ওডাফা ওকোলিকে রবিবারও পাচ্ছে না মোহনবাগান!
আইএফএ শিল্ড শুরুর মুখে করিম বেঞ্চারিফা জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে দলের অধিনায়ককে খেলাবেন। বাংলাদেশের ক্লাব নির্ধারিত সময়ে না আসায় মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ (৩০ জানুয়ারি) স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এ দিন বাগান কোচ বলে দিলেন, “ওডাফার এখনও চিকিৎসা চলছে। রবিবার ও খেলবে না। ৫ ফেব্রুয়ারি হয়তো খেলবে।” বাগানের রবিবারের প্রতিপক্ষ সিকিম ইউনাইটেড। ওডাফা ছাড়াও মণীশ ভার্গব এবং শিল্টন পালের চোট আছে জানিয়েছেন করিম।
মাঠে নামার আগে অবশ্য মাঠের বাইরে রাজ্য সংস্থার সঙ্গে ঝামেলা লেগে গেল মোহনবাগানের।
ওডাফা: এখনও
চিকিৎসা চলছে। |
|
পুরো সূচি না পেলে শিল্ড খেলা সম্ভব নয়, এই চিঠি দেওয়ার পর শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান ম্যানেজার্স মিটিংয়ে এসেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর। আইএফএ কর্তাদের ‘কাতর’ অনুরোধে। কিন্তু সভায় এসে বাগানের ম্যানেজার প্রিন্স রিউজ জানিয়ে দিলেন, “যে সূচিই তৈরি হোক আমাদের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে। অন্তত দু’দিনের ব্যবধান রাখতে হবে দু’টি ম্যাচের মধ্যে।” বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা নিয়েও আপত্তি তুলেছে বাগান। ফেডারেশনের নিয়মানুযায়ী প্রতি দলে চার জন করে বিদেশি খেলতে পারে। কিন্তু বিদেশের যে দলগুলি এসেছে তাদের ক্ষেত্রেও কেন এই নিয়ম মানা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বাগান কর্তারা। অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, “একই টুর্নামেন্টে দু’রকম নিয়ম হবে কেন?”
পরিস্থিতি যা তাতে শিল্ডের সূচি বদল হচ্ছেই। বাগানের দাবি মানা হলে ৮ ফেব্রুয়ারির আগে মোহনবাগান-শেখ জামাল ধানমন্ডির স্থগিত থাকা ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ১৩ বা ১৪ তারিখের আগে হবে না।
এ দিন আবার আই লিগের নতুন সূচি প্রকাশ করেছে ফেডারেশন। সেখানে ইস্টবেঙ্গলের খেলা পড়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি চার্চিল ব্রাদার্সের সঙ্গে। ১৬ ফেব্রুয়ারি মোহনবাগানের খেলা। ফলে শিল্ডের সূচি নিয়ে জট। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “স্পনসরের সঙ্গে কথা বলেই সূচি ঠিক করব। আর বিদেশির সংখ্যা নিয়ে এএফসি-র নিয়ম দেখছি।”
শিল্ডের স্পনসররা অবশ্য বারবার সূচি পরিবর্তন দেখে ক্ষুব্ধ। লিগের পর শিল্ডেও তাদের বারবার সম্প্রচার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। শনি এবং রবিবারের ম্যাচ তাই তারা দেখাচ্ছে না। তবে পরের ম্যাচগুলো তারা দেখাবে বলেই খবর। উৎপলবাবু বললেন, “ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনও সমস্যা নেই।”
এ মধ্যে বিদেশ থেকে আসা তিনটে টিম শহরে এলেও তাদের নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সান মুন এফসি এবং গেলাংয়ের জন্য একটি বাসই বরাদ্দ করেছিল আইএফএ। ফলে ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলনের পর সান মুনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত লোকাল ম্যানেজারের গাড়িতে করে দফায় দফায় হোটেলে ফিরতে হয় কোরিয়ার দলটিকে। কোরিয়ার টিমের বেশির ভাগ ফুটবলারই আবার পেটের গণ্ডগোলে আক্রান্ত বৃহস্পতিবার থেকে। হোটেল পছন্দ না হওয়ায় বাংলাদেশের ধানমন্ডি ক্লাবকে অন্য হোটেলে পাঠিয়েছে রাজ্য সংস্থা। |
পুরনো খবর: মমতা দেখা হল, ওডাফাও
|