুলিশ পিকেট বসেছে। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আশ্রমিক ছবিদেবীর মৃত্যু খুন না আত্মহত্যা, তা এখনও বোঝা সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়।”
খুনের অভিযোগে ধৃত তৃপ্তি রায় ও তপতী মুখোপাধ্যায়কে এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়। তবে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায় আদালত ধৃত দু’জনকে আপাতত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন শিখা আদিত্য বলেন, “ওই হোমে যে ২৩ জন শিশু রয়েছে, তাদের মধ্যে ৭-৮ জনকে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। ওই শিশুদের বর্ধমানের ঢলদিঘি ও আসানসোলের সাতগ্রামের দুটি সরকারি হোমে রাখা হবে। আপাতত ওই আশ্রমটিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে খোলা হবে কী না, তা প্রশাসন স্থির করবে।”
|