কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে যে তিক্ততা চলে আসছিল, দিন কয়েক আগে তা আবার প্রকাশ্যে এসেছে। আর যাঁকে ঘিরে এত বিতর্ক, সেই উডি অ্যালেন এত দিনে মুখ খুললেন। অস্কারজয়ী পরিচালক-অভিনেতা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁর সম্পর্কে যা প্রকাশিত হয়েছে, সব অসত্য। অমর্যাদাকরও।
উডির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরই দত্তক কন্যা ডিলান ফ্যারো। সম্প্রতি এক মার্কিন পত্রিকায় ডিলানের একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। সাত বছরের ছোট্ট ডিলানকে উডি কী ভাবে নির্যাতন করেছিলেন, তার ব্যাখ্যা রয়েছে তাতে। আর স্বভাবতই বিষয়টি নিয়ে হলিউডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত ১৯৯২ সালে। ডিলানের মা মিয়া ফ্যারো তখনও উডির প্রেমিকা। তখন দত্তক পিতা উডির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন ডিলান। তখন তাঁর বয়স সাত। সে সময় প্রমাণের অভাবে উডির বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা হয়নি। দিন কয়েক আগে ডিলানের চিঠি প্রকাশ্যে আসে। আবার সামনে আসে যৌন হেনস্থার অভিযোগ। এ বার অবশ্য গোটা ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ডিলান।
কাল বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন উডি। তিনি নিজে নন। তাঁর প্রতিনিধি লেসলি ডার্ট বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ডিলানের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। শুধু তা-ই নয়। গোটা বিষয়টি ডিলানের মস্তিষ্কপ্রসূত বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। উডি নিজেও বলেছেন, “ডিলানের অভিযোগের পিছনে রয়েছে মা মিয়ারই উস্কানি।”
নিন্দুকেরা অন্য কথা বলছেন। উডি পরিচালিত ‘ব্লু জেসমিন’ অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছে। নিজের গা বাঁচানোর জন্যই কি তা হলে ডিলানের অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি? উঠছে সে প্রশ্নও।
|
চার মাসে ওজন কমলো ৩২০ কেজি |
আগে শোয়ার জন্য লাগত তিনটে খাট। চিকিৎসার ফল মিলেছে। এখন লাগে একটা খাট। তিনি সৌদি আরবের খালিদ মহসেন অল-শাইরি। খালিদ খবরে এসেছিলেন আগেই। সৌজন্যে তাঁর ওজন। গত অগস্টে তাঁর ওজন ছিল ৬১০ কেজি। শুনে চিন্তায় পড়ে যান স্বয়ং দেশের রাজা। রাজা আবদুল্লার নির্দেশেই ঘরের দেওয়াল ভেঙে ক্রেনে করে নামিয়ে আনা হয় বিশালদেহী খালেদকে। রিয়াধের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে মোটে চার মাসে তিনি কমিয়ে ফেলেন ৩২০ কেজি ওজন। এত কম দিনে এত কেজি ওজন এর আগে আর কেউ ঝরাননি। খালেদের অবশ্য রেকর্ডের ছড়াছড়ি। আগে চলাফেরা করতে পারতেন না ওই যুবক। এখন বাহন হুইল চেয়ার। ২৯০ কেজির খালেদ মহসেনের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি হুইল চেয়ারটাও আগে কেউ তৈরি করেননি। ওজন যাতে তাড়াতাড়ি কমে তাই তাঁর জন্য বিশেষ খাবার আসে আমেরিকা থেকে। ক’মাসে খালেদের ওজন যে হারে কমেছে তাতে খুশি তাঁর চিকিৎসকেরা। |