মাঘে কড়া শীত মিলিয়ে দিল পাহাড় আর সমতলকে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্যে, সোমবার জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ি শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ দিন দুপুরে দার্জিলিঙের তাপমাত্রার সমান। বস্তুত, চলতি মরসুমে এই দিনই প্রথম পাহাড় আর সমতলের তাপমাত্রা একই ছিল। গত বছর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে পাহাড় এবং সমতলের তাপমাত্রা একই রেখায় চলে আসে। এ বার শুরু থেকে উত্তরবঙ্গের সমতল তথা জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কোচবিহারে সর্বনিম্ন মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে খুব একটা কমেনি। ইতিমধ্যে ঠান্ডায় কুশমন্ডি ব্লকে বুধু (৫০) নামে এক ভবঘুরে, গঙ্গারামপুরে বাগানবাড়ি এলাকায় লক্ষী কিস্কুু (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। দুটি ক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। |
সোমবার সকালে রোদের দেখা মিললেও, হাওয়ায় কনকনে ভাব ছিল। গত রবিবার রাত থেকেই শিলিগুড়িতে কুয়াশা শুরু হয়। কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় জলপাইগুড়ি শহর। এ দিন সকালে কুয়াশা কাটলেও কনকনে ভাব দিনভর বজায় ছিল দুই শহরে। এ দিন মালদহে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কমে। মালদহের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও নেমে আসে ১১ ডিগ্রিতে। এ বছরের ঠান্ডার কারণে মালদহে আমের মুকুল বের হতেও সময় লাগছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আম চাষিরা।
কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। ঠাণ্ডায় জুবুথুবু কোচবিহার। মেঘে ঢাকা আকাশে সোমবার দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিতে, সোয়েটার, আলোয়ানে মাথা, মুখ মুড়ে বাসিন্দাদের চলাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। ঠান্ডার সঙ্গে বৃষ্টি নামলে আলুতে ফের ধসা ছড়াতে পারে বলে এখন আশঙ্কা করছেন কোচবিহারের কৃষি দফতরের আধিকারিকরা।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের আকাশ থেকে বিদায় নেওয়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার টানেই বরফে ঢাকা হিমালয় থেকে আসা উত্তুরে হাওয়া তাপমাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। যে কারণে আবহাওয়াবিদদের দাবি জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ির তাপমান পারদে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও অনুভূত তাপমাত্রা তার থেকেও কম। তাপমাত্রা কমেছে সিকিমেও। এ দিন সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমে ৭.৫ ডিগ্রিতে নেমে আসে। উত্তর সিকিমে বেশ কিছু এলাকায় তুষারপাতের পরিস্থিতি তৈরি বলে আবহাওয়া দফতর জানায়।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে এই দিন দুপুরে অল্প সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও দিনভর গোটা আকাশ মেঘলা ছিল। দিনের বেলাতেও জাতীয় সড়কের কিছু এলাকায় ভাল রকম কুয়াশা দেখা গিয়েছে। একই পরিস্থিতি ছিল দক্ষিণ দিনাজপুরেও। |