২১ জুলাই কমিশনে এ বার বুদ্ধ |
২১শে জুলাই কমিশনে সাক্ষ্য দিতে ডাকা হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। কমিশন সূত্রের খবর, ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য বুদ্ধবাবুর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কমিশন মনে করছে, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই আন্দোলনরত যুব কংগ্রেস কর্মীদের উপরে পুলিশের গুলি চালানোর ব্যাপারে বুদ্ধবাবুর বক্তব্য শোনা জরুরি। কারণ, তখন তিনি রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী ছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল সোমবার কমিশনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে জানান, ঘটনার সময় তিনি এসপ্লানেড ইস্টে ছিলেন। সেখানে গুলি চালানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। তবু পুলিশ বিনা প্ররোচনায় এবং আক্রোশবশত গুলি চালিয়েছিল। পায়ে হাওয়াই চটি, লুঙ্গি পরা কিছু লোকও গুলি চালাচ্ছিল।
|
এসএসসি-র ফর্ম নিয়ে বিভ্রান্তির অভিযোগ |
স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র পরীক্ষায় বসার ফর্ম নিয়ে বিভ্রান্তির অভিযোগ তুলে এক দল আবেদনকারী সোমবার সল্টলেকে কমিশনের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। ৩০ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের ৮৪৭টি ডাকঘরে ওই ফর্ম দেওয়ার কথা। কিন্তু আবেদনকারীদের অভিযোগ, অনেক ডাকঘরেই তা মিলছে না। কমিশনের ওয়েবসাইটেও পরীক্ষার নিয়মাবলি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। এসএসসি-র দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না। কমিশন বলছে, যথেষ্ট সংখ্যায় ফর্ম ছাপা হয়েছে। পরীক্ষা ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাতে কেউ বা কারা নকল সঙ্কট তৈরি করছে বলে পাল্টা অভিযোগ কমিশন-কর্তৃপক্ষের।
|
কুণাল ফের জেল-হাজতে আদালতের পথে |
বারুইপুরে কুণাল ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র। |
সারদা গোষ্ঠীর এক এজেন্টের দায়ের করা মামলায় তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে ফের ১৪ দিনের জন্য জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে মামলাটির শুনানি ছিল। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে রেবতী মণ্ডল নামে ওই এজেন্ট বারুইপুর থানায় সারদা-প্রধান সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন। সুদীপ্ত ও দেবযানী ছাড়া অন্যেরা জামিন পেয়েছেন। ওই অভিযোগে কুণালের নাম ছিল না বলে তাঁর আইনজীবীর দাবি। সরকারি কৌঁসুলি জানান, তদন্তে কুণালের নাম এসেছে। তাই তাঁকে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার পক্ষ ওই সাংসদকে জেল-হাজতে পাঠানোর আর্জি জানায়।
|
নানা অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আরও ৪৪ জন বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। তথ্য-সংস্কৃতি সচিব অত্রি ভট্টাচার্য সোমবার নবান্নে জানান, ২০১১ সালের মে মাস থেকে এই নিয়ে ২৩৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কারা দফতর সূত্রের খবর, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তারা ছাড়া পেলে এলাকায় অশান্তি হতে পারে কি না, সেই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়। জেলে বন্দির আচরণ কেমন ছিল, খতিয়ে দেখা হয় তা-ও। ডিসেম্বরে শাস্তি পর্যালোচনা বোর্ডের বৈঠকে ৪৪ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। |