একটা ব্যালন ডি’অর কি বদলে দিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে? অনেক ফুটবলপ্রেমীর কাছে সিআর সেভেন ঔদ্ধত্ব্যের প্রতীক। যে ধারণা আরও জোরালো হয় যখন ২০১১ সেপ্টেম্বরে ডায়নামো জাগ্রেবের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচের পরে রোনাল্ডো বলেন, “লোকে আমাকে হিংসে করে কারণ আমাকে দেখতে সুন্দর। আর আমার প্রচুর টাকা।”
কিন্তু সেই ঘটনার আড়াই বছর পর পুরনো মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন রোনাল্ডো। “ওই মন্তব্য করাটা ভুল ছিল। আসলে ম্যাচের পরে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খুব রেগে ছিলাম। এই কারণেই মুখ ফসকে বেরিয়ে যায় কথাগুলো। সব সময় জীবনে ভুলের থেকে শিক্ষা নিতে হয়,” বলছেন রোনাল্ডো। রিয়াল মাদ্রিদে সই করার পরে অনেক সময় ঘরের সমর্থকদের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল রোনাল্ডোকে। তবে এখন তিনি রিয়াল সমর্থকদের অন্যতম প্রিয়পাত্র। “আমার ধারণা সমর্থকরা আমাকে ভাল বুঝতে পারেন। দেখতে পান, আমি দলের জন্য সব কিছু উজাড় করে দিচ্ছি। সমর্থকরা যেন আমার পারফরম্যান্স দিয়ে আমার বিচার করেন।” |
এ দিকে, নতুন মোড় নিল নেইমারের দলবদল বিতর্ক। চমকপ্রদ ভাবে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সান্দ্রো রোসেল। বার্সেলোনা সদস্য ইয়র্দি কেসের অভিযোগের ভিত্তিতে বার্সেলোনার এক আদালতে রোসেলের বিরুদ্ধে মামলা হয় যে, নেইমারের জন্য ৫৭ মিলিয়ন পাউন্ডের চেয়েও বেশি খরচ করেছিল বার্সেলোনা। যার অর্ধেক টাকা পায় নেইমারের বাবার সংস্থা ‘এন অ্যান্ড এন’। রোসেল বলেন, “আমি বারবার বলেছি যে, নেইমারের চুক্তি আইন মেনেই করা হয়েছে। কিন্তু নেইমারকে সই করানোয় বিরোধী পক্ষের হিংসে হয়েছে। তাই সরে দাঁড়াচ্ছি।” রোসেলের জায়গায় বার্সার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন জোসেপ মারিয়া বার্তেমিউ। যিনি বলেন, “বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্য দিকে আবার উয়েফার নতুন কোচিং অ্যাম্বাস্যাডর হলেন কিংবদন্তি কোচ স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন। |