অস্বস্তিতে ভারত, আনন্দের তির সোমদেবের দিকে
৩১ জানুয়ারি
চিনা তাইপেকে হারাতে হিমসিম ভারতের তরুণ ডেভিসকাপাররা!
প্রথম দিনের শেষে য়ুকি ভামব্রি-র কষ্টার্জিত চার সেটের জয়ে ঘরের মাঠে ভারত ১-০ এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দিন সেটা ১-১ হয়ে পড়ারও সম্ভাবনা আছে। খারাপ আলোর জন্য দ্বিতীয় সিঙ্গলস বন্ধ হওয়ার সময় ভারতের এক নম্বর সিঙ্গলস তারকা সোমদেব দেববর্মন এবং তি চেনের ম্যাচ ৬-৭ (৪-৭), ৭-৬ (৭-৩), ১-৬, ৬-২, ৭-৭ অবস্থায় টাইব্রেকহীন মীমাংসাসূচক পঞ্চম গেমে রয়েছে।
সাড়ে চার ঘণ্টার এই অসমাপ্ত লড়াইয়ের আগে প্রথম সিঙ্গলসেও অখ্যাত তাইপে প্রতিদ্বন্দ্বী সুং ইয়াং প্রাক্তন জুনিয়র বিশ্বসেরা য়ুকিকে যথেষ্টই বেগ দেন। দু’ঘণ্টা ৫২ মিনিটের প্রথম সিঙ্গলসের মাঝপথে হঠাৎ-ই ছন্দ হারান য়ুকি এবং একটি সেট খোয়ানোর পর শেষমেশ জেতেন ৬-২, ৬-৪, ৬-৭ (১-৭), ৬-৩। শনিবার সোমদেবের অসমাপ্ত সিঙ্গলস শেষ হওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ ডাবলসে ইন পেং-হান লি’র বিরুদ্ধে নামবেন রোহন বোপান্না এবং অভিষেককারী সাকেত মিনেনি।
তার আগে অবশ্য ভারতীয় টেনিসপ্রেমীদের চোখ সোমদেবের দিকে। এবং সেই দৃষ্টিতে টেনশন থাকলেও হয়তো অবাক হওয়ার নয়। এমনকী এই টাইয়েই ভারতের নন- প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হওয়া আনন্দ অমৃতরাজ অবধি সোমদেবের টেনিস-দর্শনের এ দিন সমালোচনা করেছেন। ম্যাচের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণের আগেই যেটা ঘটা যেমন আশ্চর্যের, তেমনই তাতে টেনিসমহলও অবাক! সোমদেব চারটে ম্যাচ পয়েন্ট পেয়েও খেলা সাঙ্গ করতে পারেননি।

ডেভিস কাপে য়ুকি ভামব্রি। শুক্রবার ইনদওরে। ছবি: পিটিআই।
চারটের মধ্যে তিনটে ম্যাচ পয়েন্ট নষ্ট করেন শুধু পঞ্চম গেমের নবম গেমেই! অন্য দিকে, সোমদেবের অনামী প্রতিপক্ষ তাঁর আক্রমণাত্মক পাল্টা লড়াইয়ে বারবার ম্যাচে ফিরে আসায় দিনের শেষে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ হতাশ ভাবে বলেই ফেলেন, “সোমদেবকে ওর রক্ষণাত্মক মানসিকতা থেকে বার করে আনাটা সত্যিই কঠিন!”
ভারতের বর্তমান টেনিস প্রজন্মের ঘাসের কোর্টে খেলার অনভ্যস্ততার জন্য ইদানীং ঘরের মাঠেও ডেভিস কাপ এআইটিএ ফেলছে হার্ডকোর্টে। যদিও হার্ডকোর্টের আসল আব্দারটা বরাবর সোমদেবের। কিন্তু ঘরের মাঠে পছন্দের সারফেস পেয়েও এ দিন বিশ্বের ১০৩ নম্বর টেনিস তারকাকে অস্বাভাবিক ডিফেন্সিভ খেলতে দেখা গিয়েছে। বেসলাইন প্রায় ছাড়েনইনি। সুযোগ পেয়েও আক্রমণাত্মক উইনার না মেরে ঝুঁকিহীন দীর্ঘ র্যালি চালিয়ে গিয়েছেন দুর্বল প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধেও। “আসলে সোমদেবের পক্ষে নিজের ওই রক্ষণাত্মক মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারাটাই সমস্যা,” বলে অমৃতরাজ যোগ করেছেন, “আসলে ম্যাচে যার কিছু হারানোর নেই সে রকম কোনও প্রতিপক্ষকে পিষে ফেলাটা কিন্তু খুব সহজ নয়। আমি ম্যাচের মধ্যে সাইডলাইনে কয়েকবার সোমদেবকে বলেছিলাম যে, আরে, জোরে জোরে মারো! কিন্তু ও তো বলগুলো পুশ করছিল! আমার মনে হয় না, সোমদেব আজ রাতে ভাল করে ঘুমোতে পারবে বলে।”

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.