শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার হিসেব চাওয়া নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে মঙ্গলবারও কার্যত বন্ধ রইল শক্তিগড় টেক্সটাইলস। এ দিন সকালে শ্রমিকেরা গিয়ে দেখেন, কারখানায় কোনও আধিকারিক নেই। কারখানার ভেতরেও ঢোকেননি তাঁরা। শ্রমিকদের দাবি, মালিকপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আধিকারিককে পদত্যাগ করিয়ে গিয়েছে।
এ দিন দুর্গাপুরে যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল সবপক্ষ হাজির না হওয়ায় তাও কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। বর্ধমানের মহকুমাশাসক (উত্তর) স্বপনকুমার কুণ্ডু বলেন, “আমি ওই বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে দেখি দু’পক্ষের কেউই আসেননি। তবে ওই কারখানায় লকআউটের নোটিশ ঝোলানো হয়েছে, এমন খবর এখনও পাইনি। শ্রমিক ও মালিক দু’তরফেরই নানা অভিযোগ পাচ্ছি। সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বর্ধমান ২ বিডিও-র কাছে রিপোর্টও চেয়েছি।” যদিও ওই শক্তিগড় জুটমিলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অম্বিকা দাসের দাবি, তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষের কেউ না থাকায় বৈঠক হয়নি। মালিকপক্ষের কারও সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি। |
এ দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত শক্তিগড়-বড়শূল রোড অবরোধও করেন ওই শ্রমিকেরা। স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা গোলাম জার্জিসের দাবি, “শ্রমিকেরা সকালে কারখানায় গিয়ে কোনও আধিকারিককে দেখতে পাননি। কেবল জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন। তিনিও শ্রমিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। শুধু জানান, তিনি পদত্যাগ করেছেন। এভাবে সমস্ত অফিসারকে পদত্যাগ করিয়ে মালিকপক্ষ কারখানাটিকে বন্ধ করিয়ে দেবার চক্রান্ত চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। কারখানার গেটে অবস্থান বিক্ষোভও শুরু করেছেন শ্রমিকেরা।”
শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অম্বিকাবাবু অবশ্য কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলছেন। তাঁর দাবি, ওই দিন আধিকারিকেরা বারবার হিসেব দেখানোর আশ্বাস দিলেও শ্রমিকেরা শোনেননি। মিলের এক আধিকারিককে হেনস্থা করা হয় বলেও তাঁর দাবি। তিনি জানান, বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা ইউনিয়নের সদস্য নয়। জেলা সভাধিপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে সমস্ত শ্রমিকেরা এ কাজ করেছেন তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। |