ছোট-বড় ঝিনুকে মণ্ডপ সাজিয়ে দর্শকদের চোখ টেনেছে জাপট এলাকার যুগের দ্বীপ ক্লাব। চাকদহের শিল্পী নিরঞ্জন পালের পাটকাঠির প্রতিমাও নজর কাড়ার মতোই। পুজো উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী। তবে শুধু পুজোর জাঁকজমকই নয়, দুঃস্থ মেধাবী পড়ুয়াদের হাতে তুল দেওয়া হয়েছে ৫০টি সাইকেল। শহরের ২৫টা ক্লাবকে দেওয়া হয়েছে ফুটবলও।
|
প্রতিবারের মতো এ বারও অন্য ধরণের প্রতিমা তৈরি করেছে জাপটের অগ্নিবাণী ক্লাব। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সুবীর পালের ভাবনায় মণ্ডপের একপাশে মান্না দে-র গান গাওয়ার মূর্তি, অন্য পাশে খালি সিংহাসন। সেখানে রাখা রয়েছে একটি টুপি। আর সিংহাসনের পাশে লেখা, ‘মুকুটটা তো পড়েই আছে, রাজাই শুধু নেই।’ মান্না দে-র মূর্তি ও সিংহাসনের মধ্যে রাখা রয়েছে বাগদেবীর মূর্তি। মণ্ডপের গায়ে রয়েছে কাঠের নানা কারুকাজ।
|
কালনার শীতলা সঙ্ঘের মণ্ডপে ১৬ কুইন্ট্যাল ওজনের ঝাড়বাতি। |
দেশ ছাড়িয়ে মণ্ডপের থিমে হাজির ফ্রান্স। শীতলা সঙ্ঘের মণ্ডপে এ বার দেখা মিলবে ফ্রান্সের অপেরা হাউসের। এখানেই শেষ নয়, চোখ টানতে রয়েছে ১৬ কুইন্ট্যালের একটি ঝাড়বাতিও। আর প্রতিমাসজ্জার মূল ভাবনা, একটি গাছ একটি প্রাণ। পাল্লা দিয়ে রয়েছে আলোকসজ্জাও।
|
১০৮ শিবমন্দির চত্বরের ক্লাব স্পুটনিক-৭০ পাটকাঠির নানা অংশ দিয়ে তৈরি করেছে পাঁচ ফুটের সরস্বতী প্রতিমা। বিশেষ ধরণের ওই প্রতিমা তৈরি করেছেন নদিয়ার চাকদহের দুই শিল্পী বিমল সরকার ও গোপাল সরকার। রয়েছে রকমারি বাঁশের মডেলও।
|
৩৫ বছরে পা রাখা গোলক সমিতির পুজোর থিম আবার শক্তিপুঞ্জ। বাগদেবী এখানে সূর্যের তাপ ভেদ করে বেরিয়ে আসছেন। এছাড়া প্রতিমার চারপাশে নানা ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে শিশুদিবস, সর্বশিক্ষা মিশন, বৃক্ষরোপণ থেকে ভ্যালেন্টাইন ডে। প্রতিমা তৈরি করেছেন পূর্বস্থলীর পাটুলির শিল্পী সঞ্জয় ও স্বপন পাল।
|
আমড়া, কয়েত বেল, হোগলা পাতা, খেজুর পাতায় সেজেছে লক্ষ্মণপাড়ার রয়্যাল ক্লাব। বাগদেবী এখানে শিশুদের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত। প্রতিমা তৈরি করেছেন বলাগড়ের কলেজ ছাত্র অরিন্দম বিশ্বাস। চোখ টানবে আলোকসজ্জাও। |
প্রায় ৪৫ ফুটের প্রতিমা তৈরি করেছে মধুবনপাড়ার সিটি বয়েজ। সঙ্গে মানানসই ২৫ ফুটের বীণা। উদ্যোক্তাদের দাবি, ডাকের সাজের ওই প্রতিমা তৈরি করতে সময় লেগেছে মাস দেড়েক। লেগেছে ৩ ট্রাক্টর মাটি। তবে আর পাঁচটা প্রতিমার মতো বিসর্জন সম্ভব নয় ওই প্রতিমার। বিসর্জনে রাতে দমকল এসে ধুয়ে দিয়ে যাবে প্রতিমাটি।
|
সিটি বয়েজের থেকে কিছুটা ছোট হলেও বৈদ্যপুর মোড়ের ড্যাফোডিল-১৩ ক্লাবের প্রতিমাও ঘাড় উঁচু করে দেখতে হবে। প্রায় ৩১ ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা ছাড়াও নজর কাড়বে মণ্ডপের পাশে বাহারি আলোয় সজ্জিত পুকুর। এ বার দ্বিতীয় বছরে পা রাখল এই ক্লাব।
|
মহিষমর্দিনী তলার কিশোর সমিতির মণ্ডপ সেজেছে চিকিৎসার নানা সরঞ্জাম দিয়ে। ব্যবহার হয়েছে স্যালাইনের বোতল, সূচ, ট্যাবলেটের পাতা, হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশি। মান্না দে-র নানা গানের কথা মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। |
পেন্সিল দিয়ে সেজেছে লিচুতলার সমাপ্তি সঙ্ঘের প্রতিমা। মণ্ডপের মধ্যে জীবন্ত মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মানসিক হাসপাতালের দৃশ্য। |
(তথ্য সংকলনে কেদারনাথ ভট্টাচার্য। ছবি: মধুমিতা মজুমদার।) |