দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম হাম্বির মুর্মু। রবিবার দুপুরে কালনা১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের বেলকুলি গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার ওই ধর্ষিতা ছাত্রীর ঠাকুমা কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কালনা মহকুমা হাসপাতালে ওই দুই ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। এ দিন লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রীর ঠাকুমার দাবি, রবিবার দুপুরে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া তার নাতনি বছর দুয়েকের ছোট মাসির মেয়ের সঙ্গে বাড়ির পাশেই খেলছিল। তবে আশপাশে বিশেষ কেউ ছিল না। সেই সুযোগেই হাম্বির মিষ্টি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই দু’জনকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়।
সেখালে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ও তার বোনের উপর যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। পরে বাড়ির কাউকে বা আশপাশের কাউকে বিষয়টি জানালে হাঁসুয়া দিয়ে কেটে ফেলারও হুমকি দেয়। ভয়ে প্রথমে তারা কাউকে কিছু না জানালেও সোমবার ওই ছাত্রীর যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে সে। বাড়িতে সবকিছু খুলেও বলে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আদিবাসী সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একটি বৈঠকও হয়। তবে সেখানে হাম্বিরকে ডেকে পাঠানো হলেও সে যায়নি। খবর জানাজানি হওয়ার খবর পেয়েই পালায় সে।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনার কথা জানতে পারেন গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য আরতি মালিক। তিনি বিষয়টি আলোচনা করতে তাঁর স্বামী যাদব মালিককে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোবিন্দ ঘোষের বাড়িতে পাঠান। গোবিন্দবাবু বলেন, “বিষয়টি জানার পরেই ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশকেও জানাতে বলা হয়।” মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও আরেক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত আদিবাসী যুবকের খোঁজে দফায় দফায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আশা করি, তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।” |